খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
হেলমেটগুলিতে ব্যবহারের জন্য কাপড়ের ‘স্কাল ক্যাপ’ দেওয়ার কথা। প্রতিটি রাইডে সেই স্কাল ক্যাপের টাকাও ধরা থাকে। কিন্তু যাত্রীদের অভিজ্ঞতা, কেউই সেই ক্যাপ দেন না। স্কাল ক্যাপ চাইলেই চালকদের বাঁধা উত্তর, ফুরিয়ে গিয়েছে। অ্যাপ বাইকের রাইড শেষ হওয়ার পরেও সংস্থা থেকে জানতে চাওয়া হয়, যাত্রী ক্যাপ পেয়েছেন কি না। তাড়াহুড়োর কারণে অনেকে আর মাথা ঘামাতেন না। অনেকেই আবার অ্যাপের ফিডব্যাকের মাধ্যমে ক্যাপ না পাওয়ার কথা জানিয়ে দেন। কিন্তু সেই ফিডব্যাক পেয়ে সংস্থাগুলি কী ব্যবস্থা নেয়, তা কেউ জানে না। কারণ, অ্যাপ বাইকগুলির জন্মলগ্ন থেকেই এই সমস্যা রয়েছে। মলয় বিশ্বাস নামে এক অ্যাপ বাইক চালক এদিন যথারীতি জানালেন, তাঁর কাছেও স্কাল ক্যাপ নেই। কেন নেই এই প্রশ্নে আমতা আমতা করে জানালেন, তিনি আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সংস্থার কাছেই ফুরিয়ে গিয়েছে। আগে কেউ এসব নিয়ে মাথা ঘামাতেন না, এখন এসব ভাইরাসের ভয়ে কেউ কেউ মাথায় রুমাল বেঁধে নিচ্ছেন। দীপক মিশ্র নামে এক বাইক চালক বলেন, স্কাল ক্যাপ সংস্থার থেকে পাওয়ার দাবিটি ঠিক নয়, এটা চালকদেরই কিনতে হয়। কেউই সেটাকে গুরুত্ব দেন না। বেশিরভাগই পার্ট টাইমে বাইক চালান, তাই অত দায়িত্ব নেন না। তাছাড়া, এখন একাধিক বাইক সংস্থা রয়েছে।
চালকরাও একাধিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কোনও সংস্থা স্কাল ক্যাপ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে অন্য সংস্থায় চালকরা চলে যেতে পারেন, এটাও সংস্থাগুলি মাথায় রাখে।বিপদ রয়েছে শেয়ার ক্যাব বা শাটল গাড়িগুলিতেও। কম খরচায় এসি বাহনে গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য অ্যাপ ক্যাবগুলির শেয়ার বা পুল পরিষেবা বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু শীততাপনিয়ন্ত্রিত বাহনে একাধিক অপরিচিতের সঙ্গে ঘেঁষাঘেঁষি করে বসলে ঝুঁকি থেকেই যায়। একই অবস্থা শাটল গাড়ি বা অটোগুলিরও। সেখানেও যাত্রীদের ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে হয়। কিন্তু শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এবং বদ্ধ না হওয়ায় সেগুলিতে ঝুঁকি কিছুটা হলেও কম।