খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
সূত্রের খবর, ৫৭ বছর বয়সি ওই চতুর্থ আক্রান্ত ব্যক্তি ১৩ মার্চ থেকে জ্বর, সর্দি ও শুকনো কাশিতে ভুগছিলেন। ১৬ মার্চ তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৯ মার্চ থেকে ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। জীবনদায়ী ইকমো ব্যবহারেরও প্রয়োজন পড়ে। নাইসেড ও পিজি হাসপাতাল থেকে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রসঙ্গত, এই ব্যক্তির বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, হাবড়ার আক্রান্ত তরুণীর সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা ও প্রেমিক। তাঁরা হাবড়ায় ফিরে তথ্য গোপন করে ঘুরে বেড়ান বলে অভিযোগ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় শনিবার দুপুরে ওই তরুণীর বাবা, প্রেমিক ও গাড়ির চালককে অ্যাম্বুলেন্স করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, পঞ্চসায়র ও বালিগঞ্জের বাসিন্দা অন্য দুই করোনা আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ভয়ে, উদ্বেগে কাতারে কাতারে রোগী ভিড় জমাচ্ছেন আইডি ও অন্যান্য হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের আশপাশে। ভাস্কর সোম নামে বসিরহাটের এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আমেরিকা থেকে ফিরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন, বহু রোগী দেখেছেন, এমনকী অপারেশনও করেছেন—এমন মারাত্মক অভিযোগও উঠেছে। সরকার বুলেটিনে জানিয়েছে, ২০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহবন্দি রয়েছেন। ৬১৬ জন দু’সপ্তাহ গৃহবন্দি থাকার পর্ব বিনা সমস্যায় কাটিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে, রাজ্যবাসীকে করোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ভিনরাজ্য থেকে দূরপাল্লার ট্রেন যাতে রাজ্যে না ঢোকে, সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আজ বিভিন্ন স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়বে না। লোকাল ট্রেন ও মেট্রো রেলের সংখ্যাও কমানো হচ্ছে। ব্যাপক হারে কমবে সব ধরনের ট্যাক্সি ও ক্যাবের সংখ্যা। এদিকে, সোমবার প্রস্তাবিত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক স্থগিত রাখা হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি সামলাতে ওইদিন সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাগরে কপিলমুনির আশ্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।