আমরা মেয়েরা

মধুচন্দ্রিমার তিন ঠিকানা

কুয়ালা লামপুর: মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুর প্রকৃতি আর আধুনিকতার মিশেলে গড়ে ওঠা ছবির মতো সুন্দর শহর। দিন চারেকের ছোট্ট ট্যুরে কলকাতা থেকে বিমানে চার ঘণ্টায় পৌঁছনো যায়। বেড়ানোর সেরা সময় অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় পর্যটকদের ভিসা লাগবে না। প্রাণকেন্দ্র মেরডেকা স্কোয়ার জমজমাট জায়গা। আছে সুপ্রিম কোর্ট, রয়্যাল সেলানগোর ক্লাব, হেরিটেজ অঞ্চল। শহরের মাঝে সবুজে ঘেরা জলাশয় লেক গার্ডেন। কাছেই শিল্পমণ্ডিত ওয়ার মেমোরিয়াল। টিলার উপর গড়ে ওঠা রাজপ্রাসাদ বাইরে থেকেই দেখতে হবে। অন্যান্য দ্রষ্টব্য— নেগারা মসজিদ, উইলাইজা মসজিদ, চায়না টাউন, বার্ড পার্ক, ন্যাশনাল মিউজিয়াম। ঘুরতে ঘুরতে আসুন কেএল টাওয়ারের নীচে। ওপরে ২৭৬ মিটার উচ্চতায় ভিউ ডেক। নীচে ভিলেজ মডেল। অন্যতম আকর্ষণ অনবদ্য স্থাপত্যের পেট্রোনাম ট্যুইন টাওয়ার। ৪২ তলায় এই জোড়া টাওয়ারের সংযোগকারী অবজারভেশন ডেক।
শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে টিলার উপর বাটু কেভ গুহামন্দির। দূর থেকে নজর কাড়ে গুহার সামনে সুবিশাল কার্তিকের সোনালি মূর্তি। শহরের বাইরে ৫৫ কিলোমিটার দূরে আরণ্যক পাহাড়ি প্রকৃতির মাঝে ১৮০০ মিটার উচ্চতায় গড়ে উঠেছে জেনটিং হাইল্যান্ড থিমপার্ক। শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সাজানো শহর পুত্রাযায়া। সেখানে দ্রষ্টব্য পুত্রাযায়া হ্রদ, মসজিদ, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি। হ্রদে বোটিং করা যায়। কুয়ালা লামপুর শপিং ডেস্টিনেশনও।
জয়সলমির: রাজস্থানের রোমান্টিক মরুশহরের হেরিটেজ হাভেলি অথবা মরুর কোলে বিলাসী তাঁবু ঠিকানায় দিনগুলো কাটাতে মন্দ লাগবে না। জয়সলমির মানেই সোনার কেল্লা। টিলার মাথায় হলুদ বেলেপাথরের তৈরি এই দুর্গে আছে প্রাসাদ, হাভেলি, জৈন মন্দির। দুর্গের মধ্যে থাকার হোটেল, গেস্ট হাউসও রয়েছে। শহরে হাঁটতে হাঁটতে দেখে নিন সেলিম সিং হাভেলি, নাথমল হাভেলি, পাটোয়া হাভেলি, তাজিয়া টাওয়ার প্রভৃতি শিল্পমণ্ডিত স্থাপত্য। জয়সলমিরের গাদিসর হ্রদটিও দেখার মতো। চারপাশে প্রাচীনছত্রি। হ্রদে বোটিং হয়। শহরের বাইরে ব্যাসছত্রি, লোধুরবা জৈন মন্দির, দামোদরা, জানোই মরুগ্রাম। মুখ্য আকর্ষণ থর মরুভূমি। শহরের দু’দিকে বিস্তৃত বালিয়াড়ি। ৪২ কিমি দূরের সাম বালিয়াড়িতে ভিড় বেশি। মরুভূমিতে ক্যামেল রাইড করা যায়। ৪০ কিমি দূরে খুড়ি গ্রাম ছোঁয়া আরেকটি বালিয়াড়িও দৃষ্টিনন্দন। হাওড়া থেকে ট্রেনে যোধপুর পৌঁছে সড়কপথে জয়সলমির পৌঁছতে ঘণ্টা ছয়েক লাগে।
উটি: তামিলনাড়ুর জনপ্রিয়তম শৈলশহর উটি নীলগিরি পাহাড়ের কোলে গড়ে উঠেছে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে দু’দণ্ড ছুটি কাটানোর অপরূপ ঠিকানা। উটির অবস্থান ২২৪০ মিটার উচ্চতায় হওয়ায় সেখানে বছরভর শীত। পাহাড় জুড়ে ছড়িয়ে চা বাগান। মেট্টুপলায়ম থেকে টয়ট্রেনে চেপে পাহাড় ঘুরে উটি পৌঁছনোর মজাই আলাদা। চেন্নাই থেকে রাতের ট্রেনে চাপলে পরদিন ভোরেই পৌঁছবেন মেট্টুপলায়ম। উটিতে দিন চারেক থাকুন ঘোরার জন্যে। শহরের বুকে উটি লেক। চারপাশে গাছের প্রাচীর। পাশেই সাজানো পার্ক। আছে রোজ গার্ডেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চার্চ, ডোডাবেট্টা পিক টেলিস্কোপ হাউস। উটি থেকে ২০ কিমি দূরে কুন্নুর। টয়ট্রেন বা গাড়িতে যাওয়া যায়। দেখবেন চা বাগানের মাঝে কয়েকটি ভিউ পয়েন্ট। উটি থেকে মহীশূরগামী পথে শ্যুটিং পয়েন্ট, পাইন বন, পাইকারা ঝর্ণা ও হ্রদ, মৃদুমালাই অভয়ারণ্য পড়বে। ছবি: সুবীর কাঞ্জিলাল
7Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা