খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
হলদিয়ার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক কর্মচারীরা করোনা সতর্কতায় কোয়ারেন্টাইন ছুটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। হলদিয়া পেট্রকেমের শ্রমিক কর্মচারীরা বলেন, করোনার জন্য তাঁদের জেনারেল সিফ্ট বন্ধ করা হয়েছে এবং সাপ্লাই লেবারদের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও প্রতি সিফ্টে প্রায় ১০০০ শ্রমিক কর্মচারী কাজ করছেন। এক জায়গায় অনেককে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হচ্ছে বা বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কারখানার গেটে সিফ্টিং পরিবর্তনের সময়ে কয়েকশো শ্রমিকের ভিড় হচ্ছে, যা করোনার ক্ষেত্রে সঠিক নয়। অনেকের পরিবারের সদস্যরা বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তাঁদের সঙ্গে যাতায়াত করতেও কর্মচারীরা ভয় পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কোয়ারেন্টাইন ছুটির দাবি জানান।
সুতাহাটার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী, সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অচিন্ত্য শাসমল বলেন, বিভিন্ন কারখানা থেকে শ্রমিক কর্মচারীরা ফোন করে আমাদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার কিংবা শ্রমদপ্তর কারখানা কর্তৃপক্ষকে মানবিক হওয়ার আবেদন জানালেও তারা তা মানছে না। তবে বেশ কয়েকটি শিল্প সংস্থা ন্যূনতম শ্রমিক কর্মচারী নিয়ে কারখানা চালাচ্ছে এবং কোয়ারেন্টাইন ছুটির ব্যবস্থা করেছে।
হলদিয়া এনার্জি লিমিটেড মোট শ্রমিক কর্মচারীর এক তৃতীয়াংশ নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো জরুরি পরিষেবা চালু রেখেছে। সংস্থার আধিকারিক বিদুষরঞ্জন সেন বলেন, কারখানায় ছ’শোর মতো স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারী ও আধিকারিক রয়েছেন। প্রতিদিন ১২ঘণ্টা করে ২০০জন কাজ করছেন। টানা কয়েকদিন কাজের পর আবার টানা চারদিন ছুটি দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের ছুটিকে কোয়ারেন্টাইন ছুটি বলা হচ্ছে।
শ্রমিকনেতারা বলেন, হলদিয়া এনার্জি এক্ষেত্রে মডেল হতে পারে। তবে হলদিয়ার কিছু বেসরকারি ভোজ্যতেল সংস্থা কোনও নিয়ম মানছে না বলে অভিযোগ। এদিকে হলদিয়া বন্দরেও বিভিন্ন বার্থে শ্রমিকরা ছুটি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(ট্রাফিক) অভয় মহাপাত্র বলেন, বন্দরে নন-অপারেশানাল ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন ছুটি সোমবার থেকে চালু হলেও অপারেশনাল ক্ষেত্রে তা করা সম্ভব নয়।
এদিকে, হলদিয়া শহরে লকডাউনের সুযোগ নিয়ে টাউনশিপ এলাকার সেক্টর নাইন ও সেক্টর থার্টিন এলাকায় প্রাইভেট টিউটর ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা রমরমিয়ে টিউশনি পড়াচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এক একটি টিউশনি সেন্টারে গড়ে ১০-১৫জন করে স্কুল পড়ুয়া সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় পাঠ নিচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, করোনার সময় যখন সবাইকে সরকার গৃহবন্দি থেকে ‘সোশ্যাল ডিসটেন্সিং’এর নির্দেশ দিচ্ছে, তখন কীভাবে সেই নিয়ম ভাঙছেন এই শিক্ষকরা? এবিষয়ে পুলিসকেও জানানো হয়েছে।