কলকাতা

সরকারের শীর্ষ স্তর ছাড়া নিটে এই দুর্নীতি অসম্ভব, সর্ষের মধ্যে ভূত খুঁজছে সিবিআই

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ‘নিট’ দুর্নীতি কাণ্ডে গুজরাতের গোধরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একটি ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষককে। মোদিরাজ্যের পাঁচমহল জেলায় আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। বকলমে পরীক্ষা অথবা প্রশ্নপত্র দেওয়ার জন্য ২৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে নিয়েছে অভিযুক্তরা। অন্যদিকে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বিহার পুলিস। রাজস্থান পুলিস আবার খুঁজছে এমন এক তরুণকে, যে টাকা নিয়ে তিন রাজ্যের পরীক্ষার্থীদের ডামি ক্যান্ডিডেট হিসেবে পরীক্ষায় বসেছিল। কিন্তু সরাসরি নিট দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা এই অভিযুক্তরা তো স্রেফ হিমশৈলের চূড়া! কেলেঙ্কারির শিকড় আরও অনেক গভীরে বলে মনে করছে সিবিআই, বিহার পুলিসের ইকনমিক অফেন্স উইং কিংবা গুজরাত পুলিস। তদন্তকারী এজেন্সিগুলি এখন কার্যত নিশ্চিত যে, সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। অর্থাৎ শিক্ষামন্ত্রক থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের যোগসূত্র ছাড়া এত বড় দেশজোড়া দুর্নীতির জাল ছড়ানো সম্ভবই নয়। সেই কারণে নিট পরীক্ষা আয়োজন, প্রশ্নপত্র ছাপা, বণ্টন, সংরক্ষণ, পরিবহণ এবং ফলপ্রকাশ পর্যন্ত দীর্ঘ যে চেইন সিস্টেম, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উচ্চ পদমর্যাদার সরকারি অফিসারদের এবার জেরা করতে চলেছে সিবিআই। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ স্তরের অনুমোদন তথা সবুজ সঙ্কেত মিলেছে বলেও খবর।
নিটে ১ হাজার ৫৬৩ জনকে কেন গ্রেস নম্বর দেওয়া হল? এই প্রশ্নই সন্দেহ বাড়িয়েছে তদন্তকারীদের। কারণ, এমন একটি সিদ্ধান্ত প্রয়োগের জন্য সর্বোচ্চ স্তর থেকে অনুমোদন প্রয়োজন। তাই গ্রেস নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকের যাবতীয় তথ্য নিয়ে ডেটাবেস তৈরি হচ্ছে। তদন্তে নেমে বিহার পুলিসের ইকনমিক অফেন্স উইং, গুজরাত এবং হরিয়ানা পুলিসের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে সিবিআই। আর সেখান থেকেই উঠে আসছে একটি বিস্ফোরক সম্ভাবনা—নিট দুর্নীতি চক্রের গ্যাং বা মাস্টারমাইন্ডদের একাংশ কি মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারিতেও যুক্ত ছিল? প্রশ্নের জবাব পেতে চার রাজ্যের পুলিসের কাছ থেকে মোট এক হাজার ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। ব্যাপম কাণ্ডে জড়িতদের ফোন নম্বর এবং ঠিকানার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখার কাজ শুরু হচ্ছে। পুলিসের দাবি, উভয় দুর্নীতির ক্ষেত্রেই মোডাস অপারেন্ডি বা অপরাধের রূপরেখা অনেকটা একইরকম।
ইকনমিক অফেন্স উইং অবশ্য ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই দু’টি বিখ্যাত ক্যুরিয়ার সংস্থার এজেন্সিকর্মীদের জেরা করেছে তারা। প্রশ্ন এখনও একাধিক—কোন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বা শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র তৈরি করবেন সেই সিদ্ধান্ত কোন কোন আধিকারিক নেন, প্রুফ কারা দেখেন, প্রতি বছর ঘুরেফিরে একই মুখকে প্রশ্নপত্র তৈরি বা প্রুফ দেখার জন্য আনা হচ্ছে কি না? এসব প্রশ্নের উত্তর একমাত্র শিক্ষামন্ত্রক এবং এনটিএ আধিকারিকরাই দিতে পারবেন। তাই তদন্তের অভিমুখ এবার সরকারের অন্দরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। 
নিট দুর্নীতির বিরুদ্ধে শ্যামবাজারে বিক্ষোভ।
2d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় বিশেষ অগ্রগতি। নতুন কর্মপ্রাপ্তির খবর পেতে পারেন। প্রেম প্রণয় যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭০ টাকা৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৪ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৭.৮০ টাকা৯০.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা