বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
গল্পের পাতা

সমব্যথী
উৎপল মান

লতাকে সাইকেলে চাপিয়ে খগেন যখন শহরের রাস্তাটুকু পেরিয়ে অলিগলি সরু পথ পেল, লতা বলল, ‘একটু হেঁটে গেলে কেমন হয়?’
আসলে লতাই খগেনকে পৌঁছতে যাচ্ছে। খগেন সাইকেল থামাল। দুই হ্যান্ডেল ধরে হাঁটতে লাগল। সবই জানা হয়ে গিয়েছে। তবুও জিজ্ঞেস করল,
‘তোমাকে কত বলেছে?’ 
‘ছয়।’
‘পরে বাড়াবে না?’ 
‘সেটা তুমি নিজেই পরে ঠিক করে নিতে পারবে। আগে কাজ তো কর। দেখ কেমন লাগে।’ 
‘খুব বড় দোকান?’  
‘মফস্‌সলে তো। বিশাল কিছু হবে না। তবে একটাই মুশকিল যে এখন পুজোর সময়। রাত দশটার আগে ছাড়া পাবে না। দুপুরে আজ হোটেলেই খেয়ে নেবে। কাল থেকে ঘরের খাবার নিয়ে যাবে। সকাল-বিকেল টিফিন ওরা দেবে এখন।’
খগেন অনেকদিন ঘরে বসে আছে। আগে রঙের কাজ করত। ছোটখাট কাজের ঠিকাও নিয়েছে। ওর একটা টিম ছিল। বাড়ির রং ও পুট্টির কাজ। বছর চারেক আগে কাজ করতে গিয়ে মাচা থেকে অসাবধানবশত পড়ে গিয়েছিল। জঙ্ঘার হাড় ভেঙেছিল। অপারেশন। এখন যদিও হাঁটতে অসুবিধে হয় না। তবু বসেই ছিল এতদিন। এক হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে রোগীর নাম লেখার কাজ পেয়েছিল। কিন্তু করোনার পর থেকে সেটাও নেই।   
অবসাদে দু’একবার বাইরে চলে গিয়ে ফেরেনি কয়েকদিন। সেটা ছেলের বিয়ের পর। বউমা প্রথম দিকে ঠিকই ছিল। কিন্তু মাস ছয়েক যেতে না যেতেই ওর মনে হতে লাগল যে ছেলের অন্ন ঘরে বসে ধ্বংস করছে বাপ।
লতা আইসিডিএস প্রকল্পের কর্মী। ওর এলাকা শহর থেকে তিন কিমি দূরে একটা বস্তি অঞ্চল। নিজেরাও একসময় বস্তিতে থেকেছে। ছেলে চাকরি পাওয়ার পর এখন ভাড়াবাড়িতে রয়েছে 
ছ-সাত বছর।
‘এবার চাপো’, খগেন বলল, ‘রাস্তা তো অনেকটা।’
লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। খুব বিচ্ছিরি রকম একটা ব্যথা। মনে মনে কারও একটা ছবি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করল। খুব মহৎ একটা মানুষের। কিন্তু পেল না।
‘আরে কাকা, তুমি এদিকে?’
খগেন দাঁড়িয়ে পড়ল। বাইকে চড়ে গব্বর। ওর কাছে কাজ করত আগে। বলল, ‘এই যাচ্ছি একটু। কাজে।’
‘কোথাও কাজ করছ নাকি?’  
খগেন জানাল, ‘করছি একটা। তুই?’  
আমি এখন কন্ট্রাক্ট নিই গো কাকা। এই তো দু’খানা সরকারি বিল্ডিং করলাম। আরও দুটোর কাজ চলছে। তুমি কাজ করবে কাকা?’  
খগেন নিরীহ গোবেচারা হাসল। যখন ছোট ছোট কাজের বরাত পেত খগেন, গব্বর কাজ করেছে ওর আন্ডারে। এখন ও নিজেই কন্ট্রাক্টার। বলল, ‘না রে, ঘরে আসিস একদিন। অনেকদিন ভালো করে গল্প হয়নি।’
গব্বর চলে গেলে আবার সাইকেলটা চালাতে শুরু করল খগেন। একটু ফাঁকা মতো জায়গা আসতেই লতা নরম সুরে বলল, ‘তুমিও ওইরকম হতে পারতে, বল? শুরুও করেছিলে। আমাদের কপাল মন্দ গো।’
খগেন আবার ঢুকে পড়ল অন্য একটা কষ্টে। ডিজের জগঝম্প কানে এল না আর। একসময় খুব ক্রিকেট খেলা দেখত টিভিতে। দেশের জন্য গলা ফাটানোকে ভাবত দেশপ্রেম। মহৎ একটা মুখ আবার খুঁজে পেতে চাইল খগেন। পেল না।
‘গব্বরের কী সুন্দর চেহারা হয়েছে দেখলে! হাতে টাকা এলে চেহারা এমনিই খোলে!’ লতা বলল।
খগেন অন্যমনস্ক হয়ে জানতে চাইল, ‘কতজন কাজ করে কিছু জানো?’ 
‘কোথায়?’ 
‘ওই যেখানে যাচ্ছি।’ 
‘জনা দশেক তো বটেই। মালিকের বউ আমাদের এলাকার সুপারভাইজার। ওরা লোক ভালো বলেই মনে হয়। তবে ব্যবসাদার তো। বউ ভালো হলেই যে ওর মালিক...’   
‘ঘরের লোকই ভালো না তো আর বাইরের লোকের কী দোষ! দু’দিন এসেই ভাবল ওরই সব। আমাদের কিছুতে অধিকার নেই। আমাদের ছেলে, অথচ আমাদের জন্যে কিছুই করতে পারবে না!’  
লতা ওসব কথা আর ঘাঁটাতে চায় না। প্রসঙ্গ পাল্টে বলল, ‘ওই গব্বরের মতো ছেলেগুলোই তো তোমার পা ভাঙার সময় ছুটে এসেছিল। ওর ব্যবসা এখন রমরমা। তোমারও হতো। কিন্তু কপালে নেই গো।’       
সকাল-সকাল বেরবে ভেবেও বেরতে পারেনি লতা আর খগেন। যেখানে যোগ দিতে যাচ্ছে কাজে, সেই দোকান খুলবে ন’টায়। ওরা একটু আগেই যাবে ভেবেছিল। মোবাইলে সময় দেখল, ন’টা পাঁচ। দেরি হয়ে গেল। পৌঁছতে এখনও মিনিট কুড়ি লাগবে। 
কিছুটা এসে দেখল দলে দলে লোকেরা রাস্তা পেরচ্ছে। একজনকে জিজ্ঞাসা করতে সে জানাল, সামনেই একটা শপিংমল। আজ পনেরোই আগস্টে নানা পণ্যদ্রব্যে কেনাকাটায় অফার দিচ্ছে। খগেন একবার গিয়েছিল। ঢুকতে তো টিকিট লাগে না। ঠান্ডা ঘর। ভিড় একটু থাকে বটে, কিন্তু বিনে পয়সায় এত বড় জায়গায় আসা তো যায়! ঘুরতে ঘুরতে এক বোতল তরল সাবান কিনে এনেছিল। কারণ ওটার মুদ্রিত মূল্য ছিল একশো ষাট টাকা। আর বিক্রিত মূল্য শুধু ঊনষাট। বাজারে নাকি প্রথম লঞ্চ করেছে। লতা খুশি হয়েছিল খুব। তখন ওরা ছিন্নমস্তা মন্দিরের সামনে ধুলোগড়া বস্তিতে থাকত। সেই সাবান নিজেও মেখেছিল দু-একদিন। কী সফেদ ফেনা আর ফুরফুরে সুবাস! বাইরে বেরিয়েও বুঝেছে ওর সারা শরীরে সুবাতাস বইছে যেন। জীবন সত্যিই খুব মজার। বড় আকাঙ্ক্ষা মনের মধ্যে পুষে রেখেও মানুষ কত অল্পতেই খুশি হতে পারে!    
অনেকদিন পর সেও কাজ পেয়েছে। এই বয়সে ওরকম কাজ ছাড়া আর কীই-বা সে করতে পারবে! ষাট পেরিয়েছে। তবে কাজ করলে মন ভালো থাকবে। ঘরের মধ্যে এতদিন রান্নাও করেছে। ছেলে বেরিয়ে যায় ডিউটিতে সকালবেলায়। লতাও সকাল আটটা নাগাদ বেরয়। সে নিজেও ধুলোগড়া বস্তিতে আড্ডা দিতে চলে যেত প্রায়ই। দুপুরে তাস খেলতে। রক্তদান শিবির হয় এখানে প্রায়ই। না চাইতেই ব্যবস্থাপনার নানা কাজেকম্মে লেগে পড়ত। কিন্তু বউমা রিয়া যেদিন থেকে রান্না করা বন্ধ করে দিল, সেদিন থেকেই ওকে ওসব কাজে লতাকে সাহায্য করতে হয়েছে। আবার এমন একটা সময় এল যখন দিনের বেলা প্রায় সব রান্না নিজেই করেছে। রিয়া ঘরের মধ্যে পর্দা ফেলে দেওয়াল তৈরি করে নিয়েছে। সেই ‘পর্দাপ্রথা’ এখনও চলছে। ছেলে অশান্তির ভয়ে চুপ।
ধ্রুবডাঙা পেরিয়ে একটা পরিত্যক্ত রেললাইন। লতা বলল, ‘এই জায়গাটা দেখলেই গা আমার গুলিয়ে ওঠে।’ লতার মুখে ঘৃণাসূচক অভিব্যক্তি।
বিয়ের পর লতা খগেনের সঙ্গে এই ধ্রুবডাঙায় প্রথম উঠেছিল। একটা পচা নর্দমার পাশে ভাড়াবাড়ি। লতা ভালো ঘরের মেয়ে। পড়াশোনাও করেছে। কিন্তু ওর বাবার অনেকগুলি ছেলেমেয়ে হওয়ার কারণে তড়িঘড়ি প্রথম কন্যার বিয়ে দিতে চেয়েছিল। খগেন তখন একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে ছোটখাট কাজ করে। লতা সব সহ্য করেছে।   
খগেন বলল, ‘জীবন বড় বিচিত্র। ঘুরতে ঘুরতে দেখ ঠিক এই দিকেই এলাম। কতদিন এদিকটায় আসিনি বল!’       
‘সেই ছেলেটা খুন হয়ে যাওয়ার পর তো আমরা বাড়ি ছেড়ে ধুলোগড়া বস্তিতে উঠলাম। এই রেললাইনের ধারেই ওকে কারা মেরে ফেলে রেখে গিয়েছিল।’ 
‘তোমার মনে পড়ে লতা, সেই অচিন্ত্যকে?’  
‘খুব মনে পড়ে। কী যে কাজ করত, আমরা কোনওদিন জানতেই পারিনি। রাতে বেরিয়ে যেত। ফিরত সকালে। সারাটা দিন শুধু ঘুমোত। আমাদের জন্য মাঝে মাঝে নানা খাবার কিনে আনত। গিফ্ট আনত।’
‘হ্যাঁ, তোমাকে খুব ভালোবাসত ছেলেটা। বাপ-মা কেউ তো ছিল না।’         
লতাকে নামতে বলে নিজেও সাইকেল থেকে নেমে পার হল রেললাইনটা। কিছুটা গ্রামের মতো পথ এরপর। খগেনের ভালো লাগে। নিজের গ্রাম সে প্রায় ভুলেই গিয়েছে। বর্ধমান জেলায় অজয়ের তীরবর্তী গৌরবাজার গ্রাম। যাওয়া হয় না। জীবন একদিকে কিছু দেয়, অন্যদিকে আবার কিছু কেড়েও নেয়। তবে এখনও ভিটেমাটিটা আছে গ্রামে। বছরখানেক আগে একটা বিয়েবাড়িতে গিয়েছিল। একজন খেপিবুড়ি থাকে ওখানে। ভিক্ষে করে খায়। মাটির ভাঙা দেওয়াল। টিনের চালের অর্ধেকটা নেই। গ্রামেই একজন সম্পর্কিত ভাই আছে খগেনের। তাই ওটা বেদখল হয়ে যায়নি। উঠোনে আগাছা। সাপের বাস। বুড়ির ওসবে ভয় নাই।    
গ্রামে ছোটবেলার একটু-আধটু স্মৃতি মনে আছে খগেনের। নদীতে স্নান, লুকোচুরি খেলা, আমবাগানে আম পাড়তে যাওয়া। হাটের পাশে ছোট একটা কাঁচা ঘরে পোস্টঅফিস। পাশেই বোসদের দিঘি। তার পাড়ে সারি সারি তালগাছ। ওই রাস্তা দিয়ে সোজা গেলেই ইশকুল। কোথায় যে সব পড়ে থাকল!   
সাইকেলে আবার চাপল দু’জনে। কিন্তু পুরনো গ্রামের কথা ওর মনে পড়ছে কেন! নাকি অচিন্ত্যর স্মৃতি মন থেকে দূর করার জন্যই ব্যাপারটা ঘটল! এতদিনের বস্তি জীবনেও কিছুটা গ্রাম্যতার ছোঁয়া ছিল। সেই অভ্যাস থেকে সরে আসতে খুব সহজে পারেনি। কিন্তু ওর ছেলে বিকাশ থাকতে চায়নি আর সেখানে। কম টাকায় বাড়িভাড়া পেয়ে গিয়েছিল। এক বৃদ্ধ দম্পতির বাড়ি। নীচের তলাটা ওদের ছেড়ে দিয়ে নিজেরা থাকেন ওপরে। মাঝেমাঝে ছেলে-বউয়ের কাছে যান ব্যাঙ্গালোরে। ওরা আসে না।           
লতা হঠাৎ বলল, ‘মনটা কেমন খচখচ করছে গো।’     
‘কেন বল তো?’  
‘এতদিন ঘরে এসেই তোমাকে দেখতে পেতাম। আর তুমি সকালে বেরিয়ে গিয়ে ফিরবে সেই রাত দশটা-এগারোটায়। তাছাড়া...’  
‘তাছাড়া কী?’ 
‘আমি তো বেলা দুটোয় ফিরে যাই। ফিরে এসে তো সেই একা!’   
খগেন চুপ করে থাকল। বউমা পর্দা ফেলে রাখে নিজের ঘরে। ঝগড়া হয় ঠুনকো কারণে। কথা-কাটাকাটি। ওতেই ওদের দু’জনের সঙ্গেই কথা বন্ধ। রান্নাবান্না করে না। খাওয়ার সময় খায়, নিজের থালাটি তুলে কলঘরে রেখে হাতমুখ ধুয়ে আবার পর্দার আড়ালে চলে যায়। খুব আশ্চর্য লাগে ওদের-  সারাটা দিন ঘরের মধ্যে শুয়ে-বসে কাটিয়ে দেয় মেয়েটা! বিকাশ সন্ধেয় ফিরলে ওর সঙ্গে একটু বেরয়।
খগেন ভাবছিল, একদিন না বলে দেয় ওদের আলাদা থাকতে! বিকাশ কি বলতে পারবে? অনেক কষ্টে ওকে বড় করেছে ওরা। কিন্তু এভাবে কতদিন থাকবে ওরা। তাই একটা কাজের খোঁজ করছিল লতা। খগেন করতে পারবে এমন একটা কাজ।      
বস্তিতে থাকাকালীন মাছ বিক্রিও করেছে খগেন। পাশের ঝুপড়ির নিমাই ওকে এই রাস্তা দেখিয়েছিল। তখন বিকাশ বেশ ছোট। ধ্রুবডাঙা থেকে সবে এসেছে এখানে। যে কনস্ট্রাকশন অফিসে ফাইফরমাশ খাটত খগেন, সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব ফাঁপরে পড়েছিল ছেলে-বউকে নিয়ে। তখন নিমাই ওকে বলেছিল, লেগে পড় মাছ ব্যবসায়।   
লতা বলল, ‘আমার চিন্তা হচ্ছে গো। এতদূর ভাঙা পা নিয়ে সাইকেল চালাবে রোজ! জায়গাটা একটু দূরই হল, বুঝলে?’  
‘পা এখন ঠিক আছে। আর পুরুষ মানুষ ঘরে বসে থাকলে তার মান থাকে না গো।’   
লতার ব্যাগে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট। ওর মধ্যে সুতোর কাজ করা একটি ব্লাউজ আছে। ওর সুপারভাইজার-দিদিকে দেবে। একদিন ওর জামায় এমব্রয়ডারির কাজ দেখে জানতে চেয়েছিল কোথায় করিয়েছে। লতার বাড়ির কাছে এক মহিলা কাপড়ের ওপর সুতোর নকশা তোলে। লতা সেখানেই করিয়েছে। লতা পরে দিদির জামার মাপ জেনে নিয়ে বানাতে দিয়েছিল। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তো এটুকু করাই যায়। খগেন কম্পিউটারে বিল কাটতে পারলে সেই কাজও পেত। তখন বেতনও হতো দশ হাজারের মতো। দুর্ভাগ্য যে ওর বর কম্পিউটার চালাতে পারে না। ছেলের ল্যাপটপ আছে। কিন্তু এই মানুষটা কোনও দিন কী-প্যাড ছোঁয়নি।     
ওরা যখন পৌঁছল, দেখল দোকানে বেশ ভিড়। অপেক্ষা করতে লাগল। কার সঙ্গে কথা বলবে? দিদিকে ফোন করল। একটু পরে এসে সুপারভাইজার-দিদি হাজির। মহিলাটি লিফ্টে ওদেরকে নিয়ে গেল দোকানের দোতলায়। এখানে তেমন ভিড় নেই।   
কিন্তু লতা এবং খগেন অবাক হয়ে গেল যখন ওদের সামনে এসে হাজির হল একটি বিবাহিতা যুবতী। মহিলাটি চুপিচুপি বলল, ‘আমার বউমা। ছেলে ব্যবসার কাজে বাইরে। ওর সঙ্গেই কথা বল তোমরা।’ খগেন সেদিন থেকেই কাজে লেগে পড়ল। লতাও নেমে এল নীচে। দেখল, সাইকেল নিয়ে দিদি অপেক্ষা করছে। এই বিশাল যাদের কাপড়ের দোকান, বাহন হিসেবে একখানা সাইকেল তাদের মানাবে কেন! লতা ওর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘আপনি এখনও যাননি দিদি?’  
‘চল, আমার সাইকেলে চেপে পড়। তোমার ওদিকেই তো যাব আজ।’  
লতা বলেই ফেলল, ‘আপনি দিদি এবার স্কুটি ব্যবহার করুন। এটা আপনাকে মানায় না।’
মহিলাটি উত্তর না দিয়ে বলল, ‘চল, দেরি হয়ে যাবে। আজ সেন্টারে বাচ্চাদের ডিম দেওয়া আছে না!’ রাতে খাওয়ার সময় লতা খগেনকে জিজ্ঞেস করল, ‘মালিকটি কেমন গো?’ 
খগেন চুপচাপ খাচ্ছিল। মুচকি হেসে বলল, ‘ভালোই তো। সুন্দরী। আকর্ষণীয়া।’ 
লতা ড্যাবড্যাব করে ওর দিকে তাকাল।   
কাছেই কোনও একটি ক্লাবে গান বাজছে। দেশাত্মবোধক। খগেন মনে করতে পারল— দোকান থেকে বেরনোর পর কেমন একটা ফুরফুরে মেজাজ ছিল ওর। তাতে যেন স্বাধীনতা-স্বাধীনতা গন্ধ। কিন্তু পরক্ষণেই তা কেমন এক বিষাদে পরিণত হয়েছিল। লতার সুপারভাইজার-দিদির স্বামীর কথা ভেবে। ছেলে-বউমার দোকানে বাবা বেতনভুক কর্মচারী! 
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। পেশাদারি কাজকর্মে হঠাৎ বাধা আসতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৮৬ টাকা৮৭.৬০ টাকা
পাউন্ড১০৭.৩১ টাকা১১১.০৭ টাকা
ইউরো৮৯.৩৪ টাকা৯২.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা