গল্পের পাতা

হেড অফিসের বড়বাবু

অঙ্কন মুখোপাধ্যায়: বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার। ব্যাচেলর ছেলে, বাবা-মাকে নিয়ে সোদপুরের দিকে থাকে। গার্লফ্রেন্ড আছে, নাম জুয়েল। জুয়েলের এম.কম শেষ হলেই ওদের বিয়ে হবে এমনই কথাবার্তা হয়ে আছে দুই বাড়ি থেকে। পার্থ এই অফিসে সবার জুনিয়র। সবার প্রিয় পাত্রও বটে।
 সোদপুর থেকে অফিস আসতে একঘণ্টা লাগে বাসে। নীচ থেকে এই তিনতলায় সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে দৌড়ে উঠে এসে গলদঘর্ম অবস্থা হয়েছে ওর। অফিসের লিফ্ট বন্ধ হয়ে পড়ে আছে গত পনেরোটা দিন ধরে। উপর মহলে কয়েকটি দরখাস্ত পৌঁছলেও, লিফ্টের সুরাহা হয়নি কোনও। অগত্যা সিঁড়িই ভরসা এখন। 
পার্থ হাতে বাঁধা ঘড়ি দেখল। সর্বনাশ! দশটা! তবু পুরো দশটা বাজেনি। দু’মিনিট বাকি রয়েছে এখনও। দশটা পার হয়ে যাওয়া মানেই একেবারে ক্ষুধার্ত বাঘের সামনে গিয়ে দাঁড়ানো। আর নিস্তার নেই। বাঘের কামড় তখন খেতেই হবে। এই অফিসের বাঘ হলেন নতুন আসা বড়বাবুটি, পশুপতি মজুমদার। ক্ষুধার্ত বাঘ আর পশুপতি মজুমদার যেন ভাই-ভাই। এক মায়ের উদর থেকে যেন দু’জনের জন্ম। বাঘের তর্জন গর্জনে যেমন জঙ্গল কাঁপে, পশুপতি মজুমদারের কারণে কাঁপে গোটা এই অফিস। অফিসের অধস্তন কর্মচারীরা সব সময় ভয়ে কেঁচো হয়ে থাকেন পশুপতি মজুমদারের কারণে।
পশুপতি মজুমদার আসার আগে পর্যন্ত অবশ্য এখানে শান্তি ছিল। কাজের পাশাপাশি ছিল হাসি-মজা, গল্পগাছা। প্রায় দিনই লেগে থাকত খাওয়াদাওয়ার পর্ব। আজ এর জন্মদিন, কাল ওর বিবাহবার্ষিকী। ছুতো একটা পেলেই হল। কিন্তু যবে থেকে এই নতুন বড়বাবুটি বদলি নিয়ে এখানে এসেছেন, তবে থেকে শুরু হয়েছে অনাসৃষ্টিটা। পশুপতি মজুমদার কড়া ধাতের মানুষ। নিজে হাসেন না, আর অপর কাউকে হাসতে দেখলেও সহ্য করতে পারেন না তিনি। উনি নিয়ম করে দিয়েছেন, অফিস আওয়ার্সে কোনও রকম গল্পগাছা, হাসি-ঠাট্টা করা যাবে না। আর খাওয়াদাওয়া নামক অপকর্মগুলো একবারে বন্ধ। অধস্তন কর্মচারী সন্দীপন রায় প্রথম দিন বড়বাবুকে বলতে গিয়েছিলেন, ‘স্যার, একটা কথা ছিল।’ পশুপতি মজুমদার চশমার ভিতর দিয়ে গোল গোল চোখ করে তাকালেন, ‘কী কথা?’ 
গোল গোল চেহারার খাদ্যরসিক সন্দীপন অতি উৎসাহে জানিয়েছিল মনের কথাটা, ‘আপনি নতুন জয়েন করলেন। একটা পার্টি না হলে চলবে বলুন?’ 
‘পার্টি! এটা কি হোটেল নাকি?’
‘না, এই সকলে মিলে একটু আনন্দ...’ কথা শেষ হয়নি তখনও সন্দীপনের, তার আগেই ‘শার্ট আপ’ বলে থামিয়ে দিয়েছিলেন পশুপতি মজুমদার, ‘খেয়ে খেয়ে চেহারার কী অবস্থা করেছেন দেখেছেন একবার। বাড়িতে আয়না নেই?’ 
সন্দীপন ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানিয়েছিল। কারণ সবার মতো তার ফ্ল্যাটেও আয়না আছে। বাকি সবাই বুঝেছিল সেই দিন, এবার থেকে তাদের সব কিছুতেই ফুলস্টপ পড়ল।
‘যান, টাইম ওয়েস্ট না করে নিজের নিজের কাজে যান সবাই। বুঝেছেন কি বোঝেননি!’
কেউ আর কথা এগনোর সাহস পাননি। বাধ্য ছেলের মতো বড়বাবুর ঘর ছেড়ে সরে পড়েছিলেন একে একে। মনে মনে গালি দিয়েছিল প্রায় সবাই— হুঁ, পশু তো পশুই। একেবারে পশু। শেষে কি না একটা উজবুক এসে জুটল।
দরজা খুলে লম্বা করিডোর দিয়ে নিজের সেকশনে পৌঁছতে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেল শেষ পর্যন্ত পার্থর। যা ভেবেছিলেন তাই, বাঘ বসে আছেন অ্যাটেনডেন্স রেজিস্ট্রার নিয়ে। পার্থ দেওয়ালে টাঙানো শৌখিন ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে মিনমিনে গলায় বলল, ‘দু’মিনিট লেট।’
‘লেট শব্দটাই আমি পছন্দ করি না একদম। তোমার এই দু’মিনিট লেটের জন্য কোম্পানির কত বড় ক্ষতি হবে জানো? কোম্পানির প্রতি তোমাদের কারও কোনও দায়বদ্ধতা নেই। যখন ইচ্ছা আসবে, যা ইচ্ছা করবে। কী ভেবেছ কী...’
পশুপতি মজুমদার শুরু করলে থামতে ভুলে যান। উনি নিজেই যে বকে বকে কোম্পানির আরও ক্ষতি করে দিচ্ছেন তা কে বোঝাবে। পার্থ মাথা নিচু করে শুধু বলল, ‘সরি স্যার।’
‘সরি! সরি বললেই হয়ে গেল? কোম্পানির যে এত বড় লস হচ্ছে তোমাদের জন্য। তার কী হবে? কার পকেট থেকে দেওয়া হবে শুনি? কী হল? বুঝেছ না বোঝোনি?’ 
কথার শেষে ‘বুঝেছ না বোঝোনি’ পশুপতি মজুমদারের মুদ্রাদোষ। কিন্তু ওঁর কারণে অতিষ্ঠ অফিসের বাকি সবাই, সেটাই উনি বোঝেন না। পার্থ মাথা নিচু করে বড়বাবু পশুপতি মজুমদারের ঘর থেকে বেরিয়ে আসছিল। আবার পিছন থেকে ডাক দিলেন বড়বাবু, ‘সাইনটা করে যাও। আজকেই লাস্ট। দশটার আগে আসবে। দশটায় আসবে। কিন্তু দশটা এক না হয় যেন।’
পার্থকে আরও একচোট কথা শুনতে হল সাইন করার সময়। জামার ডান হাতার বোতামটা যে কখন ছিঁড়ে গিয়েছিল তা খেয়াল করেনি পার্থ। কিন্তু খেয়াল করেছিলেন বড়বাবু পশুপতি মজুমদার। কথা শোনাতে ছাড়েননি একটুও, ‘এটা অফিস। তোমার পাড়ার রক নয়। যে, যেমন করে হোক চলে আসবে ঘুরতে। বুঝেছ না বোঝোনি...?’
‘বুঝেছি।’
‘যাও এখন আমার চোখের সামনে থেকে।’
মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল পার্থর সকাল থেকেই। যে কর্মোদ্যমী ছেলেটার মুখে কেউ কখনও দুঃখ দেখেনি, যার কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বাকি সবার থেকে বেশি, যে সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে রাখে সবসময়, সে-ই একেবারে নিস্তেজ হয়ে এসে বসল নিজের কম্পিউটার টেবিলের সামনে। ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গিয়েছে একেবারে। কান দুটো গরম। জামা ঘামে ভিজে গিয়েছে। মুখে কিছু না বলতে পারলেও মনে মনে যে খুব ফুঁসছে ছেলেটা তা বুঝতে পেরেই এগিয়ে এলেন সিনিয়র অফিসার যোগেনবাবু। পার্থর কাঁধে স্নেহের হাত রাখলেন, ‘ওর কথায় মনখারাপ কর না ভায়া। ওটা কি মানুষ। নামেও পশু, কাজেও তাই। দেখনি, আমাদের কারওকে ছাড়ে না। যা নয়, তাই বলে।’
পাশের টেবিল থেকে সন্দীপনদা ফুট কাটলেন, ‘দেখনি পার্টি দেওয়ার কথা বলতে যাওয়ায় আমাকে কেমন বলেছিল সেদিন পশুটা।’
এইসময় আবার পশুপতি মজুমদার হাজির। ‘কী ব্যাপার কাজকর্ম বন্ধ করে কী গল্প শুরু হয়েছে এখানে? যোগেনবাবু...’
‘হ্যাঁ স্যার।’ 
‘উইকলি আপডেট রেডি আছে?’
‘হুম, মানে, ইয়ে...’
‘রেডি করে এক্ষুনি আমার রুমে আসুন।’
‘হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ স্যার। আপনি যান, আমি এক্ষুনি পুরোটা রেডি করে নিয়ে আসছি।’
সন্দীপন, পার্থ সহ বাকি সবার দিকে কড়া চোখে তাকিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলেন পশুপতি মজুমদার। 
‘আজ কপালে দুঃখ আছে...’ বলে পার্থকে ছেড়ে যোগেনবাবু চলে গেলেন নিজের টেবিলের দিকে। 

দুই
‘কী রে এত দেরি করলি যে?’ সন্ধেবেলা পার্থ ক্লাবে আসতেই  রবিন বলল। 
‘আর বলিস না অফিসে নতুন বড়বাবু এসেছেন। খিটকেলে পিস একেবারে। সারাক্ষণ মাথা খারাপ করে রেখেছেন। অফিস ছুটির পর বেরতে বেরতে আরও আধ ঘণ্টা লাগিয়ে দিচ্ছেন। ছাড় তো বাদ দে ওইসব ফালতু কথা। চল বাকি চাঁদা ক’টা তুলে আনি। হাতে একদম সময় নেই আর।’
‘হ্যাঁ চল...’ 
পুজোর প্যান্ডেল বানানো শুরু হয়েছে। বেদির উপর মায়ের কাঠামোতে মাটি পড়েছে। মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ী হয়ে উঠছেন মা ধীরে ধীরে। মা আসতে বেশি দেরি নেই আর। তাই চাঁদা তুলতে বেরিয়েছে পাড়ার ছেলেরা। তাদের মাথা হয়ে আছে পার্থ নিজে। ঘুরতে ঘুরতে পাড়ার শেষ বাড়িটায় এসে কলিং বেল বাজাল পার্থদের দলের একজন। সন্তুদাদুর বাড়ি। নীচের তলায় দাদু আর দিদা থাকেন। উপর তলায় ভাড়া এসেছে নতুন। সন্তুদাদুর থেকে চাঁদা নিয়ে উপরে এসেছে পার্থরা। কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন একজন নাইটি পরিহিতা মহিলা। মহিলাটির চেহারা একটু ভারীর দিকেই।
‘কী চাই?’
‘দুর্গাপুজোর চাঁদা।’
‘এ পাড়ার ছেলে বুঝি তোমরা?’
‘হ্যাঁ মাসিমা।’ 
‘ভেতরে এসো। প্রথম এলে বাড়িতে, তার উপর পুজোর সময়। ভেতরে এসো। একটু পরিচয় করে রাখি। কখন আপদে-বিপদে লাগে!’ 
দেখে খানিক জাঁদরেল মনে হলেও মহিলাটি বড় মিশুকে বোঝা যাচ্ছে। পরিপাটি করা সোফায় বসিয়ে গল্প শুরু হয়েছে, ‘আমরা এ পাড়ায় নতুন। আগে ছিলাম ধানবাদে। কর্তা বদলি হলেন এখানে। এই দেখ শুকনো মুখে বসিয়ে রেখেছি তোমাদের। চা খাবে তো তোমরা?’
‘কেন নয়!’ ভোম্বল যেন এর অপেক্ষাতেই ছিল এতক্ষণ। মুখ থেকে কথাটা পড়তেই, ক্যাচ লুফে নিল পুরো। মহিলাটি তারপর ভিতরের দিকে কাকে যেন উদ্দেশ করে বলেন, ‘কই গো শুনছ... পাঁচ কাপ চা দিয়ে যাও তো এখানে।’ গলায় একটু তেজ ফুটে উঠল যেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই চা এল। আর পাঁচ কাপ চা ট্রেতে সাজিয়ে যিনি আনলেন তাকে দেখে পার্থর পৃথিবী যেন থমকে গেল কয়েক মুহূর্তের জন্য! পার্থ গোল গোল চোখে তাকিয়ে আছে। বিস্ময়কর দৃশ্য! পরনে লুঙ্গি, গায়ে স্যান্ডো গেঞ্জি হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ওর অফিসের বড়বাবু পশুপতি মজুমদার! পার্থকে এখানে দেখে ওঁর পৃথিবীও বোধহয় কক্ষপথ হারিয়েছে ততক্ষণে। 
‘হল কী তোমার... চায়ের ট্রে নিয়ে অমন হাঁদার মতো দাঁড়িয়ে রইলে যে! চা-গুলো টেবিলে নামিয়ে রেখে যাও রাতের রান্নাটা কর তাড়াতাড়ি।’ ঝাঁঝ আছে মহিলার গলায়। কাচুমাচু মুখ করে চলে যাচ্ছিলেন পশুপতি মজুমদার। ঘাড় ঘুরিয়ে মহিলাটি ডাকলেন আবার স্বামীকে, ‘ওহ বলতে ভুলেই গেছি...’ ভুলে যাওয়া কোনও কথা হঠাৎ মনে পড়ল যেন মহিলাটির এই কুস্থলেই, ‘মিনু আবার কাল আসবে না বলে গেছে। আমি কিন্তু রাতের এঁটো বাসন মাজতে পারব না। ও তুমি বুঝে নিও বরং...’ 
তারপর পার্থদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে মহিলাটি হাসি হাসি ভঙ্গিতে বললেন, ‘এই দেখ, তোমরা বসে আছ কেন। চা খাও।’ 
প্রথমে ট্রে থেকে একটা কাপ তুলে নিলেন মহিলাটি। তারপর পার্থরা নিজের নিজের কাপ তুলে চায়ে 
চুমুক দিল। 

তিন
দশটা বাজার আগেই পার্থ বসে গিয়েছে নিজের কম্পিউটারে। আজ মন বড় ফুরফুরে। আসার সময় একবার উঁকি দিয়ে এসেছে বড়বাবুর কাচের দরজায়। ঘরের ভিতরে রিভলভিং চেয়ার তখনও খালি পড়ে ছিল। ঠিক দশটা বাজার এক-দু’মিনিট আগেই পশুপতি মজুমদার আসেন। আজ লেট হচ্ছে ওঁর। আরও দশ মিনিট পর পিওন ছেলেটি এসে খবর দিল, ‘বড়বাবু এসেছেন। সবাইকে একবার যেতে বলেছেন ওঁর রুমে।’ 
যোগেনবাবু, সন্দীপন সহ বাকি সবাই নিত্যদিনের মতো দুরু দুরু বুকে হাজির হল বড়বাবুর ঘরে। বড়বাবু পশুপতি মজুমদার গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছেন সবার দিকে। এসির বাতাসেও বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে যোগেনবাবুদের কপালে। 
‘পার্থ কোথায়?’
সেই সময় কাচে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে এল পার্থ। দু’জনের মধ্যে চোখাচোখি হতেই দু’জনেরই মনে পড়ে গেল গত রাতের কাকতালীয় ঘটনাটা। জাঁদরেল স্ত্রীর পিছনে ভীত সন্ত্রস্ত পশুপতিবাবু দাঁড়িয়ে আছেন হাতে চায়ের ট্রে নিয়ে। পরনে লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জি। কে বলবে, এই পশু আর ওই পশু এক ব্যক্তি!
পশুপতি মজুমদার গলা ঝেড়ে বললেন, ‘ভাবছি ডিউ থাকা পার্টিটা পরশু দিন দিয়ে দেব। সন্দীপন মেনু ঠিক কর।’ 
আশ্চর্য এই কথায় মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলেন বাকি সবাই। শুধু পার্থ দাঁড়িয়ে রইল সবার পেছনে চুপ করে। 
‘কী? বুঝেছেন না বোঝেননি?’ 
বাকি সবাইকে পশুপতি মজুমদার বেরিয়ে যেতে বললেন শুধু পার্থ ছাড়া। সবাই চলে গেলে পশুপতি মজুমদার গত রাতের মতো কাচুমাচু মুখ করে বললে, ‘বস না। দুটো কথা বলি। আমরা তো এখন এক পাড়ার বাসিন্দা। প্রতিবেশী। তাই না? বস।’
পার্থ বসল। পশুপতি মজুমদার খপ করে পার্থর হাত দুটো ধরে বললেন, ‘কাউকে কিছু বল না ভায়া। কথাটা যেন চাপা থাকে। প্লিজ।’ 
দরজা খুলে বেরিয়ে আসার সময় পার্থ একবার দাঁড়াল। একগাল হেসে শুধু বলল, ‘স্যার, মাসিমা কিন্তু বড় ভালো মানুষ। হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছেন। আর আপনার হাতের চা-টাও বেশ ভালো ছিল।’’
‘বুঝেছ তাহলে।’ করুণ মুখে তাকিয়ে আছেন বড়বাবু।
বাইরে বের হতেই সবাই ঘিরে ধরলেন পার্থকে, ‘কী হল? কী বলল বাঘটা?’
‘বাঘের মাসি কেন বেড়াল সেটাই বোঝাচ্ছিলেন।’
‘মানে...?’
‘ওই মানেটাই তো বোঝাচ্ছিলেন। বড় জটিল কেস!’
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১০ টাকা৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৪ টাকা১১২.১৯ টাকা
ইউরো৯১.৫৩ টাকা৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
14th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা