বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, পাংগোলাখার জঙ্গলে প্রায় ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় গত ৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে দু’বার ওই বাঘটির ছবি দেখা গিয়েছে। এরপর গত ২ জানুয়ারি ওই জায়গাতেই একটি স্নো-লেপার্ডের ছবিও ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তিনি আরও জানান, সিকিমের পশ্চিম এবং উত্তর অংশে স্নো-লেপার্ড দেখা গেলেও, এই প্রথমই পূর্বে স্নো-লেপার্ড দেখতে পাওয়া গেল।
দেচেন লাচুংপা আরও বলেন, ১৯৮০’র দিকে সিকিমের এই অংশে বাঘ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল বলে জঙ্গল লাগোয়া কিছু গ্রামের বাসিন্দারা দাবি করেছিলেন। কিন্তু সরকারিভাবে খাতায়-কলমে বাঘ দেখতে পাওয়ার কোনও তথ্য তাঁদের কাছে ছিল না। এই প্রথম ক্যামেরা ট্র্যাপের মাধ্যমে সিকিমে বাঘ দেখতে পাওয়া গেল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা অনুযায়ী, ৭০-৮০’র দশকে নেওড়াভ্যালিতে যে বাঘ থাকত, সেটি শীতের সময় পাহাড়ের উপরের দিকে সিকিম, ভুটান, অসমে যাতায়াত করত। এতদিন পরে ফের সেরকমই একটি বাঘ ৩০-৪০ বছরের পুরনো রুটেই ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে দুই রাজ্যের বনদপ্তরের কর্তাদের অনুমান। সেই কারণেই বনদপ্তরেরও প্রাথমিক অনুমান ২০১৭’তে নেওড়াভ্যালিতে দেখা যাওয়া বাঘটিই এবার সিকিমে দেখা গেল। তবে সেবিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সিকিমের বাঘটিকে আরও নজরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে নেওড়াতে দেখা যাওয়া বাঘের সঙ্গে এটির ছবিও মিলিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলেও তিনি জানান। ডিএফও আরও বলেন, বাঘটির পাশাপাশি স্নো-লেপার্ডটিও কোথা থেকে ওই এলাকায় এল, সেবিষয়েও অনুসন্ধান করা হবে।