বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশনস (আইএসসি) আইন অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণীতে ইংরেজি ছাড়া আরও তিনটি বিষয়ে সফল না হলে কোনও শিক্ষার্থীকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়তে দেওয়া যায় না। কিন্তু, রাহুল তিওয়ারি বিজ্ঞান শাখার তিনটি বিষয়ে সফল না হওয়া সত্ত্বেও দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে পেরেছিল। সারা বছর সে দ্বাদশ শ্রেণীতে ক্লাসও করেছে। কিন্তু, গত বছরের আগস্ট/সেপ্টেম্বর মাসে সে জানতে পারে, তাকে দ্বাদশ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। কারণ, আইএসসি বোর্ড তার নাম নথিভুক্ত করতে অস্বীকার করেছে। ৬ ডিসেম্বর সে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিদ্যালয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, অসাবধানতাবশত তাকে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। ভুলটি ধরা পড়ে আগস্ট মাসে। অন্যদিকে, বোর্ডের আইনজীবী জানান, যে আইন অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠান চলে, তা অলঙ্ঘনীয়। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য হাইকোর্ট বারংবার জানিয়ে দিয়েছে যে, এই প্রসঙ্গে করুণা বা দয়া দেখানোর কোনও সুযোগ নেই। যদি কোনও একজন শিক্ষার্থীর জন্য আইনি শিথিলতা দেখানো হয়, তাহলে পুরো ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়তে পারে।
মামলার শুনানিতে পেশ হওয়া সুপ্রিম কোর্ট ও অন্য হাইকোর্টের রায় পর্যালোচনা করে বিচারপতি তাঁর নির্দেশে বলেছেন, এক, আইএসসি সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষা পর্ষদ শিক্ষার মান বজায় রাখতে যে আইন তৈরি করেছে, তা কোনও আদালতের খেয়ালখুশি বা ধারণার ভিত্তিতে বদল করা অনুচিত। দুই, এমন আইনকে পাশ কাটিয়ে গেলে বা বদল ঘটালে শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিন, শিক্ষাক্ষেত্রের উচ্চ মান ধরে রাখতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালন ব্যবস্থা মসৃণ রাখার স্বার্থে ওই আইনি পরিকাঠামোয় কোনওভাবে ন্যায়ের নামাবলি গায়ে চাপিয়ে হস্তক্ষেপ করা অনুচিত। চার, আইনের পরিবর্ত হিসেবে দয়াশীল দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া যায় না। অন্তত তেমন দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্য নিয়ে আইনি ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যাওয়া অনুচিত।
এমন অভিমত দিয়ে বিচারপতি তাঁর রায়ে আরও বলেছেন, এই অদ্ভুত ঘটনা ও পরিস্থিতিতে মামলাকারীকে বলা হচ্ছে, তিনি যেন আরও একবার একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় বসেন। সেই পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে তাঁকে দ্বাদশ শ্রেণীতে তোলা যেতে পারে। যদি তিনি একদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় সফল হন, তাহলে পরবর্তী বছরে তাঁকে দ্বাদশ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার যোগ্য হিসেবে বোর্ড তাঁর নাম নথিভুক্ত করবে। পাশাপাশি একটি বছর নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য তিনি উপযুক্ত জায়গায় আবেদন করতে পারবেন বলেও আদালত অনুমতি দিয়েছে।