নয়াদিল্লি: সমুদ্র মন্থনের সময় যখন দেবতারা বুঝতে পারছিলেন না ভিত্তি হিসেবে কী ব্যবহার করা হবে তখন কুর্ম অবতার ধারণ করেন ভগবান বিষ্ণু। তার উপরই মন্দার পর্বতকে দণ্ড হিসেবে ব্যবহার করে সমুদ্র মন্থন করে দেবতা ও দানবরা। অন্যদিকে মৎস অবতার হয়ে গোটা বিশ্ব যখন জলে ডুবে গিয়েছিল তখন সৃষ্টির উদ্ধারে মনুকে দিয়ে বানিয়েছিলেন এক বিশাল জাহাজ। এবার এই দুইয়েরই মিশ্রন ঘটতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যে।
সমুদ্রে এক বিশালাকৃতি কচ্ছপ তৈরি করতে চলেছে সৌদি আরব। এই কচ্ছপও এক স্থান থেকে আরএক স্থানে সমুদ্রপথে যেতে পারবে। তবে এটি কোনও জাহাজ বা ক্রুজ নয়। এটি আস্ত একটি শহর। যাতে একসঙ্গে থাকতে পারবেন ৬০ হাজার মানুষ। একবার তৈরি হয়ে গেলে এটিই হবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভাসমান বস্তু। ইতালির একটি সংস্থা এটি নির্মাণের ভার নিয়েছে। ১৮০০ ফুট লম্বা ও ২০০০ ফুট চওড়া এই শহরটির নাম দেওয়া হয়েছে প্যাঞ্জিওস। কয়েক লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর সকল স্থলভাগ একসঙ্গে ছিল। যার নাম বিজ্ঞানিরা দিয়েছিলেন প্যাঞ্জিয়া। এরপর ধীরে ধীরে সেই ভূখণ্ড আলাদা হয়ে বিভিন্ন মহাদেশে বিভক্ত হয়ে যায়। প্যাঞ্জিয়ার নামানুসারেই এর নাম দেওয়া হয়েছে প্যাঞ্জিওস।
জানা গিয়েছে, কচ্ছপের আকারের এই বিশাল জলযানের চারটি পাখনার প্রত্যেকটিতে থাকবে ১৯ ভিলা ও ৬৪ অ্যাপার্টমেন্ট। এছাড়াও থাকছে প্রশস্ত রুফটপ বাগান, শপিং মল ও বিচ ক্লাব। আগামী ৮ বছরের মধ্যে এটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। বানাতে খরচ হবে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিনা থেমে সারা বিশ্বে ভ্রমণ করবে প্যাঞ্জিওস। যার সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ৯.২ কিমি প্রতি ঘণ্টা। এই জলযান প্রয়োজনীয় সকল বিদ্যুৎ তৈরি করবে অচিরাচরিত উপায়ে। প্যাঞ্জিওসের উপর অসংখ্য সোলার প্যানেল ও সমুদ্রের ঢেউ থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।