বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, আজ থেকে ডব্লুবিটিসি এবং এসবিএসটিসি’র কিছু বাস গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের জন্য চলাচল করবে। এই বিশেষ বাস পরিষেবা বহাল থাকবে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। সব মিলিয়ে গঙ্গাসাগর রুটে মোট ১,৫৯৫টি সরকারি বাস চলাচল করবে। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই বাসের ভাড়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বাস ছাড়বে হাওড়া, বাবুঘাট বা আউটরাম ঘাট, লট নং ৮ এবং নামখানা থেকে। মেলা উপলক্ষে ডব্লুবিটিসি সহ বিভিন্ন সংস্থার মোট ১০৬টি ভেসেল চালানো হবে। থাকবে এলসিটি বার্জও। জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে প্রস্তুত রাখা হবে হেলিকপ্টারও।
সরকারি বাসের পাশাপাশি মেলায় বেসরকারি বাসও চলবে। অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, মেলার জন্য ইতিমধ্যেই রুট বাস থেকে উঠতে শুরু করেছে। ১৮০টি বাস যাচ্ছে কচুবেড়িয়া। সেগুলি কচুবেড়িয়া-সাগর রুটে চলাচল করবে। চেমাগুড়ি-সাগর রুটে চলবে মিনিবাস। সেই বাসও সেখানে যেতে শুরু করেছে। মূলত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পার্শ্ববর্তী জেলার রুটগুলি থেকেই বাস তোলা হয়েছে। মেলার পরই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড সমাবেশ। তারও বুকিং শুরু হয়েছে। মোটের উপর ২১ জানুয়ারি থেকে ফের নিয়মিত রুটে স্বাভাবিক ছন্দে বাস চলতে শুরু করবে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুণ্যার্থীদের জন্য বাবুঘাট-লট নং ৮, হাওড়া-নামখানা রুটে কিছু বাস চলতে শুরু করেছে। আজ থেকে এই রুটে বাসের সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। তবে, মেলা বা ব্রিগেড সমাবেশ ছাড়াও বর্তমানে আরও একটি ইস্যুতে মালিক-চালকরা আতঙ্কিত। বকেয়া জরিমানা আদায়ে স্কিমে অংশ নেওয়ার জন্য পুলিস যেভাবে জোর করছে, তাতেই তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তার প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন রুটে। মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, মেলার জন্য বাস তোলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ফলে নিয়মিত রুটে বাসের সংখ্যা আগামী কয়েকদিন কম থাকবে। ১৬ জানুয়ারি থেকে বাসগুলি ফিরতে শুরু করবে। তিনি বলেন, সাগরমেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী যাবেন। কাজেই, সেখানে কিছু বাস তো দিতেই হবে।