কার্তিক মাসের আরেক নাম দামোদর মাস। এই সময় অনেকে দামোদর ব্রত পালন করেন। স্কন্দপুরাণ মতে, ভগবান বিষ্ণুর সবচেয়ে প্রিয় মাস কার্তিক। তাই এই সময় ভগবানকে নিষ্ঠাভরে ডাকতে পারলে বহু গুণ বেশি সুফল লাভ হয়। কিন্তু কার্তিক মাসের সঙ্গে কীভাবে জুড়ে গেল দামোদর শব্দটি? আমরা জানি, কৃষ্ণের আরেক নাম দামোদর। বালক শ্রীকৃষ্ণ বা গোপালের দুষ্টুমিতে অতিষ্ঠ হয়ে একবার মা যশোদা তাকে শস্যঝাড়াই করার উদুখলের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। ‘দাম’ শব্দের অর্থ দড়ি। আর সেই দড়ি বাঁধা ছিল গোপালের উদর বা পেটে। সেই কারণে কৃষ্ণের আরেক নাম দামোদর (দাম+উদর)। বালক গোপাল এই দামোদর রূপে যে লীলা দেখিয়েছেন, তা ‘দামোদর লীলা’ নামে পরিচিত। শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সহ বিভিন্ন বৈষ্ণব শাস্ত্র থেকে জানা যায়, পেটে দড়ি বাঁধা অবস্থায় গোপাল উদুখল টানতে টানতে হামাগুড়ি দিয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে যায়। উঠোনে ছিল যমলার্জুন নামে দু’টি গাছ। উদুখল সেই দু’টি গাছের ফাঁকে আটকে গেলে গোপাল বলপ্রয়োগ করে। তখন দু’টি গাছ একসঙ্গে উপড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাছ অন্তর্হিত হয়ে সেই জায়গায় জোড়হাত করে বালক গোপালকে আরাধনা করতে দেখা যায় সম্পদের দেবতা কুবেরের দুই পুত্র নলকুবের ও মণিগ্রীবকে। কোনও এক কারণে দেবর্ষি নারদ এই দুই ভাইয়ের উপর ভয়ানক রুষ্ট হয়ে স্বর্গচ্যুতির অভিশাপ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘তোমরা গাছ হয়ে নন্দ রাজার গোকুলে ঠাঁই পাবে। শ্রীকৃষ্ণের পাদস্পর্শে তোমাদের মুক্তি ও পুনরায় স্বর্গপ্রাপ্তি হবে।’ সেইমতো স্বর্গের দুই শাপগ্রস্ত দেবতার শাপমোচনের এই ঘটনা ‘দামোদর লীলা’ নামে পরিচিত। কার্তিক মাসেই বালক কৃষ্ণের দামোদর লীলা হয়েছিল। তাই এই মাসকে দামোদর মাস বলে অভিহিত করেন বৈষ্ণবরা। তবে যে দড়ি বা রজ্জু দিয়ে বালক গোপালকে বেঁধেছিলেন মা যশোদা, বৈষ্ণব মতে তা আসলে প্রেমরজ্জু। বাৎসল্য রসে সিক্ত যশোদার মাতৃভাবের এক চিরকালীন প্রকাশ শ্রীকৃষ্ণের এই বাল্যলীলা।
রঙিন গ্রাম! এমনটা আবার হয় নাকি! নিজের চোখে দেখলে, তবেই বিশ্বাস হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়া গ্রাম মানেই পটের গান...
বাংলা হোক বা মুম্বই—একটা সময় দুই ক্ষেত্রেই দাপিয়ে কাজ করেছেন গীতা দত্ত। তখন তিনিই ছিলেন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গায়িকা। আজও...
তিনদিনের রাসযাত্রা শেষে চতুর্থ দিন গোষ্ঠ উৎসব। গঙ্গার ধারের রাসমঞ্চ থেকে শ্যামসুন্দর জিউ ও শ্রীরাধিকার মূল মন্দিরে ফিরে যাওয়ার পালা।...
ক্রয়মূল্য | বিক্রয়মূল্য | |
---|---|---|
ডলার | ৮৩.৫৯ টাকা | ৮৫.৩৩ টাকা |
পাউন্ড | ১০৫.০৬ টাকা | ১০৮.৭৯ টাকা |
ইউরো | ৮৭.৪৫ টাকা | ৯০.৮১ টাকা |