আমরা মেয়েরা

এখন যেমন দেখি

এসময়ের ভালোবাসার উৎসবে আতিশয্যের অন্ত নেই। কিন্তু নিজের সংস্কৃতি ভালোবেসে অন্যের অনুকরণ না করে ভালোবাসতে পারি কি আমরা? প্রশ্ন তুললেন সমাজতাত্ত্বিক অর্ণা শীল। 
 
রাজ্যের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ক্যালেন্ডার বলছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘হলিডে’। সেদিন কীসের জন্য ছুটি, প্রথমে জানতাম না। পরে দেখা গেল রাজবংশী সমাজের প্রাণপুরুষ, ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন বলে সেদিন রাজ্যে ছুটি। কিন্তু ওই দিন ঠাকুর পঞ্চাননের জন্মদিনের চেয়ে অনেক বেশি পরিচিত বিষয়, ভ্যালেন্টাইন’স ডে। এই ছুটিটা বেশিরভাগ মানুষ হয়তো সেইজন্যই উপভোগ করবেন। এতে ক্ষতি তো কিছু নেই। কিছু মানুষের মনে হতে পারে, কেন ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে এত মাতামাতি? নানা বিতর্কও হবে। আমার মনে হয় একটু অন্যভাবে বিষয়টাকে দেখা যেতে পারে।
ধরা যাক, ক্রিসমাস বা বড়দিনের কথা। এই সময়ের ছুটিটা বরাবরই বেশ জনপ্রিয়। কেক খাওয়ার চল আমাদের ছোটবেলা থেকেই ছিল। তখন অত জাঁকজমক হয়তো ছিল না, তবে ছুটি-ছুটি মেজাজটা ছিল। আমাদের দেশে যেহেতু ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে, তাই বড়দিন উদ্‌যাপনে ঢুকে গিয়েছি আমরা। তবে আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের এমনিতেও অন্য ধারার, অন্য সংস্কৃতির কিছু গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা মুশকিল! কারণ আমাদের কাছে পাঞ্জাবি বা মাড়োয়ারিদের সবরকম প্রথাই প্রায় গ্রহণীয়। কুবেরের পুজো থেকে ধনতেরস সব নিয়েই আমরা উন্মত্ত। কিন্তু ওঁরা আমাদের প্রথা অনুসরণ করছেন, এমনটা নয়। সুতরাং বাঙালিরা ভ্যালেন্টাইন’স ডে নিয়ে পিছিয়ে থাকবে, এমন সম্ভাবনা দুষ্কর! 
তবে ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র ক্ষেত্রে ভাবনাটা একটু ব্যতিক্রমী। কারণ, এটা ভালোবাসার দিন। আর ভালোবাসার মধ্যে তো কোনও ক্ষতি নেই। একে অপরকে ভালোবাসবে, সেটা খুব সুন্দর ব্যাপার। কিন্তু এই ভালোবাসার মধ্যে কিছু অনুষঙ্গ জড়িয়ে গিয়েছে— যেমন ওইদিন কোথাও বেড়াতে যেতে হবে, উপহার দিতে হবে বা খাওয়াদাওয়া করতে হবে রেস্তরাঁয় গিয়ে। এবার এগুলো খুব খারাপ ব্যাপার, তাও আমি বলছি না। তবে এগুলো ছাড়া ভালোবাসা অর্থহীন, সমস্যা এই ভাবনার মধ্যে। না হলে একটা দিন ভালোবাসার জন্য রাখলে কী-ই বা ক্ষতি? বিশেষত ভালোবাসা যখন এমনিতেই পৃথিবীতে কম পড়িয়াছে! সবাই সবার সঙ্গে মারামারি করছে। এই অবস্থায় ভালোবাসাবাসিই বরং শ্রেয়। সরস্বতী পুজোর দিন একটু ভালোবাসার দিন, ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তেও ভালোবাসার দিন উপরি পাওয়া গেল। সে একদিক থেকে ভালোই। কারণ এই দিনটি মূলত ভালোবাসতেই বলছে। 
কিন্তু দেখতে হবে আমাদের সমাজ কীভাবে এই বিষয়টার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। আমরা এখন ‘ফোমো’ (ফিয়ার অব মিসিং আউট) সংস্কৃতির মধ্যে বাঁচি। অর্থাৎ বাকিদের মতো আমার আনন্দ করা হল না, বা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে জাহির করা হল না এমন ভাবনা থেকে মনের মধ্যে যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হচ্ছে, সেটাই ‘ফোমো’। এই যে নিজেকে বাকিদের মতো সকলের সামনে তুলে ধরতে পারছি না, সেটা তো ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র দিনও মনে হবে। কে কত বেশি সাজল, কে কত বেশি জায়গায় গেল, কে কতজন বন্ধুর সঙ্গে গেল— এই যে ধারাবাহিকভাবে এগুলো দেখানো হচ্ছে, তাতেই সমস্যা। অথচ একসময় বাঙালির কাছে উৎসবের অর্থ একেবারে অন্যরকম ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৌলতে আমরা উৎসব পালনের ক্ষেত্রে অসম্ভব সমৃদ্ধ একটা দৃষ্টিভঙ্গি জেনে বা দেখে এসেছি। কিন্তু সমস্যা হল, আমরা সেটা ভুলে গেলাম। আপন করে নিলাম বিজাতীয় সব কিছু। উৎসব উদ্‌যাপনের সেই ধারার মধ্যে ছিল প্রকৃতিকে আপন করে নেওয়া। তার মধ্যে কোনও আতিশয্য ছিল না। সব ছিল ছিমছাম। চারপাশে যা কিছু আছে, তাই নিয়েই উদ্‌যাপন। তার মধ্যে ছিল সকলকে আপন করে নেওয়া, বলা ভালো অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার ইচ্ছা। পুঁজিবাদের প্রভাব নয়, মনের আনন্দ কীভাবে বাড়ানো যায় সেটাই ছিল মুখ্য। 
অথচ এখন আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, তাতে ডিজে বক্স ছাড়া আমরা আনন্দ করতেই পারছি না। তা সে শহর হোক, শহরতলি হোক বা গ্রামেগঞ্জে হোক, একই ছবি। রাজ্যের বাইরের একটা ঘটনা মনে পড়ছে। কিছুদিন আগে রাজস্থানের জয়পুরে ছিলাম। সেখানে নাহারগড় কেল্লার মাথা থেকে গোটা শহরটা দেখা যায়। ওটা জয়পুরের সর্বোচ্চ ভিউপয়েন্ট। কিন্তু দেখার চেয়েও সেদিন প্রকট হয়ে উঠেছিল শব্দ। সেদিন ছিল মকর সংক্রান্তি। তাই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারস্বরে ভেসে আসছিল বিভিন্ন রকমের শব্দ। ছাদে ছাদে ঘুড়ি উড়ছে আর তার সঙ্গে ভয়ংকর মিউজিক বাজছে। নানা দিক থেকে ভেসে আসছে আওয়াজ, বলা ভালো ক্যাকোফোনি! আনন্দ প্রকাশের ভঙ্গি কিন্তু রাজ্যভেদেও একইরকম। গ্রামেগঞ্জে ডিজে স্টুডিও হয়েছে আজকাল দেখেছি। সেখানে সব বয়সের মানুষ গিয়ে নাচাগানা করে আসে। এটা গত ছ’সাত বছরে মারাত্মক বেড়েছে। সব উৎসবের এটিই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এগুলো কেন বলছি, বুঝিয়ে বলি। আমি কী দিয়ে আমার ভালোবাসা ব্যক্ত করব বা উদ্‌যাপন করব, সেটা একটু ভাবতে হবে। এগুলো করলে আমার মনের মধ্যে সত্যিই কি ভালোবাসা জারিত হয়? এই প্রশ্নটা তুলতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া আমাকে ভালোবাসতে শেখাবে না। এটা বুঝতে হবে। 
আজকাল ভালোবাসা মানে একসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ করা। একে অপরকে শোনার অভ্যাসও ক্রমশ কমে গিয়েছে। কোনও গেট-টুগেদার-এ গেলে দেখি ছোট বা মাঝারি বয়সের যারা, একসঙ্গে হলেই তারা হোয়াটসঅ্যাপ করে। তাদের মা বাবারা শুধু কথা বলছে। কেননা ওই প্রজন্ম একসময় শুধু মুখোমুখি কথা বলতেই জানত। ছোটরা সে অভ্যেস জানে না। ফলে দেখতে হবে কোন জায়গায় আমরা উৎসব উদ্‌যাপনকে নিয়ে এসে ফেলেছি! সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আমাদের নিজেদের দিকেও আঙুলটা তুলতে হবে। কারণ ছোটরা আমাদের দেখেই শিখছে। আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত। আমরা যা দেখাচ্ছি, তা কি খুব অনুসরণযোগ্য? এই যে সারাক্ষণ সেলফি-ব্যস্ততা, নিজেকে উদ্‌যাপনের হিড়িক, প্রাইভেট-পাবলিক স্পেস গুলিয়ে যাওয়া— এগুলো মিলে যেটা হচ্ছে ছোটরা সেটাই করছে। তাহলে প্রেম করা মানে আমি কী শিখছি? শিখছি, গোটাটাই দেখানোর উপর নির্ভর করে। গ্রামেও এটা প্রবলভাবে হচ্ছে। আর কিছু নেই, মুঠোফোনটাই সম্বল। খুব দামি স্মার্টফোন। তাতে গেম খেলছে, টাকা রোজগার করছে। ইনফ্লুয়েন্সার হচ্ছে। শুনেছি, গেমিং অ্যাপ ডাউনলোড করার হিসেবে ভারত প্রথম সারিতে। এই সবকিছু ভয়ংকর প্রভাব ফেলছে বয়ঃসন্ধি কালে। তারা এগুলোই শিখছে। আর যে এটা করতে পারছে না, মনে মনে ভয়ানক সংকট তৈরি হচ্ছে তার।  
মেয়েদের ক্ষেত্রে আর একদিকে আছে সাজগোজের বিষয়টা। চুলে একধরনের রং বা হাইলাইটস থাকবে, একধরনের মেকআপ করতে হবে, বিশেষ ধরনের জামাকাপড় পরতে হবে। সবাইকে সবার মতো দেখতে লাগবে। কেউ আর আলাদা থাকতে চাইছে না। আলাদা যেসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেগুলোর জন্য আমি ‘একঘরে’ হয়ে যেতে পারি! তাই একটা বিশেষ স্টেটাসে পৌঁছতে আমাকে বেশ কিছু ‘কমন’ জিনিস করতেই হবে। এর সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র অনেক কিছু জড়িত। এইভাবেই তো দিনটার সঙ্গে অনুষঙ্গগুলো জুড়ে দিতে সুবিধা হয়। সেগুলোই চিন্তার জায়গা। তাই সত্যিকারের ভালোবাসা নয়, এই আনুষঙ্গিক ভালোবাসার জিনিসগুলো দিয়ে ভালোবাসার একটা নকল জগৎ তৈরি করছি আমরা। এটা থেকেই মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। গ্রামে অনেক মেয়ে ‘পিয়ার প্রেশার’ সহ্য করতে না পেরে বিয়েতে সায় দিচ্ছে। অথচ আগে কী ছিল? সরস্বতী পুজোর হালকা হলুদ সুতির শাড়িতে সাধারণ সাজ। ছেলেদের হলুদ পাঞ্জাবি। হয়তো একটু চোখাচোখি। এখানে কোনও চাপের ব্যাপার নেই। সেই রোম্যান্স-এর অনুভূতিটা নিশ্চয়ই এখনও আছে। কিন্তু সেটায় বাজারিকরণ এতটাই মাথা গলিয়েছে যে ছোটদের উপর ভীষণ চাপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। 
ভেবে দেখুন তো, লতা মঙ্গেশকরের মতো শিল্পীর কথা। সারাজীবন সাধারণ শাড়ি, আঁচলে গা ঢাকা দিয়ে অসামান্য সঙ্গীতের মুর্চ্ছনা তৈরি করে গেলেন। তাঁর কিন্তু আলোর ছটায় থাকার জন্য বিশেষ কিছু করতে হয়নি। তাঁর পারফরম্যান্সটাই কথা বলেছে। আমাদের ওইটাই নেই। শুধু উপরের সাজপোশাক দিয়ে লম্ফঝম্প করে নিজেদের চেনাতে হয়, বোঝাতে হয়! কারণ ভেতরটা ফাঁকা। ফলে ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র সঙ্গে যদি সবসময় একটা নকল সংস্কৃতি জুড়ে যায়, তাহলে আর কিছুই বেঁচে থাকবে না। দিনটার উদ্‌যাপনে শুধু মানুষের ভালোবাসা জড়িয়ে থাকতে পারত। তা আর হচ্ছে কই?
গ্রামের মেয়েদের আত্মবিশ্বাস গঠনে এধরনের ভাবনা অনেকটাই ছাপ ফেলছে। এর ফলে আমাদের ভাবতে হবে স্কুলে এবং বাড়িতে ছোট ছোট মেয়েরা কী ধরনের শিক্ষা পাচ্ছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কত নম্বর পাওয়া দেখা নয়, কতটা মূল্যবোধ তৈরি হল তার মধ্যে, সেটা দেখা। আমি ভালোও জানছি, মন্দও জানছি। তার মধ্যে থেকে আমি কোনটা বাছব, সেই বিবেচনাবোধ আমার মধ্যে তৈরি হতে হবে। চারপাশে যা ঘটে চলেছে, আমরা অভিভাবক হিসেবে সব কিছু থেকে তাদের সরিয়ে রাখতে পারব না। কিন্তু তার মধ্যে সেই বিচারবোধটা তৈরি করতে হবে। শুধু জ্ঞান দিলে তারা শুনতে চাইবে না। আমাদের জীবনযাত্রার মধ্যে দিয়ে সেটা তাদের দেখাতে হবে। আমি কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি, সেটা দেখেই তো আমার বাচ্চা শিখবে। আমি বলছি তাকে বই পড়ো, আমি ক’টা বই পড়ি? কোথাও বেড়াতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে কী করছি, তার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিচ্ছি। নিজেকে জাহির করা শেখার শুরু হয়ে যাচ্ছে তখন থেকেই।  সময়ের দাবি মেনে অনেক কিছু হয়। তাই বলছি না যে এগুলো করবই না। আবার তেমনই কোথাও একটা দাঁড়ি টানতেও জানতে হবে। অর্থাৎ পরিমিতিবোধ। 
আমি মুর্শিদাবাদের এক আলোচনাসভায় একটি মেয়ের কাছে একটা কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তাকে বলেছিলাম, তুমি যদি এই কাজটা করো, তাহলে শিক্ষার দিক থেকে আরও এগিয়ে যাবে। সে তখন বলেছিল, ‘মুর্শিদাবাদে রাজমিস্ত্রি ছাড়া আর কিছু কেউ হয়েছে আপনি দেখেছেন দিদি?’ 
এই একই সভায় মেয়েদের কাছ থেকে জেনেছিলাম আর একটি বিষয়। যে শিক্ষককে ওরা ভরসা করত, ভালোবাসত, সম্মান করত সেই শিক্ষকই ক্লাস টুয়েলভ-এর এক ছাত্রী অর্থাৎ ওদের বন্ধুর সঙ্গে প্রেম করেন। বন্ধু তাঁকে বিয়ে করবে বলে পালিয়ে গিয়েছে। এই গোটা ঘটনায় ওদের মনে যে গভীর হতাশা তৈরি হয়েছিল তা বলার নয়। আর সঙ্গে একটা ভীতিও যে স্যার ওদের কী চোখে দেখছেন। তাই শিশুরা যে আমাদের দেখে শিখছে, এটা কখনও ভুললে চলবে না। 
তবে আশার কথা, বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং সরকারি বেশ কিছু প্রকল্পের সমর্থনে অনেক সংগঠন তৃণমূল স্তরে গিয়ে কাজ করতে পারছে। মেয়েদের নিয়ে তো বটেই, ছেলেদেরও শামিল করা হচ্ছে এই কাজে। এতে অনেক ছেলেমেয়ে তৈরি হচ্ছে, যাদের আমরা ‘চেঞ্জমেকার’ বা ‘লিডার’ বলতে পারি। নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এরা নিজেদের সমাজের মধ্যে থেকেই এমন এমন কাজ করছে যা থেকে তার আশপাশে থাকা ছোট শিশুরা অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে। বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েরা অনেক ভালো কাজ করছে। আমার সৌভাগ্য যে আমি যে স্তরে কাজটা করি, তাতে এই ইতিবাচক ছবিটাও আমার চোখে ধরা পড়ে। না হলে আমার নিজেরই হতাশা হতো। বহু শিক্ষক, সমাজকর্মী, অঙ্গনওয়ারি কর্মী আছেন যাঁদের কথা কেউ জানে না। এঁদের অবদান ভোলার নয়।  
আরও একটা কথা। এই যে পরিবর্তনটা হচ্ছে, তার পুরোভাগে কিন্তু মেয়েরাই। তারা অনেক বেশি আগুয়ান। নেতৃস্থানীয় স্তরে মেয়েদের মুখ বেশি দেখতে পাই। পাশাপাশি ছেলেদেরও আমরা বোঝাই, তাদের আরও বেশি করে উদ্যোগী হওয়া দরকার। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের অভ্যেস একদিনে তো ভোলার নয়। ছেলে ছোটবেলায় বাড়ি থেকে শিখে আসছে, ‘তোকে এটা করতে হবে না...’— এগুলো থেকে তাদের বের করে আনতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সাররা এসব নিয়ে কথা বলুন। তারা সবসময় কেন গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাবেন? তাঁরা যখন এত মানুষকে উদ্ধুব্ধ করতে পারছেন, তাঁরা এই দিকগুলো নিয়ে প্রচার করুন।   যাতে দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো কিছুটা সহজ হয়।
17Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা