বিদেশ

ক্ষমতায় যেই আসুক, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মজবুত হবে: মেলিন্ডা

মেয়াদ প্রায় শেষ। কলকাতার পাট চুকিয়ে ওয়াশিংটনে ফিরবেন মেলিন্ডা পাভেক। তার আগে মার্কিন কনসাল জেনারেলের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় সুদীপ্ত রায়চৌধুরী।
প্রঃ প্রায় তিন বছর পার?
উঃ পলক ফেলতে না ফেলতেই যেন সময় কেটে গেল।
প্রঃ কলকাতায় এই তিন বছর কেমন কাটল?
উঃ এক কথায় একটা শব্দই মাথায় আসছে—‘ম্যাজিকাল’।
প্রঃ কনসাল জেনারেল হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা?
উঃ প্রচুর কাজ হচ্ছে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে নারী ক্ষমতায়নে। যাতে তাঁরা উদ্যোগপতি হয়ে নিজেদের পাশাপাশি সমাজের অন্য অংশের মহিলাদের পাশেও দাঁড়াতে পারেন। এই লক্ষ্যপূরণে তাঁরা যাতে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি বৃহত্তর মঞ্চ পান, সে জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গেও এই মহিলাদের যোগসূত্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এই কার্যকলাপ শুধুমাত্র কলকাতা বা বাংলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বিহার, ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতকেও এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমি একাধিকবার উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছি। পর্যটনের বড় সুযোগ রয়েছে। তবে মণিপুরে যা চলছে, তা বেদনাদায়ক। আশা করি, মণিপুরের বিভিন্ন গোষ্ঠীগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানসূত্র খুঁজে পাবে।
প্রঃ কাজের ফাঁকে মজার কোনও ঘটনা?
উঃ অফিস গোছাতে গিয়ে হ্যান্স ম্যাটসনের লেখা ‘রেমিনিসেন্সেস দ্য স্টোরি অব অ্যান ইমিগ্র্যান্ট’ বইটা খুঁজে পেয়েছিলাম। তাঁর জীবনী-অভিজ্ঞতা পড়তে পড়তে মনে হল, যেন টাইম ট্র্যাভেল করছি। কিছু জিনিস পরিবর্তন করলে কলকাতার  কনসাল জেনারেল হিসেবে ওঁনার অনেক অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমারটাও মিলে যায়। 
প্রঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পড়ুয়াদের আগ্রহ ক্রমবর্ধমান। পিছিয়ে নেই পর্যটকরাও। এই ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ পদক্ষেপ?
উঃ পড়ুয়ারা যাতে পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভিসা ইন্টারভিউ সম্পর্কে যথাযথ তথ্য পান, তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএস ইন্ডিয়া এডুকেশন ফাউন্ডেশনকে। পর্যটকদের ভিসার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা প্রথমবার আমেরিকায় যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করবেন, এখন তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে ১২৫ দিন। অপেক্ষার এই সময়টা আরও কমিয়ে আনতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি।
প্রঃ আজ ২৪ জুন। কূটনীতিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। একজন মার্কিন কূটনীতিক হিসেবে এখানে আপনার কাজ ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে কতটা এগতে সাহায্য করল?
উঃ কৌশলগত জায়গা থেকে আমরা অনেক কাজ করতে পেরেছি, তার প্রধান কারণ অবশ্যই নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্ক। কিন্তু মূল কাজ তো হয় রাজ্যগুলিতে। একই কথা প্রযোজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রদেশগুলির ক্ষেত্রেও। সুতরাং এই পারস্পরিক সম্পর্কটাও কাজের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ। এই কাজের জায়গাগুলিকে চিহ্নিত করা ও সেই সম্পর্ককে মজবুত করা একজন কূটনীতিকের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজ নিয়ে আমি সত্যিই খুশি।
প্রঃ ভারতে ভোটপর্ব মিটেছে। কয়েক মাস পর আমেরিকায় নির্বাচন। এই ভোটের কী প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কে পড়তে পারে?
উঃ দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত। ভারত আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীও বটে। সুতরাং নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। সরকার বদল হলে কিছু ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর পরির্তন আসে। গণতন্ত্রে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিদেশনীতিতে প্রধান গুরুত্ব পায় দেশের স্বার্থ। সুতরাং যেই জিতুন না কেন, সম্পর্ক শক্তিশালীই থাকবে। কিছু ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তা নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা চলবে।
প্রঃ তৃতীয়বারের জন্য জিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদি। পারস্পরিক  সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই জয় কতটা কার্যকরী ভূমিকা নেবে?
উঃ শীর্ষস্তরে ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে সম্পর্ক আরও গভীর ও মজবুত হয়। তবে ভারত তার রাষ্ট্রনেতা হিসেবে কাকে বেছে নেবেন, সেটা এদেশের মানুষের সিদ্ধান্ত। যিনিই সেই আসনে বসবেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁর সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।
প্রঃ কলকাতার সবচেয়ে বেশি কী মিস করবেন?
উঃ ফুচকা। নিঃসন্দেহে। 
3d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭০ টাকা৮৪.৪৪ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৪ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৭.৮০ টাকা৯০.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা