উত্তরবঙ্গ

একই যুবতীর একাধিক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে টাকা, শুধু কালীগঞ্জ ব্লকেই এমন ‘রূপশ্রী’ ৬৭ জন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ: একই যুবতীর নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। আর প্রতিটি অ্যাকাউন্টেই দফায় দফায় ঢুকেছে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা। সম্প্রতি নদীয়া জেলায় এই ধরনের জালিয়াতির ভূরি ভূরি ঘটনা সামনে এসেছে। দেখা গিয়েছে, দু’-তিনবার নয়, চারবার রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা একই ব্যক্তির চারটি অ্যাকাউন্ট ঢুকেছে। বিষয়টি সামনে আসতেই প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কালীগঞ্জ ব্লকে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। অন্য বেশকিছু ব্লকেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একাধিকবার রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে তাঁদের ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে নোটিস দিয়ে অতিরিক্ত টাকা ফেরত নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেকে টাকা ফেরত দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, এই ধরনের অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে ২০১৯-২০ সাল নাগাদ। এইভাবে জালিয়াতি করে সরকারি প্রকল্পের টাকা আদায়ের জন্য প্রতি ব্লকেই কিছু অসাধু চক্র কাজ করছে বলে প্রশাসনিক মহলের একাংশের অনুমান। ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রশাসন। অর্থাৎ ব্লক প্রশাসনের নিচুতলার কর্মীদের এই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। 
জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলার মধ্যে কালীগঞ্জ ব্লকে রূপশ্রী প্রকল্পে অনৈতিকভাবে সরকারি টাকা নেওয়ার ঘটনা সবচেয়ে বেশি। কতজন যুবতী বিয়ের জন্য রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা একাধিকবার নিয়েছেন, তার একটি তালিকা বানানো হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, ৬৭ জন যুবতী দুই বা ততোধিকবার রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নিয়েছেন। ২০১৯ সাল নাগাদ এই ঘটনাগুলো ঘটেছিল। যা সামনে আসতেই ব্লক প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। জালিয়াতি করে নেওয়া টাকা সরকারের কোষাগারে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয় কালীগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। বিডিওর তরফ থেকে শুনানি করে প্রকল্পের টাকা ফেরত নেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। যা রাজ্যের কোষাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা যাঁদের অ্যাকাউন্টে একাধিকবার ঢুকেছে তাঁদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেইমতো তাঁদের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই ব্লক অফিসে এসে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিয়ে যাচ্ছেন। রূপশ্রী প্রকল্পে নতুন আবেদন নিয়েও আমরা কড়া হয়েছি।’ এইসব যুবতীদের বিরুদ্ধে আগামী দিনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। 
‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে বিয়ের আগে আবেদনকারীকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্যে সরকার। ফলে মেয়ের বিয়ের খরচ নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকেন অভিভাবকরা। জনমুখী সেই প্রকল্পের টাকাই জালিয়াতি করে আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু কীভাবে এই জালিয়াতি সম্ভব হল? প্রশাসনিক মহলের দাবি, ২০২২ সালের আগে আধার বেসড পেমেন্টের ব্যবস্থা ছিল না। যার ফলে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একই আধার কার্ড ব্যবহার করলেও ধরা পড়ার সুযোগ ছিল না। সেই সুযোগ নিয়েই সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানো হয়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, এমনও দেখা যাচ্ছে যে দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে যুক্ত আধার কার্ডের নাম, পরিচয় সবটাই এক। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকাও দুটো ভিন্ন অ্যাকাউন্টে দু’বার ঢুকেছে। অথচ প্রকৃত আবেদনকারী সেটা জানেন না। অর্থাৎ আবেদনকারীর আধার নম্বর ব্যবহার করে ভুয়ো আধার কার্ড বানানো হতো। তারপর সেই ভুয়ো আধার কার্ডের সঙ্গে ভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করেছেন, এই ঘটনায় প্রশাসনের নিচুতলার কর্মীরা যুক্ত ছিলেন।
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৩ টাকা৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.০৬ টাকা১১১.৮৬ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা