বিদেশ

মোদির ভারতে সংখ্যালঘু নিগ্রহ, সরব আমেরিকা

ওয়াশিংটন (পিটিআই): নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতে সঙ্কটজনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার। এমন অভিযোগে বহু রিপোর্ট আগে মার্কিন কংগ্রেসে পেশ হয়েছে। কিন্তু এবার সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দাবি করা হল, ভারতে সংখ্যালঘু নিগ্রহ বাড়ছে। সেদেশের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ভারতে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইনের অপব্যবহার, বিদ্বেষমূলক ভাষণ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির বাড়িঘর ও উপাসনাস্থল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। এইসব ঘটনা খুবই উদ্বেগের।’ শাসকদল বিজেপি তথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি নিয়ে নিয়ম করে সুর চড়িয়ে এসেছে বিরোধী ইন্ডিয়া শিবিরের দলগুলি। লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীনও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনমূলক মন্তব্যের অভিযোগ আনে কংগ্রেস-তৃণমূল। এবার ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে আমেরিকার এই কঠোর বাক্যবাণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়ল। আর সেটাও হল নরেন্দ্র মোদি তাঁর তৃতীয় ইনিংসের শপথ নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই।
বুধবার মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিঙ্কেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ২০২৩ সালের এই রিপোর্ট প্রকাশ করার সময়ই পৃথকভাবে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তবে একইসঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার্থে নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসাও করেছেন ব্লিঙ্কেন। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে মোদি সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া বজায় রাখবে আমেরিকা।’ ব্লিঙ্কেন প্রকাশিত এই রিপোর্টে দাবি, ভারতের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১০টিতে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইন রয়েছে। বিশেষ করে বিবাহের ক্ষেত্রে বলপূর্বক ধর্মান্তর নিয়ে কিছু রাজ্যে জরিমানাও করা হয়। কিন্তু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের অভিযোগ, ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার কোনও উদ্যোগই নিচ্ছে না সরকার। রিপোর্টে মার্কিন বিদেশ দপ্তরের দাবি, ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইনে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে, আইন মেনে ধর্মীয় আচার পালন করা সত্ত্বেও ভুয়ো ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে সংখ্যালঘু মানুষকে জেলে ভরা হচ্ছে। জো বাইডেন প্রশাসনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (ইউসিসি) প্রসঙ্গও। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বারবার জাতীয় স্তরে ইউসিসি চালুর পক্ষে সওয়াল করছেন। অথচ, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতা এবং কিছু রাজ্য এই উদ্যোগের বিরোধিতাই করছে। তাদের আশঙ্কা, ইউসিসি চালুর অছিলায় ভারতকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের এই রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল (আইএএমসি)। মোদির ভারতকে ‘কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন’ (সিপিসি) বা বিশেষ উদ্বেগজনক রাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। সংগঠনের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রশিদ আহমেদ বলেন, ‘ভারতকে যে সিপিসি তালিকাভুক্ত করা উচিত, মার্কিন বিদেশ দপ্তরের নিজস্ব রিপোর্টেই তা স্পষ্ট।’
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৫৮ টাকা৮৪.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৩ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৭.৯০ টাকা৯১.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা