খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, বেশিরভাগ জায়গায় সরকারি নির্দেশিকা মেনে বিতরণ করা হলেও অনেক জায়গায় তা মানা হচ্ছে না। তাই এরপর থেকে কীভাবে মিড ডে মিল বণ্টন করা হবে, তা সরাসরি শিক্ষা দপ্তর থেকে জেনে নিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন পার্থবাবু। তাঁর অভিযোগ, একসঙ্গে যাতে না ভিড় হয়, সেভাবেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পনা নিতে বলেছিল সরকার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। জেলাস্তরে স্কুল পরিদর্শকদের নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিতে নিষেধ করেছেন পার্থবাবু। এতে অশান্তির আশঙ্কা থাকে, তাই প্রশাসনকে জানানোর পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষকে সরাসরি শিক্ষা দপ্তরর পরামর্শ নিয়ে মিড ডে মিল বিলি করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার কলকাতার জেলা পরিদর্শক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এদিন রাত দশটার মধ্যে বিতরণের কাজ শেষ করতে বলেছিলেন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এদিন সব বন্ধ ছিল তাই বিতরণের কাজ সম্পূর্ণ করা যাবে না। তাই তিনি জানান, আজ সোমবার বিকেল তিনটের মধ্যে মিড ডে মিল বন্টনের বকেয়া কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। এদিকে জেলায় জেলায় এই কর্মসূচিকে ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা পরিদর্শকরা বিতরণ সংক্রান্ত অর্ডার বাতিল করে দেন। তারই প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী স্কুল কর্তৃপক্ষকে সরাসরি শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শনি ও রবিবার ছুটি থাকা সত্ত্বেও স্কুলে শিক্ষকদের ডেকে পাঠিয়ে মিড ডে মিল বিলিতে যুক্ত করায় শিক্ষক সংগঠনের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জমায়েত বন্ধ রাখার কথা বলেছেন। অথচ শিক্ষকদের ডেকে নিয়ে এসে এই মিড ডে মিলের কাজ করানো তো পক্ষান্তরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করার শামিল। এর বিকল্প কোনও পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত বলে মনে করে শিক্ষক সংগঠনগুলি।