খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
কম বেতনের মধ্যেই কোভিড-১৯ মোকাবিলার কাজে যুক্ত হতে বলায় ফের নিজেদের দাবি জানালেন পঞ্চায়েতের ১৬০০ চিকিৎসকদের একাংশ। ১৬ হাজার টাকা মাসিক ভাতা, তার মধ্যে সেটাও আবার অনিয়মিত। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বক্তব্য, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের কর্তব্য পালনে যা যা করণীয়, তা তাঁরা জনস্বার্থে ঠিক করবেন। কিন্তু, তাঁদের দীর্ঘদিনের আর্জি সরকারও যেন বিবেচনা করে। প্রসঙ্গত, মাসিক ভাতা বাড়ানো এবং চাকরির অবস্থানের দিক থেকে পঞ্চায়েত এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের মাঝে ত্রিশঙ্কুর মতো ঝুলে থাকা থেকে নিষ্কৃতি—এই দুটি দাবি তাঁদের অনেকদিনেরই। রাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এবং রাজ্য বাজেটের আওতায় পৃথকভাবে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা কাজ করেন। ডাঃ সমরজিৎ ঘটক, ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষের মতো বহু পঞ্চায়েত ডিসপেনসারিতে যুক্ত আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার জানান, শুধু নিজের এলাকারই নয়, ডাক্তার না থাকা অন্যান্য এলাকাতে পঞ্চায়েতের আয়ূশ ডাক্তাররা কাজ করেন, করোনা সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের আর্জিগুলিও সরকার যেন মাথায় রাখে।
থার্মাল স্ক্যানার নিয়েও কালোবাজারি
মাস্ক, স্যানিটাইজারের পর এবার করোনা উপসর্গ ধরতে প্রাথমিক পরীক্ষার যন্ত্র থার্মাল স্ক্যানার নিয়ে কালোবাজারি চলছে বলে অভিযোগ। যে থার্মাল স্ক্যানারের দাম কিছুদিন আগেও ছিল চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা, সেটির দাম এখন বেড়ে হয়েছে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা। স্ট্র্যান্ড রোড, মানুক লেন, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের বিভিন্ন জায়গায় এই থার্মাল স্ক্যানার নিয়ে রীতিমতো কালোবাজারি হচ্ছে বলে অভিযোগ। দোকানদারদের অন্যতম সংগঠন অল ইন্ডিয়া কেমিস্টস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ সরকার বলেন, যে থার্মাল স্ক্যানার বা ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের দাম করোনা আতঙ্কের আগে ছিল চার-পাঁচ হাজার টাকা, তা এখন ১৫ হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে!
আর জি করে আইসোলেশনের বেহাল দশা, অভিযোগ দম্পতির
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের অবস্থা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিদেশ ফেরত এক দম্পতি। ফেসবুকে পোস্ট করে মালদ্বীপ ফেরত ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্যবিধি বজায় না রেখেই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাঁদের গত কয়েকদিন ধরে রাখা হচ্ছে। মাস্ক তিনদিন ধরে পাল্টানো হচ্ছে না। একই আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাচজন করে মানুষকে রাখা হয়েছে। বিছানার চাদরও পাল্টানো হচ্ছে না নিয়মিত। গোটা বিষয়ে আর জি কর-এর অধ্যক্ষ ডাঃ শুদ্ধধন বটব্যাল বলেন, এখন আন্তর্জাতিক মহামারী পরিস্থিতি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি পরিস্থিতি সামলানোর। এরই মধ্যে কথায় কথায় অভিযোগ ঠিক নয়।
লকডাউনের মধ্যে কীভাবে কাজে আসবেন, দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্যকর্মীরা
স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের যাবতীয় ছুটি বাতিল করার নির্দেশ জারি হয়েছে। এদিকে, আজ সোমবার বিকেল থেকে কলকাতা সহ ২৩ জেলাতে লকডাউন শুরু হবে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ি থেকে কর্মস্থলে আসবেন, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে রোগ ও রক্তপরীক্ষার মতো জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এই পরিস্থিতিতে তাঁদের জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রায় আট হাজার এমটি কাজ করেন। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের তৃণমূলপন্থী সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর রাজ্য সম্পাদক সমিত মণ্ডল বলেন, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের তরফ থেকে সরকারকে সহযোগিতার অভাব হবে না। একটাই সমস্যা, লকডাউনের মধ্যে ছেলেমেয়েরা কাজে আসবেন কীভাবে? বিষয়টি তাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমার বলেন, আমরা সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চালাচ্ছি।