খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
রাজধানী দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের শরীরে করোনার ভাইরাস সক্রিয়। একজনের মৃত্যুও হয়েছে। তাই রাজ্যের ১১টি জেলার মধ্যে সাতটি জেলায় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আজ থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দিল্লি জুড়ে জারি হল ১৪৪ ধারা। ঘোষণা হল লকডাউনেরও। গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে ৩৬০ জনের শরীরে করোনার ভাইরাস সক্রিয়। মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। এর মধ্যে শনিবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্রে একজনের মৃত্যু হয়। আজ, রবিবার গুজরাত এবং বিহারে একজন করে মারা গিয়েছেন। যদিও সরকার তা স্পষ্ট করে বলতে চাইছে না। করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দেশের শীর্ষে মহারাষ্ট্র আজ ১৪৪ ধারা জারি করেছে। একত্রে পাঁচজনের বেশি জমায়েত হলেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, এখনও পর্যন্ত দেশের ২২টি রাজ্যের ৭৫টি জেলায় (এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা) করোনা ছড়িয়েছে। করোনা রুখতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও যেভাবে আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে কোনও জায়গায় কারও শরীরে করোনা পজিটিভ হলেই সেই জেলাকে লকডাউন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সেই সব জেলায় সব বন্ধ। আপাতত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। পরে তা বাড়তেও পারে। মুদিখানার দোকান, দুধ, ওষুধ, দমকলের মতো জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সব বন্ধ।
কিন্তু ৩১ তারিখ পর্যন্ত বা কেন? জানতে চাইলে আইসিএমআরের ডিজি ডাঃ বলরাম ভার্গব বলেন, মনে করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ভাইরাস দুর্বল হতে পারে। তাই আপাতত এই তারিখ বলা হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আসা পরিবার ছাড়াও করোনা এখন সাধারণ মানুষের একজনের থেকে অন্যের শরীরে সংক্রামিত হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সন্দেহজনকদের পরীক্ষা চলছে। বেসরকারি ল্যাবকেও টেস্ট করার অনমুতি দেওয়া হয়েছে। করোনার ভাইরাস ‘সার্স-কোভি টু’ স্টেজ থ্রিতে ছড়ানো রুখতেই চেইন অব ট্রান্সমিশন ভাঙাই সরকারের কাছে চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, করোনার মোকাবিলায় কোভিড-১৯ বা সার্স কোভি-টু ভাইরাসকে কাবু করতে নানান পরীক্ষামূলক ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু কাজও করছে। তবে নির্দিষ্ট করে এখনও কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তবে তার জন্য আতঙ্কিত না হয়ে এক অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা এবং আইসোলেশনই একমাত্র দাওয়াই বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার যতই বলুক, দেশজুড়ে প্রায় লকডাউনে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছেই।