বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
শহরে মোটরবাইক আরোহীরা হেলমেট ব্যবহার করছেন। কিন্তু শহর থেকে কিছুটা দূরে গেলেই দেখা যায় ঝড়ের গতিতে ছুটছে মোটর বাইক থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি। মোটর বাইক আরোহীদের বেশির ভাগেরই মাথায় হেলমেট নেই। এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় বেশিরভাগ রাস্তার দু’পাশেই রয়েছে ঘন জনবসতি। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কখনও স্কুলপড়ুয়া কিশোররাও আত্মীয়স্বজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ির বাইক নিয়ে সোজা উঠে পড়ছে রাজ্য সড়কে, এমনকী কখনও জাতীয় সড়কেও। তাদের অনেকেরই যে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার বয়স হয়নি তা মুখ দেখেই বোঝা যায়।
এসব নিয়েই এবার কড়া পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে জেলা পুলিস। ইতিমধ্যেই বৈষ্ণবনগর থানার পূবারুণ টাউনশিপ (পিটিএস) মোড় থেকে গাজোলের ময়না পর্যন্ত ৩৪ নং জাতীয় সড়কের বিভিন্ন দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে ১৮টি ক্যামেরা। দিনরাত এই ক্যামেরাগুলি যানবাহনের গতিবিধির উপরে নজরদারি চালাবে। দুটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে ৮১নং জাতীয় সড়কের দু’টি জায়গাতেও।
মালদহের পুলিস সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ইংলিশবাজার ও মঙ্গলবাড়ির দুটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা। এই ক্যামেরাগুলির নাম অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রেকগনাইজার (এএনপিআর)। ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেই সংশ্লিষ্ট গাড়ির নম্বর রেকর্ড করে নেবে এই ক্যামেরা। আবার সিগন্যালের লাল আলোর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কোনও গাড়ি এগিয়ে গেলে ওই গাড়ির তথ্য রেকর্ড করে নেবে এই যন্ত্র। তাই এগুলিকে রেড লাইট ভায়োলেশন ডিভাইস’ও (আরএলভিডি) বলা হয়। এছাড়াও স্পিড লেজার গানও ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিস সুপার।
পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে জেলার সব ক’টি থানা এলাকার ট্র্যাফিক স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার (ট্র্যাফিক) শুভতোষ সরকার বলেন, এই অত্যাধুনিক যন্ত্রগুলি এবং বেশ কিছু ক্যামেরার নজরদারির পুরোদমে শুরু হলে শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাগুলিতেও ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার প্রবণতা অনেকটাই বাড়বে।