বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একই গোলযোগের জেরে দাড়িভিট স্কুলে বিক্ষোভরত ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছিল গুলিতে। সেই কারণে ওই স্কুলে বহুদিন অচলাবস্থা চলে। খুবই সম্প্রতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এই কাণ্ডের জেরে খুব সতর্ক হয়ে গিয়েছিল শিক্ষা দপ্তর। ত্রুটিপূর্ণ শূন্যপদ সংশোধন করেই তা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। এর ফলে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষক নিয়োগও বেশ কিছুদিন পিছিয়ে যায়। ত্রুটিপূর্ণ প্রায় সাড়ে পাঁচশো চাকরিপ্রার্থীকে নতুন করে নিয়োগপত্র দেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এঁদের মধ্যে যাঁরা কর্মরত শিক্ষক ছিলেন, তাঁদের একটি সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু সেটা অন্য প্রসঙ্গ। দেখা যাচ্ছে, প্রায় কাউন্সেলিংয়ের প্রায় চার মাস বাদে নিয়োগপত্র ছাড়া হলেও নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক পদপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি ত্রুটিমুক্ত হয়নি। মোট ২৮৩ জন প্রার্থী এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছেন, তাঁরা যে স্কুলে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, সেখানে হয় তাঁদের বিষয়ে বৈধ শূন্যপদ নেই, অথবা আরও কেউ সেই পদের জন্য নিয়োগপত্র পেয়েছেন।
এরকম বেশ কিছু উদ্বিগ্ন পদপ্রার্থী মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে এসেছিলেন সমস্যার কথা জানাতে। কেউ প্রায় কাঁদো কাঁদো হয়ে আধিকারিকদের অনুরোধ করছিলেন, সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার জন্য। যদিও, এই সমস্যার কোনও আশু সমাধান দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগের ভিত্তিতে দু’একজনের জন্য জেলাস্তর থেকেই বিকল্প স্কুলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমাধান বৈধতা পায়নি শীর্ষস্তর থেকে। বলা হয়েছে, এর সমাধান করা সম্ভব পুনরায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের অন্য স্কুল দেওয়া হলে। আর সেটা সময় সাপেক্ষ। অর্থাৎ, নিয়োগ পাওয়ার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ওই প্রার্থীদের।
প্রসঙ্গত ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। তবে, যাঁদের কোনও সমস্যা নেই, তাঁরা এরমধ্যেই স্কুলে যোগ দিতে পারবেন। অনেকেই ইতিমধ্যে কাজে যোগও দিয়ে ফেলেছেন। মোট শূন্যপদ রয়েছে প্রায় ৬৩০০টি। অর্থাৎ ধরে নেওয়া যায়, প্রায় ৬০০০ শূন্যপদে নিয়োগ নির্বিঘ্নেই হয়েছে। তবে, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ আরও পিছিয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হল। ইতিমধ্যেই ওই স্তরে প্রায় সাড়ে ছ’হাজারের মতো শূন্যপদের সংখ্যা ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। সেগুলিকে এবং আগেই সৃষ্ট হওয়া পদগুলিকে বার বার স্ক্রুটিনি করার দায় বেড়ে গেল সরকারের। সব মিলিয়ে, নিয়োগ পিছবে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, আখেরে ক্ষতি হবে চাকরিপ্রার্থীদেরই। এই দেরির ফলে তাঁরা ইতিমধ্যেই বেতন বাবদ লক্ষাধিক টাকা লোকসান করেছেন। তবে, উচ্চ মাধ্যমিকের বিভ্রাটের পরও শিক্ষা দপ্তর ঠেকে শিখল না- এটাই আশ্চর্যজনক। তাহলে কি কোনও একটা অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছে?