‘রত্নগর্ভা’ বরণ টালা পার্কে
নারীর আপন ভাগ্য জয় করার ইতিহাসকে বরণ ও তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার আলাদা করে কোনও দিনক্ষণ হয় না। তবু ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারীদিবস হিসেবে গ্রহণ করেছে তামাম বিশ্ব। এমন দিনে নারীর যে কোনও ইতিবাচক দিক তুলে ধরে সমাজে তাঁকে নতুন করে সম্মানিত করাই রীতি। নারীদিবস উপলক্ষে সম্প্রতি তেমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল টালা পার্ক অ্যাক্টিভ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। পাইকপাড়ার মোহিত মৈত্র মঞ্চে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান ছিল মূলত বিশেষরূপে সক্ষম শিশুদের নিয়ে। শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধকতা থাকার পরেও এই শিশুরা কেউ যোগাসনে কেউ অঙ্কনে কেউ বা আবৃত্তি বা নাটকে নিজের দেশের নাম বিশ্বের নানা প্রান্তে উজ্জ্বল করেছে। এমনই ২০ জন শিশুর মাকে এই মঞ্চে ‘রত্নগর্ভা’ সম্মানে ভূষিত করা হয়। এছাড়াও যাঁরা সমাজের নানা সেবাব্রত পালন করেন, এমন মহিলা চিকিৎসক, শিক্ষিকা, মহিলা পুলিশ ও মহিলা খেলোয়াড়দেরও এদিন সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় পুরপিতা তরুণ কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন ডিসি বন্দর অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়, লালবাজারের মহিলা ইন্সপেক্টর শিপ্রা মল্লিক, টালা থানার ওসি সৈকত নিয়োগী সহ বিশিষ্টজনেরা। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন শিশুরা এদিন যোগাসন, নাচ, গান, আবৃত্তির মাধ্যমে জমিয়ে দিয়েছিল সন্ধ্যা। সংস্থার সদস্য বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন মহিলারাও এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
সেভেন্থ হেভেন-এর তরফে নারীসম্মান
একদল মহিলা ফুড ব্লগারকে সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক নারীদিবসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সেভেন্থ হেভেন বেকারি চেন। আন্তর্জাতিক নারীদিবস উপলক্ষে সাউথ সিটি মলের কাছেই একটি শাখা খোলা হয় সেভেন্থ হেভেন-এর। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন ফুড ব্লগার। মহিলাদের সম্মান জানানোর মাধ্যমেই সমাজে এক নতুন দিশার সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার ঋষভ সাধুখাঁ। তাঁর কথায়, ‘প্রতিদিন মেয়েরা নিজেদের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে সমাজকে উন্নততর করে তুলছেন। তাঁরা একাধারে সংসার ও কর্মক্ষেত্রে নিজেদের পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন। শিল্প, সংস্কৃতি সব মহলেই নারীর অস্তিত্ব অনুভূত হচ্ছে ক্রমশ। ফলে নারীশক্তিকে অগ্রাহ্য করার কোনও উপায় নেই। নারীর এই প্রতিভা ও ক্ষমতার উদ্যাপনের মাধ্যমেই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব আমরা। প্রতিদিনই মেয়েদের ক্ষমতার প্রদর্শন হয়। ফলে শুধুমাত্র একটা দিন নারীদিবস হিসেবে চিহ্নিত করা ঠিক নয়। তার চেয়ে বরং এই দিনটা নারীর সাফল্য উদ্যাপনের জন্য তোলা থাক।’ তিনি আরও বলেন নারীর অস্তিত্ব আমাদের সমাজকে রঙিন করে তুলেছে। তাই একাধারে নারীদিবস ও বসন্ত উৎসব পালন করে তিনি নারীদের সম্মান জানান।