কলকাতা

গঙ্গাসাগর সেতুর খরচ ১৩০০ কোটির মধ্যেই রাখার ভাবনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মুড়িগঙ্গার উপর গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণ করতে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্নে। এই প্রকল্প নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের টানাপোড়েন চলছিল। কেন্দ্রের তরফে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না দেখে শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকার নিজস্ব কোষাগার থেকে খরচ করে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এক্ষেত্রে মোট খরচের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হচ্ছে রাজ্যের কর্তাব্যক্তিদের। কারণ, একাধিক প্রকল্প খাতে কেন্দ্রের অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যথেষ্ট চাপ বেড়েছে রাজ্য সরকারের কোষাগারের উপর। এই পরিস্থিতিতে ৪.৭৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের খরচ ১৩০০ কোটি টাকার মধ্যে বেঁধে রাখতে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছ নবান্নের উপরমহলে।
সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগের হিসেবে এই সেতু তৈরির আনুমানিক খরচ ১১২০ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। রাজ্য নিজেই কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর রাইটস এবং পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা প্রস্তাবিত নকশার ভিত্তিতে পুনরায় মোট খরচ নির্ধারণ করেন। তখন দেখা যায়, খরচ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা। এতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের। কারণ, তাঁরা ভালো করেই জানেন, এত বিপুল টাকা খরচের জন্য প্রশাসনের শীর্ষমহল ও অর্থদপ্তরের কাছে আবেদন এখন অমূলক। সেই সূত্রেই খরচ কীভাবে ১৩০০ কোটির মধ্যে বেঁধে রাখা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন দপ্তরের আধিকারিকরা। আগামী সাতদিনের মধ্যে খরচ কমানোর উপায় বের করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। 
কিন্তু কেন এতটা ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রস্তাবিত সেতুর নির্মাণকাজ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলের মধ্যে ৬০ মিটার গভীর কুয়ো কেটে পিলার উঠবে। নদীর সর্বোচ্চ জলস্তর (হাই-টাইড লেভেল) থেকে সেতুর মধ্যে ১০ মিটার ছাড় দিতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে জলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে মাত্র দেড় মিটার ছাড় দিয়েই সেতু তৈরি করা যায়। খরচে অনেকটা ফারাক গড়ে দিচ্ছে এই বিষয়টি। ইতিমধ্যে প্রকল্পের ‘প্রেজেন্টেশন’ দেখানো হয়েছে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়কে। সম্ভাব্য খরচ চূড়ান্ত হলেই আর্থিক অনুমোদনের জন্য এ সংক্রান্ত ফাইল নবান্নের শীর্ষমহলে পাঠানো হবে বলে খবর। 
সেতু তৈরির জন্য সাগরের কচুবেড়িয়া ও  কালীনগরে সাড়ে চার একর জমি লাগবে। প্রায় পুরো জমিই খালি রয়েছে। কিছুটা সরকারি জমি। এর বাইরে একজনের বাড়ি ভাঙা পড়঩বে এবং দু’টি পানের বরজ সরাতে হবে। ইতিমধ্যে এই অঞ্চলে জমি দিতে রাজি হয়েছেন ৩৫ জন বাসিন্দা। ২১জন এনওসি জমাও দিয়েছেন। বাকিদের জমির কাগজপত্র কিছু জট রয়েছে, যা কাটিয়ে ওঠার প্রস্তুতি চলছে। সাগরে যে সাড়ে চার একর জমি সরকার নেবে, তার ভ্যালুয়েশন দাঁড়িয়েছে ১০ কোটির বেশি টাকা। কোন জমিদাতার কতটা জমি নেওয়া হবে, তার মাপজোকও হয়ে গিয়েছে। 
কাকদ্বীপ লট এইটের আশ্রম মোড় এলাকায় ৭.৯৫ একর জমি নেওয়া হবে। সেখানকার ৭৫ জন বাসিন্দা জমি দিতে রাজি হয়েছেন। এখানকার বাজারদর অনুযায়ী সরকারের কোষাগার থেকে প্রায় সাড়ে ন’কোটি টাকা খরচ হতে পারে জমি নেওয়ার জন্য। কাকদ্বীপে জমিদাতাদের এনওসি দেওয়ার প্রক্রিয়া কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। গ্রামবাসীরা এই প্রকল্পে জমি দিতে নিজেরাই আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। শ্রীদাম দাস নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘এত বড় একটা কাজ হচেছ। সরকারের জমি প্রয়োজন যখন হয়েছে, আমাদের তা দিতে হবে।’ আরেক গ্রামবাসী  শেখ মামুদের কথায়, ‘ক্ষতিপূরণের নিয়ম মেনে টাকা পেয়ে গেলে জমি দিতে কোনও অসুবিধে নেই। ব্লকে বৈঠকও হয়েছে এনিয়ে।’ 
3Months ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা