বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
২০১৮-’২০ সেশনের ১৪হাজারের বেশি বিএড পড়ুয়ার এনরোলমেন্ট নিয়ে গত তিনমাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে টানাপোড়েন চলছিল। যার ফলে ডিসেম্বর মাসে ফার্স্ট সেমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনও অবধি এনরোলমেন্ট হয়নি। এনসিটিই-র ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসের গোড়া থেকে সেকেন্ড সেমেস্টারের পড়াশোনা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীদের বৈধতার বিষয়টি এতদিন চূড়ান্ত হয়নি। তাই এনরোলমেন্ট থেকে রেজিস্ট্রেশন, যাবতীয় পদ্ধতি থমকে ছিল। শুক্রবার পরীক্ষা নিয়ামক এনরোলমেন্টের বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর ছাত্রছাত্রীদের হতাশা অনেকটা কেটে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
২০১৮-’২০ শিক্ষাবর্ষে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ১৪৪টি সেল্ফ ফিনান্সিং বিএড কলেজে ছাত্র ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পরবর্তীকালে আরও চারটি কলেজ ছাত্র ভর্তির অনুমোদন পায়। ১৪হাজারের বেশি আসনে মাত্র আড়াই হাজার ছাত্রছাত্রী কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভর্তি হন। যার ফলে বিএড কলেজগুলিতে একচেটিয়া আসন ফাঁকা ছিল। এই অবস্থায় ম্যানেজমেন্ট কোটায় সেইসব আসনে ছাত্র ভর্তি করানো হয়েছে। ১০০আসন বিশিষ্ট একটি বিএড কলেজে ৯০টি আসন কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট ১০টি আসনে ম্যানেজমেন্ট কোটায় ছাত্র ভর্তি নেওয়ার নিয়ম। কিন্তু, বাস্তবে ঘটেছে উল্টোটাই। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে এক-একটি কলেজে ১০-১২টি আসন পূরণ হলেও বাকি সমস্ত আসনে ভর্তি হয়েছে ম্যানেজমেন্ট কোটায়। আর এটিকেই হাতিয়ার করে কলেজগুলিকে চেপে ধরেছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ২৪ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের(ইসি) বৈঠকে বিএড কলেজগুলিকে মাফ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শর্ত ছিল, কলেজগুলি ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরকম ভুল করবে না এই মর্মে চিঠি দিলে এনরোলমেন্ট করানো হবে। যদিও তারপরও প্রক্রিয়াটি থমকে ছিল। সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অংশ অধিকাংশ কলেজ থেকে ‘খাম’ চাওয়া হচ্ছিল। ৩০-৩৫টি কলেজ ‘বিশেষ শর্ত’ পূরণ করে এনরোলমেন্ট করালেও শতাধিক কলেজে এনরোলমেন্ট আটকে ছিল। এরমধ্যে একটি দালাল চক্র মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর তড়িঘড়ি এনরোলমেন্টের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ।
এনসিটিই-র রুলস মেনে গোটা দেশে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ২০১৮-’২০শিক্ষাবর্ষে বিএডের ফার্স্ট সেমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এমনকী, রাজ্যের অন্যান্য বিএড কলেজগুলিকে নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয় (ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব টিচার্স ট্রেনিং এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এর আওতায় থাকা সমস্ত কলেজে ফার্স্ট সেমেস্টারের পরীক্ষা ডিসেম্বরেই শেষ হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিএড কলেজগুলি বালিগঞ্জে অবস্থিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে গিয়েছে। অথচ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১৪৮টি কলেজে ছাত্রছাত্রীদের এনরোলমেন্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্বপূর্ণ তিন মাস সময় খরচ করে ফেলল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।