বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সারদা, রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির তদন্ত বিলম্বিত হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান যুব কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি গোপন বোঝাপড়া করেছে তৃণমূলের সঙ্গে। তাই তদন্ত গতি পাচ্ছে না। ফলে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করেও দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে না। যেসব আমানতকারী প্রতারিত হয়েছেন, তাঁরাও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। সিবিআই দপ্তরে বিক্ষোভের দিনই মান্নান জানান, তাঁরা সিবিআই তদন্তের দ্রুত নিষ্পত্তির দাবিতে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসবেন। উল্লেখ্য, গত ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছিলেন। প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর সেই ধর্না প্রত্যাহার করেন মমতা। এদিন ধর্মতলায় মিছিল করে যুব কংগ্রেস কর্মীরা মেট্রো চ্যানেলে এসে রাস্তায় বসে পড়েন। এদিন দুপুরে যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সাদাব খান, সহ-সভাপতি রোহন মিত্র, ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ, পুরপিতা সন্তোষ পাঠক সহ যুব কর্মীদের নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মিটিং-মিছিলের জন্য ধর্মতলার এই এলাকাটি নিষিদ্ধ। তাই কর্মসূচির বিষয়ে জানিয়ে পুলিসকে চিঠি দিলেও তারা কোনও অনুমতি দেয়নি। স্বভাবতই পুলিস এদিন প্রথমে তাঁদের সরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু মৌখিক অনুরোধে কাজ হয়নি। তখন পুলিশ জোর করেই বিক্ষোভকারীদের গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। মান্নানের দাবি, মেট্রো চ্যানেলে সভা-সমিতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। তাই তাঁরা কোনও দিন ওইখানে সভা করতে পারেন না। কিন্তু গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী যে সেখানে মঞ্চ বেঁধে ধর্না দিয়েছিলেন, পুলিস তার অনুমোদন দিল কী করে? প্রশ্ন তুলেছেন মান্নান। এদিন তিনি বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু বর্তমান বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী আইনের ঊর্ধ্বে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ধর্নায় বসার জন্য শুধু অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার প্রমুখ।