বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিন ম্যাচের পর ইস্ট বেঙ্গলের জয়ের কারিগর এনরিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেরোকা কোচ ম্যানুয়েল রেটামেরো। বললেন, ‘আমরা এনরিকের ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানার কাছে হেরে গেলাম’। মেক্সিকান স্ট্রাইকার আবেগ-উচ্ছ্বাস ভুলে লক্ষ্যে অবিচল। এনরিকে বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান। গোল করে দলকে জেতাতে পেরেছি। তবে এটাও খেলার একটা ইতিবাচক দিক। পেশাদার ফুটবলার এটাই আমার কাজ। জয়ের পর কিছু ঘন্টা উপভোগ করব। শুক্রবার থেকে আবার আমরা চ্যাম্পিয়নের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দেব। আগামী ম্যাচগুলি আমাদের কাছে আরও কঠিন।’
এনরিকে চোট সারিয়ে রিকভারি করেছেন দ্রুত। এই প্রসঙ্গে কোচ-সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘কোচ-সতীর্থ-ক্লাব আমার পাশে ছিল বলে এই জায়গায় উঠে আসতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় কথা, কলকাতা শহর, ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব, ভারতীয় ফুটবল আমি খুব উপভোগ করছি। পরিবার নিয়ে এই শহরে রয়েছি। আমার পরিবার আমার কাছে সবচেয়ে বড় মোটিভেশন। তারপর আমি পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নিজেকে সবসময় উদ্বুদ্ধ করি।’
ইস্ট বেঙ্গলের আপফ্রন্টে জবি জাস্টিনের সঙ্গে জুটিতে খেলাটা দারুণ উপভোগ করছেন এনরিকে। বিদেশি স্ট্রাইকারের কথায়, ‘জবি খুবই ভালো মানের ফুটবলার।’ প্রাক্তন মেক্সিকান ফুটবলার ব্লাঙ্কোই আদর্শ এনরিকের।
ইস্ট বেঙ্গলের কোচ আলেজান্দ্রো মনে করেন, ডার্বি জিতলেও তার থেকে নেরোকা ম্যাচে তাঁর দল ভালো ফুটবল খেলেছে। এদিন ম্যাচের পর বেশ কয়েকজন লাল-হলুদ সমর্থক আলোচনা করছিলেন যে, ইস্ট বেঙ্গলের মিথ তাহলে ভাঙল। অর্থাৎ ইতিহাস বলছে, ডার্বি জেতার পর ইস্ট বেঙ্গল পয়েন্ট নষ্ট করে। এদিন এনরিকেরা তা বদলে দিলেন। ম্যাচের সঠিক ফল কী হতে পারত? আলেজান্দ্রো বলছেন, ‘নেরোকা শক্তিশালী দল। এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমি প্রতিপক্ষ দলকে অসম্মান করতে পারব না। এবার আমাদের লক্ষ্য কাশ্মীরে জেতা। ওখানকার আবহাওয়া, কৃত্রিম মাঠ, যাতায়াতের ধকল নিয়ে
চিন্তায় রয়েছি।’