বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
এদিন সকালে বাসন্তী রোড লাগোয়া খানাবেড়িয়া খাল থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ভেবেছিলেন, কেউ মৃত পশু ফেলে গিয়েছে। দুর্গন্ধের জেরে কেউই থাকতে পারছিলেন না ঘরে। খালের ধারে গিয়ে দেখেন, পশু নয়, মরা মানুষ ভাসছে। নিমেষে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই ফোন করে প্রগতি ময়দান থানায় খবর দেন। পাশাপাশি বিধাননগর দক্ষিণ থানাকেও জানানো হয়। কারণ ওই এলাকায় দুটি থানার সীমানা রয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, যে জায়গায় দেহটি ভাসছে, সেটি প্রগতি ময়দান থানার অন্তর্গত। এরপর খাল থেকে তোলা হয় মৃতদেহটি। যুবকের পরণে ছিল জিনস ও উইন্ডচিটার। রাত পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। দেহটি যে অবস্থায় মিলেছে, তা থেকে পুলিসের অনুমান, অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন থানায় কোনও যুবকের নামে মিসিং ডায়েরি হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন অফিসাররা। তাঁকে খুন করে জলে ফেলা হয়েছে কি না, এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তাঁরা। প্রাথমিকভাবে শরীরের বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তাহলে ওই ব্যক্তি খালে পড়লেন কী করে, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁকে ধাক্কা মেরে খালে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে একাংশের ধারণা। যুবকের পরিচয় জানা গেলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
বর্ষ শেষের দিন বাসন্তী রোডের ধারে খুন হন এক ট্যাক্সিচালক। তাঁর মাস তিনেক আগে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় এই রাস্তার উপরেই ঝোপ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয় এখানে। পরে ওই মহিলার পরিচয় জানা যায়। তার মাস খানেকের মধ্যেই বাসন্তী হাইওয়ের উপর খাল থেকে পাওয়া যায় বস্তাবন্দি এক মহিলার মৃতদেহ। অর্চনা পালংদার নামে ওই মহিলাকে খুন করে খালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও একাধিকবার এই রাস্তায় মৃতদেহ মিলেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুন করে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আসলে জায়গাটি ফাঁকা হওয়ায় এই এলাকাকেই মৃতদেহ ফেলার জন্য বেছে নিচ্ছে অপরাধীরা। সেকারণে এখানে পুলিসি টহলদারি বাড়ানোর পাশাপাশি কড়া নজরদারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।