গল্পের পাতা

নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। ঘরটা ভিত কেটে তোলা হয়নি। সুতরাং ও ঘরের ছাদ ঢালাই করা যায়নি। হারাধনের ঠাকুরদার আমলে ওদিকটায় গোয়ালঘর ছিল। পরে গোরুর সংখ্যা বাড়লে গোয়াল সরানো হয়। হারাধনরা জাতে জেলে। তবু গাঁ-ঘরে হাতে একটু পয়সা এলেই লোকে দু’-পাঁচ কাঠা ধানজমি কেনে। দু-চারটে গোরু। নিদেনপক্ষে দুটো হেলে আর একটা গাই। সে আমলে গোরু দিয়েই চাষ হতো। হারাধনের ঠাকুরদার তাই গোয়াল ছিল। হারাধনের বাবা বৃন্দাবন দ্বিতীয়বার বিবাহ করে হারাধনের মাকে ঘরে তুললে বড়মা স্বেচ্ছায় ওই পুরনো গোয়াল পরিষ্কার করে, সেখানে নিজেকে নির্বাসিত করেছিলেন। হারাধন কোঠা তুললেও বড়মা পাকা ঘরে উঠলেন না। হারাধন জেদ করে তাঁর ঘরটির দেওয়াল এবং মেঝে পাকা করে ইলেকট্রিক বসাল। হারাধনের বাপ-মা দু’জনেই গত হয়েছিল তার শিশুকালে। খেয়ে না-খেয়ে বড়মাই তাকে মানুষ করে তোলে। বড়মার পরামর্শ ছাড়া বৃন্দাবন এক পাও বাড়াত না। ব্যাপারটা নীলুর মা মোটেই ভালো চোখে দেখত না। কিন্তু ঝগড়া করেও লাভ হতো না। চোখের জলেও হারাধনকে ভেজানো যেত না। 
  দুই
 গাড়ির ছাদে ক্যামেরার স্ট্যান্ড বেঁধে টেলিভিশনের বড় গাড়িটা সিধুর তেলেভাজার দোকানের সামনে থামতেই নড়বড়ে বেঞ্চে বসা ছেলে-ছোকরার দল হুমড়ি খেয়ে পড়ল। সাদা ফুলহাতা জামা আর ডেনিমের প্যান্ট পরা একটা লোক জানলার কাচ নামিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘নিভাননী দেবীর বাড়িটা কোন দিকে বলতে পারেন নাকি?’ সুকুমার, শ্যামল, রাজু সব হাঁ করে চেয়ে রইল। নামটার গায়ে বড় পুরনো গন্ধ। ওই নামে কাউকে তারা চট করে মনে করতে পারল না। বেবি, পিঙ্কি কি সুমনা বললে তাদের এতটুকুও ভাবতে হতো না। বস্তুত গ্রামে মেয়েদের নাম চললেও বউয়েদের নাম তেমন চলে না। গুরুপদর বউ নয়তো সুকুমারের মা, কি রাজুর ঠাকুমা অথবা নন্দীবাড়ির মেজোগিন্নি এমনটাই হয়ে যায় তাদের পরিচয়। সুতরাং নিভাননী কে সে কথা তাদের ভাবতে হচ্ছিল। উত্তেজনার বশে বেগুনির মতো লম্বা গরম হিঞ্চের বড়াটায় কামড় বসিয়ে ফেলেছিল নীলু। তার জিভ জ্বলে গেল। আর এই আকস্মিক আঘাতে মাথাটা ঝাঁ করে খুলে গেল। লোকটা কাচ তুলতেই নীলু দৌড়ে গেল। ড্রাইভার ততক্ষণে স্টার্ট দিয়েছে। নীলু মুখের বড়ার টুকরোটা কোঁত করে গিলে ফেলে জানলায় টকটক করতে করতে চেঁচাল, ‘শুনছেন?’
লোকটা ফের কাচ নামিয়ে মুখ বাড়াল।
নীলু হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, ‘নিভাননী দাসী আমার ঠাকুমা!’
লোকটা ঘাড় ঝাঁকাল, ‘রিয়েলি? আমি বলতে চাইছি বিপ্লবী নিভাননী দেবী যিনি ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন!’
‘আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি ওঁর কথাই বলছি।’ নীলু ভদ্রলোককে আশ্বস্ত করল।
ভদ্রলোক হাসলেন, ‘তাহলে নিভাননী দাসী কেন, দেবী বলুন!’
নীলু মাথা চুলকে বললে, ‘আজ্ঞে, তাই হবে বোধহয়, তবে আধার কার্ডে ওই দাসীই ছিল কি না।’
লোকটি ঈষৎ ধমকের সুরে বলল, ‘থাকলেও!’ 
নীলু আর কথা বাড়াল না। সাইকেলে উঠতে উঠতে বলল, ‘আমি সাইকেলে আগাইছি আপনারা আমার পিছনে আসুন আজ্ঞে।’ 
নীলু তিরবেগে সাইকেল ছোটাল। গাড়িটা তাকে অনুসরণ করতে লাগল।
 তিন 
 নীলুর উত্তেজনা ছিল সবচেয়ে বেশি কারণ যেকোনও উপায়ে টিভি কি সিনেমায় নামার জন্য সে মরিয়া আজ অনেকদিন! চোখ দুটো ছোট হলেও নীলকণ্ঠ দেখতে মন্দ নয়। তার গায়ের রং ফর্সা। উচ্চতা পাঁচ ফুট নয় ইঞ্চি। নাকটা বাঁশির মতো না হলেও তার বাবার মতো ধ্যাবড়া নয়। ছিপছিপে চেহারা। মাথায় ঘন চুল। নীলু অনেকটা তার মায়ের ধারা পেয়েছে। তার মা নীলিমা সুন্দরী। বাড়িতে একমাত্র মায়ের কাছেই নীলু প্রশ্রয় পায়। নীলুর কানে দুল, গলায় হার, হাতে বালা। তার জামা-কাপড়ের বাহার আছে। সে শহরের সেলুনে নতুন নতুন কেতায় চুল কেটে আসে। এসব পয়সা তাকে মা জোগায়। কখনও লুকিয়ে কখনও প্রকাশ্যে। বাবার পাল্লায় পড়লে এত দিনে জলে নেমে নেমে হাতে পায়ে হাজা ধরে যেত। নিজেদের অত বড় পুকুর। তার ওপর ন’খানা লিজ নেওয়া আছে। পঞ্চাশ বছর বয়সেও তেজি ঘোড়ার মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হারাধন। শীত-গ্রীষ্ম কিছুই ডরায় না। নাহোক আট-দশটা ছেলে বাবার কাছে কাজ করে। তাদের নিয়ে হারাধন শীতকালের ঝুঁঝকো আঁধারেও একগলা জলে নেমে জাল টানে। যৌবন বয়স থেকে হাতে কড়া। আঙুলে হাজা। খালি মোষের মতো খাটতে পারে দেখে দাদু অমন সুন্দরী মেয়েকে গছিয়ে দিয়েছিল। তবে পয়সা লাগেনি। হ্যাঁ, বিয়েতে হারাধন এক পয়সাও পণ নেয়নি। নেবে কী করে! বাড়িতে তখন বড় ঠাকুমার বোলবোলাও। তিনি পণ নেওয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন। হ্যাঁ, নীলুর সেই প্রবল দাপুটে বড় ঠাকুমাই নিভাননী দাসী! তা সে নাম ধরে ওঁকে আর কে কবে ডাকে যে চট করে সে নামটা নীলুর মনে পড়বে! তাছাড়া এখন সে রামও নেই, অযোধ্যাও নেই। অনেকদিন হল নিভাননী রাজত্ব হারিয়েছেন। এখন সংসার নীলিমার কথাতেই চলে। সপ্তাহখানেক হল নিভাননীর শ্রাদ্ধশান্তিও মিটেছে। সত্যিকথা বলতে কি বুড়ি না মরলে তার নামটা নীলু ভুলেই মেরে দিত। হাসপাতালে মরেনি বুড়ি যে ডাক্তার ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেবে। তিনমাস বিছানায় পড়ে থেকে নিভাননী বাড়িতেই গত হয়েছেন। গ্রামের কোয়াক ডাক্তার যে কাগজখানা লিখে দিয়েছিল সেইটে নিয়ে অঞ্চল অফিসে দৌড়েছিল নীলু। সেখানে পাশ দেওয়া ডাক্তার সেই কাগজ দেখে সন্তুষ্ট হলে তবে গিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট। তো সেখানেই  নিভাননীর নামটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি হল দীর্ঘকাল পরে। তা নাহলে নীলু জিভে ছ্যাঁকা খেলেও ও নাম মনে করতে পারত না। তবে বড়ঠাকুমা যে গোরা পুলিসদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল সে গল্প হারাধন তাদের কাছে ছোটবেলায় অনেক করেছে। তাতে ছেলেবেলায় খানিকটা ভক্তি শ্রদ্ধা এলেও বড় হতে হতে তাঁর কড়া শাসনে সেসব বেমালুম গায়েব হয়ে গিয়েছিল। নীলুর মা বলত, ‘হুজুগে গাঁ শুদ্ধু ছুটল, উনিও ছুটলেন। ছ্যা-ছ্যা-ছ্যা পোয়াতি মেয়েছেলে- ঘরের বউ না ধিঙ্গি? বলি সাহস দেখিয়ে লাভ হল কিছু? সাহেবরা মেরে মাজা ভেঙে দিল! পেটেরটাও গেল ওদিকে সোয়ামিও বংশরক্ষা করতে একটা সতীন এনে হাজির হল! নিকুচি করেছে দেশোদ্ধারের!’ নীলুর মতোই তার মায়ের সঙ্গে বড়ঠাকুমার একেবারেই পটত না। মা ভেবেছিল শাশুড়ি-শ্বশুর নেই সংসারে ঢুকেই চাবিকাঠিটা আঁচলে বাঁধবে। সৎশাশুড়ি আবার শাশুড়ি! সে তো আশ্রিতা! বিধবা বুড়ি! তাকে দু’বেলা দুটো খেতে পরতে দিয়ে দাসীবাঁদির মতো খাটাবে। কিন্তু নীলিমা এসে দেখল এ সংসারের চাকা উল্টো বাগে ঘোরে। তার স্বামীই তেনার বশ। উঠতে বললে ওঠে আর বসতে বললে বসে। কে বলে নিজের মা নয় সৎমা! নীলিমা বুদ্ধিমতী। সে মনে মনে বললে, আচ্ছা, এক মাঘে শীত যায় না! তবু কম দিন নয়। বুড়ির যেন অক্ষয় পরমায়ু। নব্বই বছর বয়সেও ঘরে পাঠশালা বসিয়েছে। বিউলির ডাল ফেটিয়ে গয়না বড়ি দিয়েছে। বরাবর নিজের কাপড় নিজে কাচত। সেলাই করত। নিজের ঘর নিজে পরিষ্কার করত। যেদিন মাথা ঘুরে পড়ল, আর উঠল না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। দিনকতক পরে ডাক্তার ফিরিয়ে দিল। আর নাকি কিছু করবার নেই। এবার ঘরেই ভালো। টালির ঘরটায় একটা ছোট চৌকির ওপর খাওয়া শোওয়া সব। চাষাভুষো জেলে মালোর ঘরে ঝি-চাকরের পাট নেই। ঘরের কাজ করতে ঘরে বউ আনা হয়। নার্স কি আয়ার কথা ভাবেও না কেউ। নীলুর মা সে ঘরের কাছাকাছি হলেও নাকে আঁচল চাপা দিত।  নীলুও মাড়াত না। বুড়ির শরীরে সাড় ছিল না। দৈবাৎ কখনও হ্যাঁ-হুঁ  করে। অধিকাংশ সময় লোক চিনতে পারে না। বিড়বিড় করে ভুল বকে। তবু  ভাগ্য ভালো। হারাধন আর তার কলেজে পড়া মেয়ে রুক্মিণী, নিভাননীর সব করত। 
চার
 টেলিভিশন থেকে লোক নিভাননীর খোঁজ করতে এসেছে শুনে হারাধনের চোখদুটো উজ্জ্বল হল। একদিন তার বড়মায়ের কথা গ্রাম জানত, এবার দেশ জানবে। নীলিমা শুনে ঠোঁট উল্টোল। তারপর হারাধনের কানের কাছে মুখ এনে, বলল, ‘ পেনশনের কথাটা তুলতে ভুল না!’ পেনশনের কথা তুলে নীলিমা আগেও অনেক খোঁটা দিয়েছে, ‘তোমার বড়মা যদি তেমন কেউকেটা হতো, তবে সরকার টাকা দিত। বইয়ে নাম লেখা থাকত! হুঁহ গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল!’ হারাধন নিঃশ্বাস ফেলে নীলিমাকে বললে, ‘আমার ভুল হলেও তোমার তো ভুল হবে না!’ নীলু মাকে তাড়া দিল, ‘ও মা, তুমি ওঁদের জন্য তাড়াতাড়ি চা বসাও। আমি শ্যামলকে শিঙাড়া-মিষ্টি আনতে বলে এসেছি।’ নীলু ততক্ষণে জামা পাল্টে কমলা রঙের ক্যাঁটক্যাটে পাঞ্জাবিটা গলিয়ে চুলে রোলার চালাচ্ছে। ছেলেটার দিকে তাকিয়ে নীলিমার পিত্তি জ্বলে গেল। মাথাটা এত নিরেট যে যারা নিভাননীর খোঁজে এসেছে তারা যে এসব ধর্তব্যে ধরবে না, সে বুদ্ধিটুকু পর্যন্ত মগজে সেঁধোয়নি। টিভির লোক এসেছে শুনে গ্রামের লোক ঝেঁটিয়ে এল। তাদের ঠেলেঠুলে বাড়িতে ঢুকল রুক্মিণী। সেও খবরটা শুনেছে। হারাধন তখন ওঁদের ঘর দেখাচ্ছে। ছবি উঠছে। নীলু বারবার সামনে চলে গিয়ে ধমক খেয়ে পিছিয়ে আসছে। 
পাঁচ
নিভাননীর ঘরেই ওঁরা বসলেন। নীলিমা চা-জলখাবার দিয়েছিল। রুক্মিণী বলছিল, ‘বড়ঠাকুমার বাপেরবাড়ি ছিল হোগলা গ্রামে। মাতঙ্গিনী হাজরা ওই গ্রামের মেয়ে। ঠাকুমা তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ। স্বদেশি তখন মেদিনীপুরের ঘরে ঘরে। ঠাকুমার মেজোকাকা কংগ্রেস করতেন। মাতঙ্গিনীর সঙ্গে লবণ আইন অমান্য করে জেল খেটেছেন ১৯৩২ সালে। সেই কাকার থেকে স্বদেশি আন্দোলনের গল্প শুনতেন ঠাকুমা। বিয়ের পরেও কাকার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ ছিল। কাকার থেকে তিনি চরকা কাটা শিখেছিলেন।’ তাকের ওপর তোলা চরকাটার দিকে আঙুল তুলে রুক্মিণী বলল, ‘দীর্ঘদিন ঠাকুমা ওই চরকা কাটতেন। একবার তিনি কাকাকে এই গোয়ালে লুকিয়ে রেখে পুলিসকে ধোঁকা দিয়েছিলেন।’  
টেলিভিশনের লোক রুক্মিনীকে থামাল। ‘সেটা কীরকম?’
রুক্মিণী হাসল। ‘তখন তমলুক জুড়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের জোয়ার। ঠাকুমার কাকা আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করতেন। পেছনে চর লেগেছে বুঝতে পেরে তিনি সন্ধের মুখে ভাইঝির বাড়িতে আশ্রয় নিলেন। মুড়ি খেতে বসেছেন, পুলিস এল। ঠাকুমা তাড়াতাড়ি তাঁকে গোয়ালঘরে চালান করে দিলেন, খড়ের গাদার পেছনে। পুলিস হুড়মুড় করে ঢুকে ঘর কে ঘর তছনছ করে গোয়ালের দিকে এগল। ঠাকুমা তখন খড় জ্বালিয়ে গোয়ালে ধোঁয়া দিয়েছেন। মশার জন্য প্রতিদিনই গোয়ালে অমন ধোঁয়া দেওয়া হয়। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। ধোঁয়ায় চোখ জ্বালা করে। কিছু দেখা যায় না। তবুও একজন কনস্টেবল ঢুকতে গিয়ে গোবরে আছাড় খেল। এরপর তারা আর দাঁড়ায়নি।’ রুক্মিণীর সঙ্গে এবার টিভির লোকেরাও হেসে উঠল। একজন বললেন, ‘এটাও নিশ্চয়ই নিভাননী দেবীর কারসাজি?’ 
‘অবশ্যই।’ রুক্মিণী সায় দিল।  ‘১৯৪২ সালে ভারত ছাড় আন্দোলনে মাতঙ্গিনী হাজরা শহিদ হন ২৯ সেপ্টেম্বর। বুকে গুলি লেগেছিল তাঁর। তবু হাতে ধরা ছিল ত্রিবর্ণ পতাকা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘ব্রিটিশরাজ মুর্দাবাদ! বন্দেমাতরম!’ সরকার চেষ্টা করেছিল খবরটা চেপে দেওয়ার। পারেনি। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। পরের দিন ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দিতে দিতে আমাদের গ্রামের পাঁচশো মানুষ ছুটে যায় তমলুক থানার দিকে। পুলিস পথ আটকে ফিরে যেতে বলে। তারা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘পিছাবনি!’ কলকাতার ভাষায় যার মানে পিছিয়ে যাব না। পুলিস গুলি ছোঁড়ে। শহিদ হন গোবিন্দ দাস ও বিপিন মুখার্জি। লাঠি চালাতে থাকে পুলিস। লাঠির ঘায়ে জখম হন ঠাকুমা। তিনি তখন অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর গর্ভপাত হয়।’
ছয়
 অর্থনীতির চাবুকে আজকের পৃথিবী- আত্মকেন্দ্রিক। তরুণ প্রজন্ম কালের ঘোড়া। নীলুরা বিভ্রান্ত!। তবু রুক্মিণী তার সমস্ত হৃদয় দিয়ে নিভাননীকে এমন জীবন্ত করে তোলে গোটা ঘর নিস্তব্ধ হয়ে যায়। যাবার আগে ওঁদের একজন উঠে নিভাননীর ছবিতে রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে দেন। মরণোত্তর সম্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওঁরা চলে গেলে কে জানে কেন নীলিমারও আজ চোখে জল আসে! এমনকী নীলুরও গলাটা ব্যথা করে! 
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
20d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৫ টাকা১১১.৮০ টাকা
ইউরো৯০.৭১ টাকা৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা