বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা

ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। 
হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বাচ্চা-কাচ্চা ছোট, বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মায়েদের অসুস্থতা, পোষ্যদের নিয়ে সমস্যা, টাকা পয়সার টানাটানি আরও কত কী! যদিও এসবের কোনওটাই আমার ব্যক্তিগত নয়। সবই বন্ধুবান্ধবদের। 
আমি ঝাড়া হাত পা মানুষ। পায়ের তলায় সর্ষে। সমস্যা টমস্যা এখনও আমায় ছুঁয়ে দেখতে পারেনি একেবারেই। যেখানে যা পাই আগডুম, বাগডুম ঘুরে বেড়াই। তবে সোলো ট্রিপ একেবারেই পছন্দ নয় আমার। নিজেকে কেমন হতভাগ্য মনে হয়। বিশেষত সন্ধেবেলা, সারাদিন ঘোরাঘুরির পর হোটেল কিংবা লজে ফিরে আয়েশ করে গল্প করা, স্মৃতি রোমন্থন অথবা একে অপরের সিক্রেটস নিয়ে লেগপুলিং করার জন্য দু’একজন এক গ্লাসের বন্ধু না থাকলে ঠিক জমে না। 
চলছিল ভালোই। তবে গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন না, জগৎ সংসার দুঃখের কারণ! শেষ পর্যন্ত ঘটেছিল ওটাই। স্কুল, কলেজের বন্ধুগুলো বিয়ে সংসার করল কি জগৎ দুঃখময় হয়ে উঠল আমার কাছে। বেড়ানোর ব্যাচেলর গ্রুপ গেল বন্ধ দোকানের সাইনবোর্ড হয়ে। আমি পড়লাম মস্ত বিপদে। সারা সপ্তাহ না হয় অফিস করব। কিন্তু ছুটির দিনগুলো কাটাব কীভাবে!  হন্যে হয়ে চেষ্টা করলাম অন্য গ্রুপ বানানোর। বিয়ে তো কি গার্লফ্রেন্ড থাকলেও চলবে না। 
তবে সে চেষ্টাও জমাট বাঁধল না সেভাবে। স্কুল, কলেজের অন্তরঙ্গতা কী চাকরি জীবনে গড়ে ওঠে! বাজেট, হিসাব, ভাগাভাগি এসবের চক্করে আটকে গেল নিখাদ স্ফূর্তিটাই। ওদিকে আবার ট্যুর কোম্পানির প্রতিও অ্যালার্জি আছে আমার। বেড়ানোটাকে কেমন যেন যান্ত্রিক আর ক্লান্তিকর করে তোলে তারা। এখানে নিয়ে যাব না, সেখানে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না, দুপুরে মাছ রাতে মাংস খেতে হবে বাধ্যতামূলক। না হলে পনির। রুটিন ভাঙতে গেছি নাকি গড়তে বোঝা যায় না সেটাই। খুড়তুতো ভাই অয়ন বলল, তোর আসলে ঘোরা বেড়ানোয় মন নেই, ওইসব বন্ধুদের সঙ্গে এদিক সেদিক ছ্যাবলামো করে বেড়ানোই উদ্দেশ্য। মেজাজটা গেল বমকে। মনে মনে বললাম, হ্যাঁ, তুমি তো হিউয়েন সাং। একা ঘুরে জগৎ উদ্ধার করে দাও। 
মনে মনে বলা কথায় কথা বাড়ে না। অয়ন সরে পড়ল বিজেতার ভঙ্গিতে। আমি ভিতরে ভিতরে গোমড়াচ্ছিলাম। এমন সময় দেখা হল এক ভূগোলবিদের সঙ্গে । সে বলল, বাবা, অপেক্ষা কর। পৃথিবীটা গোল। সুমেরু থেকে সোজা হেঁটে গেলে যেমন কুমেরু আসে, বিয়ের পর দু-তিন বছর কাটলেই আড্ডাবাজ ছেলেরা আবার বউ ছেড়ে বয়েজ ঠেকে ফিরে আসে ঠিক। কথাটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। হঠাৎ-ই একদিন ঋষির ফোন এল। 
—খুব বোর লাগছে। কয়েক দিনের জন্য কোথাও ঘুরে এলে হয় না!  
প্রথমটায় মনে হয়েছিল ভুল শুনছি। তারপর চমকে উঠে জিজ্ঞেস করলাম, বউ বাচ্চা সমেত! মানে তোর! 
ঋষি বলল, না না বন্ধুদের সঙ্গে। অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছি বউকে। বলেছে, দীঘা ছাড়া অন্য কোথাও হলে যেতে পার। আমি জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলাম কেন! দীঘায় কী এখনও সমস্যা আছে নাকি! তারপর চুপ করে গেলাম হঠাৎ-ই। সব বিষয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো। তড়িঘড়ি কনফারেন্সে নিলাম চাঁদু আর ভোম্বলকে। 
চাঁদু বলল, চাপ নেই। বউ কিছু দিন ধরেই বাপের বাড়ি যাব, বাপের বাড়ি যাব করছে। তাহলে ওই সময় ওকে রেখে আসব। ভোম্বলও সহমত হল। গম্ভীরভাবে বলল, হুম ম্যানেজ করতে হবে। অনেকদিন হল শুধু ঘর আর অফিস, অফিস আর ঘর। 
ঠিক হল কাছাকাছি কোথাও থেকে শুরু করা যাক আবার। তারপর না হয় বড়সড়। সেই মতো দিন ঠিক হল। শুক্রবার রাতে বেরিয়ে রবিবার ফেরা। চাঁদু নীরস গলায় বলল, দীঘা যাওয়া যখন বারণ তখন সেই ঘাটশিলাই যেতে হয়। বিভূতিভূষণের বাড়িটা এখনও আছে। আমরা সবাই রাজি হয়ে গেলাম এক কথায়। আমাদের প্রথম ট্রিপও এভাবেই ঠিক হয়েছিল অনেক বছর আগে, কলেজ লাইফে, বাংলা অনার্স পড়ার সময়। বাড়ি থেকে দীঘা যেতে দেয়নি, সবারই নাকি জলে ফাঁড়া আছে! দার্জিলিং যাওয়ার টাকা ছিল না। আমরা ঘাটশিলা চলে এসেছিলাম স্টিল এক্সপ্রেসে ধরে। কুমিরছানার মতো সামনে রেখেছিলাম বিভূতিভূষণের বাড়ি, যাতে আমাদের অভিভাবকেরা বোঝেন আমরা কতটা সিনসিয়ার এবং সাহিত্যপরায়ণ ছাত্র। এখন আমি ছাড়া সবার অভিভাবক পাল্টেছে। ভোম্বল বলল, তবুও যাই বলিস না কেন দীঘা যাওয়ায় ফাঁড়া আমাদের রয়েই গেল দেখছি। আমরা সবাই অর্থপূর্ণ হাসি হেসে উঠলাম। অনেক দিন পর বিজ্ঞাপনের ঝরনার মতো একটা তাজা হাওয়া বয়ে গেল আমাদের ভেতর। 
একটা রিসর্ট বুক করলাম অনলাইন। বাগান টাগান আছে, বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বলেই মনে হল। আজকাল ইন্টারনেট, ব্লগ এসে এসবের সুবিধা হয়েছে খুব। অনেক কিছু তথ্য পাওয়া যায় হাতের মুঠোয়। 
পরিকল্পনা অনুযায়ী বেরিয়ে পড়লাম। এবারেও স্টিল এক্সপ্রেস। তবে নন এসি থেকে এসিতে। আর লজ ছেড়ে রিসর্টে। এই ক’বছরে অ্যাচিভমেন্ট বলতে এতটুকুই। সে যাইহোক, রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ নামলাম ঘাটশিলা স্টেশনে। আমাদের চেহারায় সামান্য জেল্লা লাগলেও স্টেশনটা প্রায় একই রকম রয়ে গিয়েছে। বাইরে অটো স্ট্যান্ড। ঋষি এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, অমুক রিসর্ট যাবে? অটোওয়ালা একটু হেজিটেট করল। কী যেন ভাবল। তারপর বলল, বসুন। এক সময় বাঙালি দলে দলে হাওয়া বদল করতে আসত এসব জায়গায়। বাংলা ভাষার সঙ্গে যোগটা তাই এখনও রয়েই গিয়েছে এদের। বাঙালি দেখলে বাংলাতেই কথা বলে। ভোম্বল বলল, কলকাতা হলে হিন্দি বলত। আমি চোখ টিপে থামালাম ওকে। বেড়াতে এসে বিতর্কিত বিষয় আলোচনা করা ঠিক নয়। 
অটোয় উঠলাম আমরা। এদিকের অটোগুলো বেশ বড় বড়। দশজন আরামসে একসঙ্গে চলে যাবে। আর আমরা তো মাত্র চার। অটো ছুটে চলল রিসর্টের দিকে। রাস্তায় বেশ কিছু ছোট ছোট লজ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে নতুন হয়েছে। চাঁদু জিজ্ঞেস করল, কাল কোথায় কোথায় যাওয়া যেতে পারে! 
অটোওয়ালা বলল, বুরুডি লেক, ধারাগিরি ফলস, গালুদি ব্যারেজ, সুবর্ণরেখা নদী, বিভূতিভূষণের বাড়ি আর ফুলডুংরি পাহাড়। ফুলডুংরি শুনেই আমার মনে পড়ে গেল উৎপলকুমার বসুর সেই বিখ্যাত কবিতা, ‘শ্বাসকষ্ট উঠলেই বুঝতে পারি ফুলডুংরি পাহাড় আর বেশি দূরে নয়...’। ভোম্বল জিজ্ঞেস করল, তোমার সঙ্গে গেলে কত নেবে! অটোওয়ালা বলল, সব মিলিয়ে এক হাজার। ঋষি চিৎকার করে উঠল, ড্যাম চিপ। আমি অটোওয়ালার ফোন নাম্বারটা নিয়ে নিলাম। জানলাম ওর নাম বীরেশ মাহাতো। বীরেশ আমাদের দশ মিনিটে রিসর্ট পৌঁছে দিল। 
এমনিতে ছিমছাম, আশপাশে কিছু নেই। রিসর্টের পিছন দিকে চাষজমি, জঙ্গল। তারও পরে পাহাড়ের সিল্যুয়েট, যেন হাতির মতো নেমে এসেছে দলমা থেকে। রাতেরবেলা রিসর্টের মালিক এল। বাঙালি হলেও চেহারায় বেশ রুক্ষভাব। প্রাথমিক আলাপ সেরে এলেন গাড়ির কথায়। 
—কাল তাহলে কোথায় কোথায় যাচ্ছেন! একটা গাড়ি করে দিই সবকিছু ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেবে।  
জিজ্ঞেস করলাম, ভাড়া কত!
বলল, চার হাজার। 
চার হাজার! আঁতকে উঠল ঋষি। যেন জমি বাড়ি বন্ধক দিতে লাগবে ওকে। ভোম্বল বলল, না, দাদা আমরা একটা অটো দেখে নিয়েছি। ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, দুপুরের খাওয়া-দাওয়া! আমি বললাম রাস্তাতেই করে নেব। বুরুডি লেকের ধারে দেশি চিকেন আর ভাত। আগেরবার খেয়েছিলাম। মুখে লেগে আছে এখনও। রিসর্ট মালিক উঠে গেলেন, কথা বাড়ালেন না আর। 
পরের দিন ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা বেরিয়ে পড়লাম বীরেশ মাহাতোর অটোয়। অটো তো নয় সে যেন বিজয় রথ। গড়গড়িয়ে চলছে। অনেকদিন পর পুরনো বন্ধুরা সব একসঙ্গে। খানিক যেতেই দু’পাশে রুখামাঠ, গাছপালা, ছাগলচরা রাস্তা। দূরে টিলা পাহাড়, মাথার ওপর খোলা আকাশ। মনটাই যেন শরীর থেকে বেরিয়ে মিশে গেল এসবের সঙ্গে। বুরুডি লেকে বোটিং করে অর্ডার দিলাম লাঞ্চের। বীরেশই ঠিক করে দিল দোকান। বলল, একটা নাগাদ আপনাদের খাবার রেডি হয়ে যাবে। 
বিকেলের দিকে অটো এসে থামল সুবর্ণরেখার তীরে। এই নদীটিকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে কত গল্প, উপন্যাস। পড়ন্ত রোদে চকচক করছে সুবর্ণরেখার জল। সত্যিই কী সোনা পাওয়া যায় এই জলের মধ্যে থেকে! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছিলাম আমি। কতকগুলো ছেলেমেয়ে মাছ ধরছিল। হঠাৎ একজনের জালে উঠল সোনার গুঁড়ো মাখা ছোট ছোট মাছ। একগাদা, নড়াচড়া করছে এক সঙ্গে। 
আমাদের মনটাও নেচে উঠল। আজকাল বাজারে এসব পাওয়া যায় কোথায়! চারদিকে তো শুধু চালানি মাছ। ভোম্বল এগিয়ে গেল। দরদাম করে, নিল কেজি খানেক। বলল, রিসর্টে নিয়ে যাই, ভেজে দিতে বলব। চাঁদু বলল, শুকনো মাছভাজা খাওয়া যায় নাকি! গলায় আটকাবে না!
ঋষি আঁতকে উঠল, ‘আমার বউ কিন্তু দিব্যি দিয়েছে। ওই জন্যই দীঘা ছাড়েনি।’ 
অগত্যা, ঠিক হল কাল দুপুরে পুঁটিমাছ ভাজা, ডাল আর কচি পাঁঠা। আমরা সবাই লাফিয়ে উঠলাম, হুররে...। ফুলডুংড়ি পাহাড় না গিয়ে সোজা ফিরে এলাম রিসর্টে। 
কিন্তু ওই, গৌতম বুদ্ধ আরও বলেছিলেন, আকাঙ্ক্ষাই দুঃখের কারণ। পুঁটিমাছের আকাঙ্ক্ষা করেছ কি মরেছ। রিসর্ট কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দিল তারা ওসব ধোয়া, বাছা, ভাজাভাজির ঝামেলা করতে পারবে না। ভর সন্ধেয় যেন বোমা পড়ল মাথার ওপর। এই এতগুলো মাছ নিয়ে এখন আমরা করব কী! 
চাঁদু বলল, সব চক্রান্ত। গাড়ি নিইনি তাই। না হলে টাকা দিলে মাছ ভেজে দেবে না কেন! মাছের সঙ্গে ওদের কীসের শত্রুতা!
আমি বললাম, মাছের সঙ্গে নয়। মনে হচ্ছে আমাদের সঙ্গে। 
শেষ পর্যন্ত আমাদের আশঙ্কাই সত্যি হল। সকাল ন’টায় চেক আউট। আর বিকেল তিনটেয় ট্রেন। রিসর্ট মালিক বললেন, ঘরের পুরো ভাড়া লাগবে। একটা টাকাও ছাড়া যাবে না।
ভোম্বল বলল, আমাদের দুটো ঘর। একটা ছেড়ে দিচ্ছি। আর একটার ভাড়া দিচ্ছি। কয়েক ঘণ্টার তো ব্যাপার। রিসর্ট মালিক রাজি হলেন না। বললেন, বাজারে জোড়া কলা কখনও আলাদা আলাদা বিক্রি হতে দেখেছেন!  
প্রচণ্ড অবাক হলাম আমরা। চেয়েছিলাম ঘর, দেখিয়ে দিল কলা। সারাদিনের আনন্দ মাটি হয়ে গেল এক মুহূর্তেই। একটা তেতো রস যেন গলায় ঢেলে দিয়ে গেল কেউ।
চাঁদু বলল, এভাবে অপমানিত হয়ে ফেরা যাবে না। ব্যবস্থা একটা করতেই হবে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে মাছগুলো রাখার ব্যবস্থা করলাম। প্রকৃতির দান, ওগুলোকে কিছুতেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। 
পরদিন রিসর্ট ছাড়লাম ঠিক সকাল ন’টাতেই। পিঠে লাগেজ, হাতে পুঁটিমাছ। রাস্তায় হন্যে হয়ে খুঁজছি আইস প্যাক। হঠাৎ বীরেশের এন্ট্রি, অটো নিয়ে। যেন নাসিরুদ্দিন শাহ, ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো। সব শুনে বলল, আমার সঙ্গে চলুন। বন্দোবস্ত করে দিচ্ছি। আমরা দরাদরি ছাড়াই উঠে বসলাম বীরেশের অটোয়। এ সময় দরাদরির নয়, বাসন্তীর ইজ্জতের। অতএব চল ধন্ন...।  
 বীরেশ বলল, মালিকটা ভালো নয়। ডন ছিল আগে। আমরা এরকমই কিছু একটা সন্দেহ করেছিলাম।
চাঁদু বলল, গব্বর সিং। আগে খেয়াল করিনি। এখন দেখছি অনলাইন রিভিউয়ে অনেকেই লিখেছে খারাপ অভিজ্ঞতা। বীরেশ আমাদের হাজির করল ফুলডুংড়ি পাহাড়ে। সেখানেই হল খাওয়া দাওয়া। ভাত, কড়কড়ে পুঁটিমাছ ভাজা, ডাল, আর আলুর চোখা। সুযোগ বুঝে দৌড় মারল কচি পাঁঠা। বীরেশ বলল, এত কম সময়ে মাটন রাঁধা সম্ভব নয়। 
আমরা দ্বিগুণ আনন্দে খেলাম। এসেছিলাম বেড়াতে হয়ে গেল বনভোজন। ফুলডুংড়ি পাহাড়ের পাদদেশে সবুজ ঘেরা ছোট্ট জঙ্গলে। ঘটমান ঘাটশিলায় এও কম কী! তবুও কেন যেন মেনে নিতে পারছিলাম না ঠিক। ভোম্বল বলল, ফিরে গিয়ে রিভিউ লিখব একটা। আমি বললাম, থাক। তার চাইতে বরং বীরেশের কথাই লিখি। 
5Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশাগত উচ্চশিক্ষায় দিনটি বিশেষ শুভ। ধৈর্য ধরে মনোযোগ দিয়ে কাজ করুন সাফল্য পাবেন। অর্থ ও...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৪৮ টাকা৮৭.২২ টাকা
পাউন্ড১০৫.০৯ টাকা১০৮.৮১ টাকা
ইউরো৮৮.৪৭ টাকা৯১.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
25th     January,   2025
দিন পঞ্জিকা