বিশেষ নিবন্ধ

মোদিজির রাজধর্ম শুধু বাংলার জন্য!
হিমাংশু সিংহ

মণিপুর জ্বলছে মাসের পর মাস। কয়েক দফায় ভারত ভ্রমণে বেরলেও প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার সময় পাননি। বিশেষ বাক্যও খরচ করেননি উত্তর-পূর্বের এই অগ্নিগর্ভ রাজ্যের জন্য। সেখাকার নারীর সম্ভ্রম লুট নিয়ে, প্রকাশ্যে খুনখারাপি নিয়ে একটা বাক্য খরচ করার সময় হয়নি। এটাই তাঁর রাজধর্ম। কাশ্মীর ভেঙে দু’টুকরো করা হয়েছে, সন্ত্রাস কমেনি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে। আজও সেখানে বিধানসভা ভোট হয়নি, শান্তিও ফেরেনি। এটাও তাঁর রাজধর্ম। সন্দেশখালি নিয়ে গত দু’দিন আরামবাগে, কৃষ্ণনগরে তিনি সোচ্চার। কিন্তু বিলকিস বানো, হাতরাসের নির্যাতিতাকে নিয়ে বিস্ময়কর মৌনতা! ঢাকঢোল বাজিয়ে নোট বাতিল করেও কেন কালো টাকার দৌরাত্ম্য ঠেকানো গেল না, তা নিয়ে তাঁর আশ্চর্যজনক নীরবতা। গুজরাত দাঙ্গার সময় থেকেই মোদিজির রাজধর্মের অভিমুখ সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মতোই মাটির চরিত্র অনুযায়ী বদলে যায়। যা দেখে সাধারণের ভ্রম হয়। চোদ্দো সালের প্রতিশ্রুতি ছিল দাউদকে ফেরানোর। বছরে দু’কোটি চাকরির। মাফিয়া ডনকে ফেরানো যায়নি। চাকরিও হয়নি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দূরঅস্ত ১৫ টাকাও ঢোকেনি। সেই রাজধর্মে ডাহা ফেল করলেও বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করে, দল ভেঙে গ্যারান্টির মালা পরিয়ে দিব্যি চলছে ভারত শাসন। সংখ্যালঘু হয়েও পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলে তিনি তাঁর রাজধর্মকে নিমেষে ঘুম পাড়িয়ে দেন। সেই ঘুম আর সহজে ভাঙে না!
পরীক্ষায় টোকাটুকি কাদের রাজধর্ম? সারাবছর যারা পড়াশুনো করে না, প্রস্তুতি শোচনীয়, ফেলের প্রভূত আশঙ্কা। কোনওরকমে একই বেঞ্চের সহপাঠীর খাতা থেকে কপি করে পাশ করাই যাদের লক্ষ্য। কিন্তু শুধু পাশ নয়, টুকে লেটার মার্কস, থুড়ি ফার্স্ট হওয়ার স্বপ্ন যাদের? পূর্ণ নম্বর ৫৪৩, আর আপনি বলছেন ৩৭০ পাবই। কত শতাংশ? আপনার যত কারিকুরি তো সব উত্তরের হিন্দি বলয়ে, দক্ষিণের পুরো সিলেবাসটাই ব্রাত্য। ওই বইয়ের ১৩০টা চ্যাপ্টার (দক্ষিণ ভারতের আসন সংখ্যা) হাল্কা ছুঁয়ে গিয়েছেন, ভালো করে পড়াই হয়নি। কী করবেন? সহজ ফর্মুলা: পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যার খাতায় যে প্রশ্নটার উত্তর সবচেয়ে ভালো লেখা হয়েছে, সেই পাতাগুলোই ছিঁড়ে এনে পরপর সেঁটে দিন। বিহারে, মহারাষ্ট্রে, হিমাচলে, উত্তরপ্রদেশে, কর্ণাটকে। তাহলেই আপনার আদর্শ উত্তরপত্র তৈরি।  কিস্তিমাত! বুক ফুলিয়ে ক্লাসের প্রথম হিসেবে আত্মপ্রকাশ! নেহরুকে মুছে নয়া ইতিহাস, নতুন রেকর্ডের হাতছানি, মৃদু সুগন্ধ ছড়ানো পেল্লায় মালা হাতে ভক্তদের লুটোপুটি। রাজনীতিতে এমন ‘নৈতিক’ জয়ের হুঙ্কার দেখেছেন সচরাচর? ভোট যত এগিয়ে আসবে এমন খেলাই জমে যাবে। বিরোধীদের ‘যার ঘরে যে ধন আছে’ তা ভেঙে নিয়ে ৩৭০ আসন জয়ের প্রাসাদোপম গেরুয়া অট্টালিকা বানানোর নেশায় মশগুল বিজেপি, থুড়ি মহামান্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। থার্মোডায়নামিক্স বলে শুধু শুরু আর শেষ অবস্থানটাই বিবেচ্য (ইনিশিয়াল অ্যান্ড ফাইনাল স্টেট)। জয় কোন পথে এসেছে, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কতবড় দুর্নীতি হয়েছে, তার কোনও মূল্য নেই! মোদিজি এই আপ্তবাক্যটা বিলক্ষণ জানেন। এটাই তাঁর রাজধর্মের ভিত্তি।
রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসকে সোচ্চারে ভাঙা হচ্ছে। ভেঙেছে শারদ পাওয়ারের এনসিপি, উদ্ধব থ্যাকারের শিবসেনা। লালু, অখিলেশের দলও ভাঙনের মুখে। এই সঙ্কটের সময় যুবরাজ রাহুল কখন ভারত ন্যায় যাত্রায় আর কখন লন্ডনে বোঝাই যাচ্ছে না। যেটুকু আসন বোঝাপড়া হচ্ছে তাতে বরং বড় ভূমিকা নিচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যাঁরা টোপ না গিলে এখনও জোট করছেন তাঁদের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে সমনের কাগজ। একবার নয় দু’বার, বারবার। সঙ্গে মাটি ফুঁড়ে বের করে আনা দুর্নীতির অভিযোগ। এই ঝড়ের সামনে এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন আর তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সরকার। ছলে বলে বাংলার উপরই বেশি আক্রমণ নেমে আসছে। অভিযোগ যদি হয় আট আনা তাকে ষোলোআনা করে দেখাও। ইডিকে ছোটাও। আগের নির্বাচনে স্লোগান উঠেছিল ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’। বদলে গিয়েছে সময়, পরিস্থিতি। শুক্রবার বাংলায় প্রচার শুরু করে সেই স্লোগানই আরও উচ্চগ্রামে বাঁধা হল। ‘লুটনে ওয়ালে কো লটানা পরেগা’। এটাই মোদিজির একমুখী বিচিত্র রাজধর্ম। শুধু তৃণমূলই ফেরাবে? বিজেপির যাঁদের হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের জন্য একথা প্রযোজ্য নয়? প্রযোজ্য নয় ব্রিজভূষণের জন্যও। এমন ‘সিলেক্টিভ’ রাজধর্ম কতদিন চলবে। এত কথা বলেও কবে একশো দিনের টাকা পাওয়া যাবে তার কোনও ইঙ্গিত কিন্তু তিনি দেননি। অথচ মমতা সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও ৫৯ লক্ষ মানুষের একশো দিনের বকেয়া মিটিয়েছেন গত কয়েকদিনে। নিজের দলের অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দেখিয়েছেন। শাহজাহান, শিবু, উত্তম। প্রশ্ন করি, গুজরাত দাঙ্গার সময় তৎকালীন বিজেপি-শাসিত রাজ্য সরকারের ভূমিকা কী ছিল? যে রাজধর্মের নমুনা দেখে শিউরে উঠেছিলেন স্বয়ং দলের প্রতিষ্ঠাতা অটলবিহারী বাজপেয়ি! এত সহজে মোদিজি ২২ বছর আগের ঘটনা ভুলে গেলেন, ভুলে গেলেন মাত্র দু’বছর আগে স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের রহস্যজনকভাবে মুক্তি দেওয়ার ঘটনা! ভুলে গেলেন নোট বাতিল করেও এক শতাংশ কালো টাকা উদ্ধার না-হওয়ার রুদ্ধশ্বাস কুনাট্য।
তবু বলতেই হয়, মোদিজির সাফল্যের ভাঁড়ারও খুব ছোট নয়। অযোধ্যায় চোখ ধাঁধানো মন্দির হল, বিতর্কিত জ্ঞানবাপীর অন্দরে হিন্দুদের পূজার্চনার ব্যবস্থা হল, সেই প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়েই মথুরাতেও কাজ অনেকটাই সারা। এটা তাঁর সাম্প্রদায়িক রাজধর্ম। পাশাপাশি গণতন্ত্র পদে পদে ভূলুণ্ঠিত হলেও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে নয়া ইতিহাস রচনা, তিন তালাক রদ, সফল জি-২০ সম্মেলন, মায় ‘বিশ্বগুরু’র মর্যাদা প্রাপ্তি। নোট বাতিল, জিএসটি চালুর কৃতিত্ব এল। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, এত কাঠখড় পুড়িয়েও কাশ্মীরে সন্ত্রাস খতম না-হওয়ার ব্যর্থতা, কালো টাকার রমরমাসহ হরেক কিসিমের সঙ্কট সমস্যা থেকে চোখ ঘুরিয়ে কেন্দ্রের সরকারের সাফল্যের ভাঁড়ার পূর্ণ বলেই দাবি করলেন অমিত শাহরা। ডিজিটাল সংসারে আজ সর্বত্র শুধু তাঁর ঢালাও গ্যারান্টির জয়গান, বাকি সব গৌণ। তা দেখে ভক্তরাও উদ্বাহু। রাজধর্মের এও এক বিচিত্র রূপ। 
এখন ভোট পরীক্ষা সামনে আসতেই সোজা পথে নয় আঙুল বেঁকিয়ে অসদুপায় অবলম্বনের আয়োজন চলছে জোরকদমে। মোদিজির আমলে প্যান ইন্ডিয়া ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা হলেও বিজেপি আজও মূলত হিন্দি বলয়ের দল। দক্ষিণ ভারতে তার উপস্থিতি সামান্য। তাই তিনি ঘনঘন তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্র, কর্ণাটক সফরে যাচ্ছেন। সংগঠন বাড়াতে না শরিক খুঁজতে? পাঞ্জাবে অকালিদের প্রায় ম্যানেজ করে ফেলেছিলেন। বাদ সাধল নতুন করে জেগে ওঠা কৃষক আন্দোলন। ইন্ডিয়া জোটকে প্রায়ই ‘ঘামান্ডি’ জোট বলে কটাক্ষ করা হয়, অথচ সেই জোটের অন্যতম কুশীলবদেরই কাউকে দলে টানা হচ্ছে কিংবা তাতেও কাজ না-হলে এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো চলছে। কেজরিওয়ালকে মাদক মামলায় অষ্টমবার তলবি নোটিস দেওয়া হল, খনি দুর্নীতিতে অখিলেশকে সমন করা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেপ্তার, এসবই চলছে একচ্ছত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করার সুবাদে। আবার যাঁদের সমনের ভয় দেখানো যাচ্ছে না তাঁদের সরসরি যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে গেরুয়া দলে। এমনকী, রাজ্যসভায় গরিষ্ঠতা পেতে বিরোধী শাসিত রাজ্যে পর্যন্ত ক্রস ভোটিং করে আসন ছিনিয়ে নেওয়া। সবই চলছে রাজধর্মের আড়ালে নৈতিকতাকে ষোলোআনা বিসর্জন দিয়েই।
নরেন্দ্র মোদি ‘ভারতভ্রমণে’ বেরিয়েছেন। খুব ভালো কথা। অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটানোর আগে প্রাচীনকালে সামন্ততান্ত্রিক রাজা রাজড়ারা একাজ করতেন। লাক্ষাদ্বীপ যাচ্ছেন, কৃষ্ণ জন্মস্থান দ্বারকায় পুণ্যসঞ্চয়ে ডুব দিচ্ছেন। মন্দিরে মন্দিরে পূজার্চনা চলছে। একসঙ্গে হাফ ডজন এইমস চালু করছেন, হাজার হাজার  কোটির পরিকাঠামো, সড়ক, বন্দর বিমানবন্দর উদ্বোধন করছেন। ৩৭০ বাতিলের পর উপত্যকায় প্রথম জনসভাও করবেন কয়েক দিনের মধ্যে। এককথায় ভোট ঘোষণার আগেই জনগণের নাড়ি টিপে দেখছেন। যেখানেই গন্ধটা সুবিধার মনে হচ্ছে না, সেখানেই দল ভাঙাচ্ছেন কিংবা ইডি, সিবিআইকে ‘কালা জাদু’ দেখাতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। ক্রমাগত ৩৭০ আসন জেতার হুঙ্কার ছাড়ছেন। ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩৭০টি জেতা মানে প্রায় ৬৮ শতাংশ দখল করা। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশে সোজা পথে এই জয় মুখের কথা নয়। 
শুধুই দলের জনসমর্থনের জোরে এমনটা সম্ভব নয়। তাই তিনি বহুমুখী অপারেশনে নেমেছেন। যাঁদের কথা শুনে আরও পাঁচজন প্রভাবিত হতে পারেন এমন নেতাদের বিজেপিতে শামিল করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই মিলিন্দ দেওরা, অশোক চবন, বাবা সিদ্দিকি ও বাসবরাজ পাতিলের মতো নেতাদের বিজেপিতে টানা হয়েছে। রাজ্যসভার ভোটে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির অন্তত ন’জন বিধায়ক বিজেপির হয়ে ভোট দিয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে অষ্টম প্রার্থীকে জয়ী করেছেন। খুব গোপনে বিহারেও কংগ্রেস ও লালু তেজস্বীর রাষ্ট্রীয় জনতা দলেও ভাঙন ধরানো হয়েছে। শুধু কংগ্রেস কিংবা সমাজবাদী নয়, ভাঙন ধরানো হচ্ছে তেলেঙ্গানার কেসিআর জোটেও। কংগ্রেস-শাসিত হিমাচলে যেখানে রাজ্যসভা ভোটে জয়লাভ সম্পূর্ণ অসম্ভব সেখানেও অন্তত ছ’জন কংগ্রেস ও তিনজন নির্দল বিধায়ক বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ায় একমাত্র রাজ্যসভার আসনটি রহস্যজনকভাবে বিজেপির দখলে গিয়েছে। ওই যে বললাম, নরেন্দ্র মোদির বিজেপি’র সঙ্গে বাজপেয়ির দলের আকাশ-পাতাল ফারাক। বিরোধীদের দল ভেঙে, জেলে পুরে, ক্রস ভোটিং করিয়ে ক্ষমতা দখলই এখন শেষ কথা। তাতেও না-হলে চণ্ডীগড়ের স্টাইলে প্রিসাইডিং অফিসারদের ম্যানেজ করে কুর্সি রক্ষা। এটাই মোদিজির নৈতিকতা ও আদর্শ রাজধর্ম!
দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার দৌড়ে মোদিজি আজ রাজধর্মের কোনও অজুহাত মানতে নারাজ। বাংলায় সন্দেশখালি প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে ক্রমাগত তোপ দাগলেও নেহরুকে মুছে দেওয়ার এই ভয়ঙ্কর খেলায় আজ তাঁর আপ্তবাক্য একটাই, ‘নাথিং আনফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার।’ রাজধর্ম শুধু বাংলার জন্য। মমতাকে ঘায়েল করতে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে তার পঞ্চত্বপ্রাপ্তি আসন্ন।
4Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা