দেশ

চাই বিহারের স্পেশাল স্টেটাস, মোদির উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নীতীশের

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: স্রেফ মুখের কথা নয়। দলের কর্মসমিতির বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদন করিয়ে নিলেন নীতীশ কুমার। দুই সংকল্প। প্রথমত, বিহারকে দিতে হবে স্পেশাল স্টেটাস। দ্বিতীয়ত অনগ্রসরদের জন্য সংরক্ষণ আরও বাড়াতে হবে। ৬৫ শতাংশ করতে হবে সংরক্ষণ। যা আগেই বিহার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্ট বাতিল করেছে। 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব নেই। স্পিকার পদ জোটেনি। ডেপুটি স্পিকার পদ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাহলে বিজেপিকে কেন্দ্রে সরকার গঠন করায় সহায়তা করার কারণ কী? বিহারের কী লাভ হবে? যতই এগিয়ে আসবে বিহারের বিধানসভা ভোট, ততই এই প্রশ্ন যে বিরোধীরা উত্থাপন করবে সেটা নীতীশ কুমার জানেন। এদিকে বিহার বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা অশ্বিনী চৌবে প্রকাশ্যে বলেছেন, আগামী বছরের নির্বাচনে বিজেপি একক গরিষ্ঠতার সরকার গড়তে চায়। এনডিএ সরকারই হবে। তবে বিজেপির গরিষ্ঠতায় এবং বিজেপির নেতৃত্বে। এমনকী চৌবে সরাসরি নীতীশ কুমারকেও টার্গেট করে বলেছেন, ভোটে জয়ী হওয়ার পর স্থির হবে যে, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আগে থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাউকে প্রজেক্ট করা হবে না। বিজেপির বিহার শাখার এই বিবৃতি স্বাভাবিকভাবেই নীতীশ কুমারের দলকে প্রবল ক্ষুব্ধ করেছে। ওই বিবৃতির কয়েকদিনের মধ্যেই শনিবার দিল্লিতে নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের কর্মসমিতির বৈঠকে নেওয়া হয়েছে প্রস্তাব। সেই ঩প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কর্মসমিতি। 
গত বছরই বিহার বিধানসভায় এই স্পেশাল স্ট্যাটাস সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছিল সর্বসম্মতভাবে। তাহলে আবার নতুন করে দলের কর্মসমিতির বৈঠকে পুনরায় দুই প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করার পরিকল্পনা নেওয়ার অর্থ কী? রাজনৈতিক মহলের মতে, অর্থ খুব সহজ। অবশেষে পরোক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে চাপ দেওয়ার রাজনীতি শুরু করে দিলেন নীতীশ। আগামী  ৮ মাসের মধ্যে বড়সড় কোনও উপহার আনতে না পারলে বিরোধী জোট প্রচার শুরু করবে, নীতীশ কুমার বিনা স্বার্থ ও শর্তে সমর্থন  দিচ্ছেন কেন্দ্রকে। বিহারবাসীর কোনও লাভই হচ্ছে না। বিহার নির্বাচনে এটাকেই ইস্যু করা হবে। তাই  নতুন কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের  ২০ দিনের মধ্যেই দিল্লিতে কর্মসমিতির বৈঠকের আয়োজন করলেন নীতীশকুমার। আর বিশেষ রাজ্যের স্ট্যাটাস চেয়ে মোদির উপর চাপ দিয়ে রাখলেন। একটি রাজ্যকে বিশেষ স্টেটাসের মর্যাদা দেওয়ার অর্থ, আর্থিকভাবে সেই রাজ্যের বহু দায় থেকে মুক্তি। সবথেকে বড় স্বস্তি হল, কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে ম্যাচিং গ্রান্ট হিসেবে রাজ্য সরকারকে মাত্র ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হয়। ৯০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র। উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি যে সুবিধা ভোগ করে। বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশ দুই রাজ্যই এই একই দাবি করেছে। আর নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু, উভয়ের সমর্থনেই টিকে থাকতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। 
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মানসিক চিন্তা। সব কাজকর্মে অগ্রগতি ও অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
28th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা