খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, সরকারি দপ্তর চত্বরে এমন অনুষ্ঠান কেউ কোনওভাবে করতে পারে না। আমাদের কাছে এই নিয়ে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে বারবার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ভিড় এড়িয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য। তা সত্ত্বেও কিভাবে বন দপ্তরের ভেতরে এমন অনুষ্ঠান করা হল? বিষয়টি নিয়ে বন কর্মীদের তলব করা হবে।
বালুরঘাট বন দপ্তরের রেঞ্জার আব্দুল রেজ্জাক বলেন, আমি রায়গঞ্জে এসেছি। আমাদের এক কর্মীর মেয়ের মুখে ভাতের অনুষ্ঠান ছিল। শুনেছি অফিসেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্যান্ডেল করার পরে আমি নিষেধ করেছিলাম অনুষ্ঠান যেন না করা হয়। তা সত্ত্বেও এমন সঙ্কটের সময়ে কিভাবে অনুষ্ঠান হল তা ভেবে আমি হতবাক। রায়গঞ্জ থেকে ফিরে এই নিয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
করোনার সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যে ভিড় এড়াতে জেলা প্রশাসনের তরফে জেলা জুড়ে প্রচার চালানো হয়েছে। প্রশাসনের সেই নির্দেশ পুরো জেলাবাসী মেনে চললেও খোদ বন দপ্তরের কর্মীরাই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অফিস চত্বরে বড় প্যান্ডেল করে মেয়ের মুখে ভাত অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। ভিড় এড়াতে ইতিমধ্যে জেলার একাধিক বাসিন্দা নিজেদের বাড়ির অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে এক সরকারি কর্মীর এমন ভূমিকায় জেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এদিন সকাল থেকে বন দপ্তরের ভেতরে আমন্ত্রিতদের খাবার তৈরি করা হয়। দুপুরে একর পর এক গাড়িতে করে আমন্ত্রিতরা আসতে শুরু করেন। করোনা সংক্রান্ত কোনও বিধি নিষেধকে তোয়াক্কা না করেই এদিন আমন্ত্রিতরা আসেন, একসঙ্গে মিলে পেটপুরে খেয়ে বাড়ি চলে যান। এদিন কয়েকশ’ ব্যক্তির জমায়েত হয়েছিল সেখানে। বন দপ্তরের ভেতরে ব্যাপক ভীড় হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশীদের অনেকে জেলা প্রশাসন ও খোদ বন দপ্তরের কাছে অভিযোগ করেছেন। যদিও প্রতিবেশীদের দাবি, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনও কাজ হয়নি। ওই বনকর্মীর বিরুদ্ধে এখনও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।