দেশ

শুক্রবার দিনভর মুম্বইয়ে বৃষ্টি হলেও তার তেজ ছিল তুলনামূলকর অনেক কম। যদিও দুর্যোগ এখনও কাটেনি। শনিবার পর্যন্ত মুম্বই এবং পাশ্ববর্তী পালঘরে বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। লাল সতর্কতা জারি আছে রত্নাগিরি, রায়গড়ে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিতে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হয়েছে। রায়গড়ের আলিবাগ উপকূলে আরব সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া একটি টাগবোটের ১৪ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। পিটিআই

ভোটের আতঙ্কে মূল্যবৃদ্ধি গোপন মোদি সরকারের

বাপ্পাদিত্য রায়চৌধুরী, কলকাতা: এবারের ভোটের ইস্যু কী? দুর্নীতি? পরিবারতন্ত্র? ২৫ বছর পরের উন্নত ভারত? রাজনীতির ময়দানে এইসব শব্দ বা শব্দবন্ধ নিয়ে আলোচনা হতেই পারে, মানুষের কাছে ভোটের ইস্যু একটাই—মূল্যবৃদ্ধি। প্রতি ছ’মাসে বদলে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের মাসের বাজেট। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় উপার্জন বাড়ছে না। আর এমন একটা জলজ্যান্ত সমস্যাকেই নিখুঁত কৌশলে ধামাচাপা দিয়ে ফেলেছে মোদি সরকার। কারণ, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) বা ক্রেতা মূল্যসূচকই প্রকাশ করেনি তারা। বেনজিরভাবে, ৬৪ বছর পর। এর কারণ কী? ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরার আতঙ্ক? এই সূচকের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ ঘোষিত হয়। যেহেতু ঘোষণা হয়নি, তাই নয়া হারে ডিএ পাবেন না লক্ষ লক্ষ কর্মী। ইতিমধ্যেই এই চাপ কেন্দ্রের মাথায় চেপে বসেছে। তার উপর নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে বাস্তব রূপ সামনে চলে আসে, ভোটবাজারে দর তলানিতে নামবে বিজেপির।
জিনিসপত্রের দাম কতটা বাড়ছে? এর উত্তর খুঁজতে কয়েকটি পণ্যকে বাছাই করে সরকার। সেগুলির দাম একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত ছিল এবং এখন কতটা বেড়েছে—তার হিসেব কষে সূচক প্রকাশ করা হয়। সেই পণ্যের তালিকায় আলু, পটলের পাশাপাশি গাড়ি-বাড়িও থাকতে পারে। খুচরো বাজারদরের এই সূচকই সিপিআই। শিল্পমহলের প্রশ্ন ছিল, যে পণ্যগুলিকে বাছাই করে জিনিসপত্রের দাম ওঠা-নামার হিসেব সরকার কষছে, শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা আদৌ সেসব পণ্য রোজ কেনেন কি? তা যদি না হয়, তাহলে মূল্যবৃদ্ধির ওই সূচকের গুরুত্ব নেই। শিল্পমহলের বক্তব্য মেনে আলাদা সূচক প্রকাশ করে শ্রমমন্ত্রকের আওতায় থাকা লেবার ব্যুরো, যার নাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার সিপিআই। ১৯৬০ সালে সূচক নির্ধারণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, শেষবার তার মাপকাঠি স্থির হয়েছে ২০১৬ সালে। জিনিসপত্রের দামকে ‘১০০’ ধরে সূচকটি তৈরি হয়। জানুয়ারিতে সেই সূচক ছিল ১৩৮.৯। অর্থাৎ, যে জিনিসের দাম ২০১৬’তে ১০০ টাকা ছিল, মূল্যবৃদ্ধির জেরে এখন ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। 
শিল্পমহল বলছে, জানুয়ারি মাসের পর আর সেই সূচক প্রকাশিত হয়নি। নিয়ম হল, প্রতি মাসের সূচক প্রকাশিত হয় তার পরের মাসের শেষ দিন। সেই মতো ফেব্রুয়ারি ও মার্চের সূচক ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হওয়ার কথা। কিন্তু তা বেমালুম চেপে গিয়েছে সরকার। তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসের সূচক ছিল যথাক্রমে ১৩৭.৫, ১৩৮.৪, ১৩৯.১ এবং ১৩৮.৮। জানুয়রিতে ১৩৮.৯। অর্থাৎ মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম দেওয়া যায়নি। বণিকসভা মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায়ের কথায়, ‘সরকারের অবশ্যই সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে প্রকাশ করা উচিত। যেহেতু এই সূচকের সঙ্গে কর্মীদের প্রাপ্য জড়িত, তাই তাঁদের ন্যায্য পাওনায় সরকার ছেদ ফেলতে পারে না।’ ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্ল঩য়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজেন নাগরের কথায়, ‘শুধু যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অফিসার ও কর্মীরা এই সূচকের উপর নির্ভর করে মহার্ঘ ভাতা পান, তা নয়। এলআইসিআই, রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বিমা সংস্থাগুলির পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককেও এই সূচকের উপর নির্ভর করতে হয়। শিল্পক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির সূচক নির্ধারণের ক্ষেত্রে যে যে পণ্য বাছাই করা হয়, তার তালিকা সরকার নিজেই ঠিক করে। তার জন্য আমাদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করা হয় না। কোনও শিল্প সংগঠন বা বণিকসভারও মতামত নেওয়া হয় না। সরকার নিজের খেয়ালখুশি মতো পণ্য বাছাইয়ের ফলে মূল্যবৃদ্ধির প্রকৃত তথ্যও সামনে আসে না। ফলে আর্থিক বঞ্চনার আশঙ্কা সবসময়ই থেকে যায়।’
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা