উত্তরবঙ্গ

উৎসবের মরশুমে পাতার দাম তলানিতে, ১১ টাকা কেজি, মাথায় হাত চা-চাষিদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: উৎসবের মরশুমে কাঁচা পাতার দাম তলানিতে। ফলে মাথায় হাত ক্ষুদ্র চা চাষিদের। অভিযোগ, বটলিফ ফ্যাক্টরি মালিকদের একাংশ কার্যত জুলুমবাজি চালাচ্ছেন। ইচ্ছেমতো পাতার দাম দিচ্ছেন তাঁরা। ক্ষুদ্র চা চাষিদের দাবি, একেই তো উৎপাদন কম, তার উপর যদি পাতার দাম না মেলে তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। না খেয়ে মরতে হবে তাঁদের। অন্যদিকে, চা ফ্যাক্টরি মালিকদের বক্তব্য, প্রচুর চা মজুত রয়েছে। বিক্রি নেই। এর আগে অনেক বেশি দামে কাঁচা পাতা কিনেছেন তাঁরা। সেই চা তৈরি করতে গিয়ে খরচ যা দাঁড়িয়েছে, কত দামে তা বিক্রি হবে তা নিয়েই এখন চিন্তিত তাঁরা। তাছাড়া অসমে চা পাতার দাম পড়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে তাঁদেরও পাতার দাম কমাতে হয়েছে। 
পুজোর সময় চা ফ্যাক্টরি বন্ধ ছিল। গত সোমবার খোলে। সেদিন কাঁচা পাতার দাম ছিল প্রতি কেজি ২৬-৩০ টাকা। মঙ্গলবার আচমকা দাম কমে হয় ২২-২৬ টাকা। বুধবার সেই দাম আরও নামে। কেজি প্রতি কাঁচা পাতা বিক্রি হয় ১১-১৬ টাকায়। বৃহস্পতিবার পাতা ওঠেনি। দাম পড়তে থাকায় গোটা উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিরা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। 
উত্তর দিনাজপুরের ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের সম্পাদক দেবাশিস পাল বলেন, এমনিতেই পাতার উৎপাদন কম। তার উপর যদি ফ্যাক্টরি মালিকরা স্বেচ্ছাচারি মনোভাব দেখান তাহলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব আমরা। কোচবিহার জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক রাব্বু খান বলেন, একে তো দাম তলানিতে। তার উপর শুকনো পাতায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত জল কাটা হচ্ছে। এটা ক্ষুদ্র চা চাষিদের পেটে লাথি মারা ছাড়া কিছুই নয়। 
জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ক্ষুদ্র চা চাষিদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বটলিফ ও ছোট চা চাষিদের নিয়ে যৌথ কমিটি করা হয়েছিল। কিন্তু বটলিফগুলি যেভাবে মর্জিমাফিক পাতার দাম দিচ্ছে, তাতে যৌথ কমিটির অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। অবিলম্বে যদি পাতার দাম না বাড়ে, তাহলে উত্তরবঙ্গজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। প্রয়োজনে রাস্তায় চা পাতা ফেলে বিক্ষোভ হবে। 
বটলিফ মালিকদের সংগঠন নর্থবেঙ্গল টি প্রোডিউসার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ধানুটি বলেন, আমরা কখনও চাই না কাঁচা পাতার দাম কমুক। এর আগে আমরা ৩৬ টাকা কেজি দরেও পাতা কিনেছি। কিন্তু অত বেশি দাম দিয়ে পাতা কিনে চা তৈরির পর ফেলে রাখতে হয়েছে। বিক্রি নেই। তাঁর দাবি, বৃহস্পতিবার চায়ের ৪২ তম অকশন হয়েছে। অথচ ৪৭ তম অকশনের জন্যও চা মজুত হয়ে গিয়েছে। সপ্তাহে একদিন অকশন হয়। ফলে এখনই যে চা মজুত রয়েছে, তা অকশন হতে দেড় মাস সময় লেগে যাবে। এই অবস্থায় কীভাবে পাতার বেশি দাম দেব আমরা? তাছাড়া অসমেও চা পাতার দাম পড়ে গিয়েছে।
4h 4m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৩ টাকা৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.০৬ টাকা১১১.৮৬ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা