খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
অভিভাবকেরা বলেন, এদিন চাল এবং আলু নেওয়ার পর সেই প্যাকেট দেখে আমাদের মনে সন্দেহ হয় কম দেওয়া হচ্ছে। আমরা স্থানীয় একটি দোকানে গিয়ে ওজন করে দেখি তাতে ২৫০-৩০০ গ্রাম করে চাল কম আছে। প্রধান শিক্ষক অন্যায়ভাবে কম দিচ্ছেন দেখে আমরা বিক্ষোভ দেখাই।
এক অভিভাবক প্রদীপ রায় বলেন, যেখানে রাজ্য সরকার দু’কেজি চাল ও দু’কেজি আলু দিতে বলেছে। সেখানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওজনে কম দিচ্ছেন। এটা আমরা মেনে নিতে পারিনি। তাই ওঁকে ঘণ্টা দুয়েক আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাই। আমরা বিডিও’কে বিষয়টি জানিয়েছি।
স্কুল পরিদর্শক বিবেকানন্দ বর্মন বলেন, প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ওই ত্রুটি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে বলে উনি আমাকে জানিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক খাতায় পড়ুয়াদের নাম লিপিবদ্ধ করছিলেন। স্কুলের চাল দেওয়ার দায়িত্ব ছিল রাঁধুনিদের উপর। রাঁধুনিরা চাল ও আলু বিতরণ করছেন। কিন্তু আমি জানতে পেরেছি, চাল যে কৌটো দিয়ে দেওয়া হচ্ছিল সেই কৌটো ছোট থাকার কারণে এ সমস্যা হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে বলেছি, যাদের চাল কম দেওয়া হয়েছে তাঁদের মঙ্গলবার বাকিটা দিয়ে দিতে।
ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, ওই শিক্ষক অনিচ্ছাকৃত ভুল করে ফেলেছেন। যদিও আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই দেখছি।
সোমবার ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে দু’কেজি করে চাল ও দু’কেজি করে আলু পড়ুয়াদের অভিভাবকদের বিতরণ করা হয়। কিন্তু উল্লাডাবরি জনকল্যাণ প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি দু’কেজি চাল না দিয়ে ২৫০-৩০০ গ্রাম করে কম চাল কম দিচ্ছেন। ফলে গণ্ডগোল বেঁধে যায়। এদিন স্কুলে প্রচুর ছাত্রছাত্রীরা চাল এবং আলু নিতে অভিভাবকদের নিয়ে চলে আসে।