খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
করোনা আতঙ্কের জেরে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে চলেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। এই পরিুস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তাররা প্রয়োজনীয় মাস্ক ও স্যানিটাইজার না মেলার অভিযোগ তুললেন। জুনিয়র ডাক্তার ওয়ারিয়র আলম বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা প্রয়োজনীয় মাস্ক ও স্যানিটাইজার পাচ্ছে না। সোমবার প্রায় ১ ঘণ্টা বিনা সরঞ্জামে কাজ চালিয়ে যেতে হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিষেবা দেব কী করে। এমন কী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, সিসিইউ, আইসিইউের পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যদিও মন্ত্রীর দাবি, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আধিকারিক, রোগী কল্যাণ সমিতিকে নিয়ে বৈঠক করেছি। সেখানে বেশকিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি, আইসিইউ ইউনিট করা, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন আইএমএ-র প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানে বেশকিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তও হয়। সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কোনও রোগী যেন চেম্বারে প্রবেশ করতে না পারে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্য জেলা থেকে চিকিৎসার জন্য যেন কেউ না আসে তারও আর্জিও জানানো হয়।
অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার পাশাপাশি নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশ থেকে যাঁরা ফিরছেন তাদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।