বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার অরিন্দম রায় বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে প্রসবের আগেই পাঁচটি বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারটি মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। একটি মৃতদেহ এখনও হাসপাতালে রয়েছে। আমাদের প্রাথমিক অনুমান হয়ত ওই পরিবারগুলির মধ্যে কেউ মৃতদেহ বাড়ি না নিয়ে গিয়ে এখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোন সিসিটিভি না থাকার কারণে ঠিক কী ঘটেছে তা জানা যাচ্ছে না। ওই এলাকায় এবং হাসপাতালের পিছনে আমরা সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পিছনে থাকা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। ময়লা ফেলার গাড়ি এসে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করে অন্যত্র ফেলে দেয়। সোমবার সকালে হাসপাতালের এক সাফাই কর্মী ডাস্টবিনে আবর্জনা ফেলতে গিয়ে দেখতে পান ডাস্টবিনে থাকা লাল ক্যারিব্যাগে সদ্যোজাতর মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই পুরো হাসপাতাল চত্বরে হইচই পড়ে যায়। হাসপাতালের কর্মীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের। তাঁরা এসে তড়িঘড়ি ওই সদ্যোজাতের মৃতদেহটি অন্যত্র সরিয়ে দেন। সেটি কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দেয়নি। ওই মৃতদেহ কোথা থেকে কীভাবে এল, সেটি গোপনে সরিয়ে ফেলতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এত তৎপরতাই বা কেন— এসব নানা প্রশ্ন উঠে আসে। এনিয়ে এদিন দিনভর হাসপাতালের কর্মী থেকে শুরু করে রোগীর বাড়ির লোকদের মধ্যে চর্চা চলে। হাসপাতালের চারদিকে এত সিসিটিভি থাকলেও কর্তৃপক্ষ ঘটনার কিনারা কেন করতে পারছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের বদনাম করতেই বাইরের কেউ সেটি এখানে ফেলে গিয়েছে।