আমরা মেয়েরা

বর্ণময় বিয়েবাড়ি

বিয়েবাড়ির আমেজ কতটা বদলেছে কালের নিয়মে? লিখেছেন রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

মধ্যবিত্ত হিন্দু বাঙালি বাড়িতে আনন্দের যত অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, তার মধ্যে সবচেয়ে বর্ণময় হল মেয়ের বিয়ে। কোনও ছেলের বিয়ে হলে বাড়িতে আনন্দ হয় না, তা কিন্তু আমি মোটেও বলছি না। তবে মূল বিয়ের অনুষ্ঠানটা যেহেতু মেয়ের বাড়িতে হয়ে থাকে, সেজন্য ঘটনার ঘনঘটা ছেলের বাড়ির তুলনায় মেয়ের বাড়িতে কিছুটা হলেও বেশি, এটা মুখে না বললেও সব্বারই তো জানা।
বিয়ের দিন ভোররাতে হবু কনেকে ঘুম থেকে তুলে চিঁড়েদই মেখে খাইয়ে দেওয়া হয়। এই আচারটির নাম দধিমঙ্গল। বিয়ের আগের দিন মানে আইবুড়ো ভাতের দিন সকাল হতেই নানা জায়গা থেকে বিয়েতে অংশ নিতে আসা আত্মীয়দের দাপটে বিয়েবাড়ি সরগরম হতে থাকে। তুতো ভাইবোনেদের পাল্লায় পড়ে ইচ্ছে থাকলেও হবু কনের রাত্তিরে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া হয়ে ওঠে না। এরপর তাকে ঘুম থেকে শেষরাতে টেনে তুলে, চার-পাঁচজন মাতৃস্থানীয়া মহিলা যদি একগাল করেও দইচিঁড়ে-মাখা খাওয়ান, তবে ওইসময় তার অবস্থাটা কী হয় আন্দাজ করা কঠিন নয়। এর মধ্যে বয়স্কা কেউ মেয়েটির মুখে বড়সড় একখানা গ্রাস তুলে দিতে দিতে মিষ্টি করে জানিয়ে দেন, সে যেন এখন বেশ পেট ভরে খেয়ে নেয়, কারণ বিয়ে না মিটলে সে নাকি আর কিছু খেতে পাবে না। এদিকে সকাল সাড়ে আটটা বাজতে না বাজতে ধবধবে ফুলকো লুচি, কালোজিরে দেওয়া সাদা আলুর তরকারি আর লাল-হলুদ দানার রস চপচপে মিষ্টি বোঁদে জলখাবারের ছোট ছোট কাগজের থালায় করে বাড়ির সবাইকে দেওয়া শুরু হয়ে যেতে থাকে। মেয়েটির নাকে সে-ই লুচি ভাজার গন্ধ কি যায় না বলে মনে হয় আপনাদের? আর সকলের চোখ এড়িয়ে ভাইবোন বা বন্ধুদের কেউ কি তার জন্য সেই লুচি খানকতক আর একটু বোঁদে নিয়ে যেতে পারে না লুকিয়ে? অবশ্যই পারে। আর তাতে কোনও মহাভারতও অশুদ্ধ হয়ে যায় না। কিন্তু আসল মজাটা লুকিয়ে থাকে অন্য জায়গায়। সেই লুচি-বোঁদে খেয়েও অনেক সময় কনেকে উপোসি মানুষের অভিনয় করে যেতে হয় তার অতি-গোঁড়া মাসিপিসিদের সামনে।
এর কিছু পরে হঠাৎ বিয়েবাড়ির সাউন্ড বক্সে কিশোরকুমারের দানাদার গলায় ‘কী আশায় বাঁধি খেলাঘর’ বেজে উঠতেই, বাড়ির কত্তারা সাউন্ড সিস্টেম বাজানোর রোগা ছেলেটির দিকে প্রায় ‘মার মার’ করে তেড়ে যেতে, সে থতমত খেয়ে জিভ কেটে তখনকার দিন হলে ভুল ক্যাসেট আর এখনকার সময় হলে ভুল সিডি বদলে দিয়ে তাড়াতাড়ি বিসমিল্লা খাঁ সাহেবের ‘ভৈরবী’ চালিয়ে দেবে।
এরপর হইহই করে বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের তত্ত্ব চলে আসে। আর তা বয়ে আনে কুটুমবাড়ির কয়েকজন লোক। আর সেই দলে কাজের লোকের ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকে সে-বাড়ির দু’একজন আত্মীয় পরিজন, যাদের মেয়ের বাড়ির লোকেরা এর আগে দেখেনি। এরা তত্ত্ব পৌঁছে, হাত পেতে বকশিস নিয়ে, আবার বরের বাড়িতে ফিরে যায় এবং সন্ধেবেলা সুন্দর বেশবাস পরে বরযাত্রী হয়ে এসে, সবার সামনে মজা করে নিজেদের পরিচয় হাসতে হাসতে ফাঁস করে।  
গায়ে হলুদের তত্ত্বের পর্ব শেষ হতে হতে দুপুরের ন্যাড়া যজ্ঞির রান্না খাওয়ার সময় এসে যায়। এই খাওয়ার মেনু অধিকাংশ বাড়িতে খুবই সাধারণ এবং সেই কারণে অনেকেরই মনের মতো হয় না। ভাত, ডাল, ঝিরিঝিরি আলুভাজা আর ছ্যাঁচড়ার পর মাথাপিছু একপিস করে মাছের ঝাল। সেদিন রাত্তিরে যে পোনামাছগুলির গরগরে কালিয়া হবে, ডাল আর ছ্যাঁচড়াতে তাদেরই বাদ দেওয়া মুড়ো চমৎকারভাবে মিশিয়ে দেওয়া হয়। আর শেষপাতে থাকে একটু চাটনি, দই, বড়জোর একখানা করে রসগোল্লা বা পান্তুয়া। সকালের জলখাবারের বোঁদে, দুপুরের শেষপাতে রসগোল্লা, পান্তুয়া এবং রাতের রাজভোগ বা চিত্রকূট— এগুলো সব তৈরি হতো আইবুড়োভাতের দিন সন্ধেবেলা বাড়িতে ভিয়েন বসিয়ে। আর এইভাবে চোখের সামনে হরেক মিষ্টি তৈরি হতে দেখা এবং তা গরম গরম চাখার একটা আলাদা মজা ছিল।
আগে বাঙালি পরিবার মানেই ছিল যৌথ পরিবার। সেখানে বাড়ির কোনও ছেলে বা মেয়ের বিয়ে হলে সবাই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। সকলেই মনে করতেন এটা তাঁর নিজের কাজ। কিন্তু বিয়ের দিন সকাল থেকে কনের বাবাকে দেখে মনে হতো তিনি বোধহয় সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত। অথচ বেশিরভাগ বাড়িতে বিয়ের দিনে মেয়ের বাবার কোনও কাজই থাকে না। বড় পরিবার হলে এমনও দেখা যেত যে, সম্প্রদানটাও মেয়ের কোনও জ্যাঠামশাই করছেন। আর অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে হওয়ার ঠিক আগে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের সময় সারা বাড়ি খুঁজেও মেয়ের বাবাকে পাওয়া যায় না। শেষে হয়তো পাওয়া যায় রান্নার জায়গায় অথবা দোতলার বাথরুমে।
সন্ধেবেলায় বরযাত্রী সহ বর এসে গেলে প্রথমে হয় আশীর্বাদ। আর তারই মধ্যে ‘থ্রি মাসকেটিয়ার্স’ স্টাইলে রেজিস্ট্রার এবং তাঁর সহযোগীরা প্রবেশ করেন বিয়েবাড়িতে। যবে থেকে বিয়ের দিনে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হওয়া শুরু হয়েছে, তবে থেকেই এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, ম্যারেজ রেজিস্ট্রারই হলেন এই জাগতিক পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত মানুষ। কারণ তিনি বিয়ে দিতে এসে প্রথমেই জানিয়ে দেন, এর পরেও তাঁকে আরও তিনটি বিয়ে দিতে হবে, সুতরাং এক মিনিটও সময় নষ্ট করা সম্ভব হবে না। তিনি এমনই গম্ভীর মুখ নিয়ে চেয়ারে আগাগোড়া বসে থাকেন যে, তিনি বিয়েবাড়িতে এসেছেন, না শ্রাদ্ধবাড়িতে গেছেন—  তা মোটেই বোঝা যায় না। হতে পারে তিনি মনে মনে বুঝতে পারেন দুটো রঙিন প্রজাপতির মতো স্বাধীন এবং মুক্ত মানুষকে বিয়ের বন্ধনে বেঁধে ফেলে তিনি কত বড় পাপ করতে চলেছেন। আর এই দুঃখবোধ মুছে ফেলার জন্য তিনি সব বিয়েবাড়িতেই একটি করে কোল্ড ড্রিংক নিয়ে খান। অবশ্য কোল্ড ড্রিংক খাওয়াটা হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট-এর প্রত্যক্ষ অঙ্গ কি না তা আমার পরিষ্কার জানা নেই।
রেজিস্ট্রি ম্যারেজ শেষ হলে শুরু হয় অগ্নিসাক্ষী বিবাহের লম্বা মন্ত্রপাঠ এবং অন্যান্য বিধিনিয়ম। এইভাবে হওয়া বিয়েতে সময়ও যথেষ্ট বেশি লাগে। মাটিতে বাবু হয়ে একটানা বসে থাকতে থাকতে বর-কনের পায়ে ঝিঁঝি ধরে যায়। তাই এখন বেশিরভাগ বিয়েবাড়িতেই কনের বাড়ির গোঁড়া পুরোহিতকে, বরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ইশারায়, ইঙ্গিতে এবং শেষে প্রায় সরাসরি বিয়েটা সংক্ষেপে সেরে ফেলার অনুরোধ জানায়। এখনকার অনেক শিক্ষিত, নারীবাদী কনে আর তার সহচরীরা পুরোহিতমশায়ের উচ্চারণ করা বেশ কিছু মন্ত্র এবং স্ত্রী-আচার মুখে মুখে সংশোধন করে দেয় কারণ একজন মেয়ের জন্যে সেগুলো সত্যিই বেশ অসম্মানজনক।  তুলনায় কুঁচোনো ধুতি ও গিলে করা পাঞ্জাবি পরে আর শোলার টোপর মাথায় দিয়ে বর বাবাজি বিয়ের পিঁড়িতে বসে কেমন যেন ভেবলে যায়। একে তো বিয়ে করতে বেরনোর ঠিক আগে বাড়িতে ধুতি-পরা নিয়ে একটা দক্ষযজ্ঞ হয়ে গেছে। শেষে অস্টিও আর্থ্রাইটিসের রুগি মেজমামা তাঁর নি-ক্যাপ-পরা জখম বাঁ-হাঁটু নিয়ে বরের পায়ের কাছে উবু হয়ে বসে, তাকে যত্ন করে ধুতি পরিয়ে দিয়েছেন। শোলার টোপর সত্যিই খুব সুন্দর একটি জিনিস। কিন্তু তার নীচ থেকে যে দু’খানা কদমফুলের ঝুলুরি বরের দুই কানের কাছে দুলদুল করে দোলে, সেটা তার কনফিডেন্স লেভেলকে মাঝে মাঝে বেশ খানিকটা নীচে নামিয়ে দেয়। আর বরের এই আধো-আধো, লাজুক-লাজুক মুখভঙ্গিগুলো সটাক্‌ সটাক্‌ করে শাটার টিপে ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন বিয়েবাড়ির প্রফেশনাল ফোটোগ্রাফাররা।
রামায়ণ যেমন বাল্মীকির, মহাভারত যেমন ব্যাসদেবের আর পঞ্চতন্ত্র যেমন বিষ্ণুশর্মার স্পর্শ ছাড়া অসম্পূর্ণ, তেমনি বিয়েবাড়ি অসম্পূর্ণ আট-পকেটওয়ালা জ্যাকেট গায়ে-দেওয়া ফটোগ্রাফারদের আঙুলের স্পর্শ ছাড়া। ফটোগ্রাফাররা হলেন বিয়েবাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তাঁদের মুখের কথায় অনেক অসম্ভবও সম্ভব হয়ে ওঠে। তাঁদের অনুরোধে বর-বধূর তিনবারের জায়গায় পাঁচবার মালাবদল কিংবা একবারের জায়গায় দু’বার সিঁদুরদান হওয়াটাও এমন কিছু বিচিত্র নয়।  হাল আমলের বিয়েবাড়িতে ‘প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট’ বলে একটা আশ্চর্য জিনিস হয়ে থাকে। আর এই বিশেষ ফটোশ্যুট না দেখলে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতে পারতেন না, অমন ঠা-ঠা রোদের মধ্যে এইসা মোটা শেরওয়ানি-পরা একটি ছেলে, জরি-বসানো লেহেঙ্গা-চোলি পরা একটি মেয়ের চোখের দিকে, একদম পিটপিট না করে একটানা অতক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে! কলকাতা ময়দানে একপাল কালো ছাগল বা ধূসর ভেড়ার পালের পিছনে হবু বরের স্লো-মোশন দৌড়—  এসব তাঁরা না দেখালে কে-ই বা আমাদের দেখাত! এযাবৎ যে-ক’টি ‘প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট’ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, তা দেখে আমার এটাই মনে হয়েছে, এই কলকাতা শহরের তিনটি জিনিস ছাড়া এটি তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। যেগুলো হল—  একটি হাতরিক্সা, চায়ের একটি ধোঁয়াওঠা ভাঁড় এবং উত্তর কলকাতার একটি সরু আলোছায়া গলি।
আগে বিয়েবাড়িতে ভিডিওগ্রাফি করার জন্যে ক্যামেরার সঙ্গে খুব চড়া পাওয়ারের হ্যালোজেন আলো লাগত। এই আলোটি হাতে নিয়ে একজন ছোটভাই ফটোগ্রাফার দাদার পিছন পিছন ঘুরতেন। এই দুই ভাই যখন খাবার জায়গায় এসে নিমন্ত্রিতদের খাওয়াদাওয়ার ভিডিও তুলতেন, তখন সেই আলো যাঁর মুখের ওপর পড়ত, তাঁর কপালে শীতের সন্ধেতেও শিশিরকণার মতো জমে উঠত বিন্দু বিন্দু ঘাম। কিন্তু তাঁর পালানোর কোনও উপায়ই থাকত না কারণ তখন তো আর এখনকার মতো বুফে সিস্টেমে খাওয়া নয়। ওপরে রোল-কাগজ বিছিয়ে দেওয়া লম্বা কাঠের টেবিল আর কাঠের ফোল্ডিং চেয়ারে বসে, কলাপাতা, মাটির ভাঁড় আর মাটির বাটিতে খাওয়া। এখন অবশ্য বুফের পাশাপাশি চৌকোনা ফাইবারের টেবিল-চেয়ারে চারজন চারজন করে খেতে বসার বন্দোবস্ত করা থাকে বেশ কিছু বিয়েবাড়িতে। কিন্তু তাতে আগের সেই লগবগে কাঠের টেবিল-চেয়ারের থ্রিল নেই।
বিয়েবাড়িতে বসে-খাবার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ঠিক যে সময় গলদা চিংড়ির মালাইকারি বা খাসির মাংস পরিবেশন করা শুরু হচ্ছে, ঠিক সেই সময় বেশ দূর-সম্পর্কের এক বয়স্ক মেসোমশাই, যিনি নিমন্ত্রিতদের খাওয়াদাওয়ার তদারকি করছিলেন, আপনাকে হঠাৎ দেখতে পেলেন এবং চিনেও ফেললেন। আর এগিয়ে এসে ঠিক আপনার টেবিলের সামনে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আপনার বাবা-মা-শালা-শ্বশুর সব্বার খোঁজ একে-একে নিতে শুরু করলেন। আপনি তাঁর কথার উত্তর দিচ্ছেন বলে আপনার চিবোনোর স্পিড কমে যাচ্ছে, পাতে মাছ-মাংস পড়ে রয়েছে, আর সেই মেসোমশাইয়ের পিছন দিয়ে চিংড়ি-পরিবেশনকারী এক-ঝলক আপনার পাতের দিকে তাকিয়ে খুব দ্রুত সরে যাচ্ছে পরের পাতটির দিকে। এই যে হাহাকার, এই যে চোখের সামনে দিয়ে আকাঙ্ক্ষার ফুলটুকুর 
দেখা দিয়ে সরে যাওয়া—  এতে করে পরবর্তী জীবনের একটা আগাম সংযমের পাঠ ভেতরে ভেতরে অবশ্যই তৈরি হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু তা দিয়ে সেই সময় সৃষ্টি হওয়া হৃদয়ের যে আক্ষেপ, তাকে কোনওমতেই ধামাচাপা দেওয়া যায় না।
বিয়েবাড়িতে রাতের খাওয়াদাওয়া মিটতে মিটতে একটু বেশি রাত হয়ে যায়,  যেটা খুবই স্বাভাবিক। আগে এপার বাংলার মেয়েদের বিয়ের রাতের একটি আবশ্যিক আচার ছিল বাসর-জাগা। এতে অংশ নিত কনের আত্মীয়-বন্ধুরা এবং বরের সঙ্গে থেকে যাওয়া কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু কিংবা ভাইবোন। বাসরে গানবাজনা হতো, আবৃত্তি হতো, ইয়ার্কি হতো, ফাজলামি হতো।  কিন্তু এই সবকিছুর ওপরেই থাকত এক রুচিশীল পরিমিতিবোধের ছোঁয়া। ফলে বর-বধূর জীবনে তা থেকে যেত এক অমলিন আনন্দের চির-অভিজ্ঞান হয়ে। এখন, হয় সারাদিনের টেনশন এবং ক্লান্তির কারণে নয়তো ব্যক্তিগত উৎসাহের অভাবে বাসরের চল প্রায় উঠেই গেছে। এখন বিয়ের শেষে রাতের খাওয়া সেরে, কনে আর তার বন্ধুরা একটি ঘরে এবং আরেকটি ঘরে বর আর তার বন্ধুরা ভোঁস-ভোঁস করে নাক ডাকিয়ে ঘুমোয়। কনের ছোটমামা মাঝরাতে বাসরঘরে টান হয়ে বসে, হারমোনিয়াম বাগিয়ে সুরসাগর জগন্ময় মিত্রের ‘ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে’ গাইছেন আর বরের বন্ধুরা ঘরের দেওয়াল বা দেরাজে হেলান দিয়ে, বুকে থুতনি ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে ঢুলছে— এমন মজাদার দৃশ্য কি এখনকার বিয়েবাড়িতে আবার নতুন করে ফিরিয়ে আনা যায় না?  
7Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা