বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের এক কর্তা বলেন, মেলার দিনগুলিতে কোনও কারণে কোথাও পরিষেবা ব্যাহত হলে, সঙ্গে সঙ্গেই কন্ট্রোল রুমে বসে জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকারের মাধ্যমে তার খবর পাওয়া যাবে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া আগেভাগে শুরু করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে পুলিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে। অনেক সময় যানজটে বাস আটকে যায়। এমন পরিস্থিতিতেও দ্রুত পদক্ষেপ করা যাবে। জলপথের ক্ষেত্রেও একইভাবে নজরদারি চালানো হবে। এতে পরিষেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনই যাত্রী তথা পুণ্যার্থীদের সুরক্ষা আরও আঁটোসাঁটো থাকবে।
নিগম সূত্রের খবর, আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে বিশেষ পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে তারা। সবচেয়ে বেশি বাস চলবে ১৪ জানুয়ারি। ওই দিন তারা মোট ২৬০টি বাস চালাবে। সেই হিসেবে কমবেশি ২৬০টি বাসেই ‘লোকেশন ট্র্যাকার’-এর ব্যবস্থা থাকবে। নিগমের এক কর্তা বলেন, বাসের পাশাপাশি লট ৮ এবং কচুবেড়িয়ার মধ্যে চলাচলকারী ৩০টি ভেসেলেও ‘লোকেশন ট্র্যাকার’ থাকবে। গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন ঘাটে জলসাথীদের নিযুক্ত করা হবে। তাঁদের প্রথম ‘ব্যাচ’টিকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘাটে সুরক্ষাবিধি মানা হচ্ছে কি না দেখা এবং যাত্রীদের সহায়তা করবেন তাঁরা।
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে মেলার জন্য মোট ১০২০টি বাস চালানো হবে। মেলার জন্য ৫৭৫টি বাস চালাবে এসবিএসটিসি। এই নিগমের এক কর্তা বলেন, আমাদের কিছু বাসে জিপিএস ট্র্যাকিং ব্যবস্থা থাকবে। তা দিয়ে চলবে নজরদারি। নিগমের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রতিটি বাসে এই ব্যবস্থা রূপায়ণের জন্য পরিবহণ দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, গঙ্গাসাগরের জন্য বাসগুলি ছাড়বে হাওড়া, বাবুঘাট বা আউটরাম ঘাট, লট ৮ এবং নামখানা থেকে। মেলার দিনগুলিতে সরকারি নিগমগুলির অফিসাররা বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। মেলায় সবচেয়ে ভিড় হতে পারে ১৫ এবং ১৬ জানুয়ারি। এই দিনগুলিতে জরুরি প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাস মজুত রাখা থাকবে। যাত্রীরা প্রয়োজনে নিগমগুলির হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাতে পারেন।