দেশ

জোটের জ্বালা, পুজোর মধ্যেই গরিষ্ঠতা পেতে ‘অপারেশন লোটাস’ বিজেপির!

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: জোটের বোঝা মাথায় নিয়ে ইমেজের দফারফা। স্বাধীনতার পর যাঁকে সবথেকে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজেপি প্রচার করে এসেছে, একটি ভোটের ফলেই তিনি দুর্বলতম! তাহলে উপায়, এসপার-ওসপার। গরিষ্ঠতা না পেলে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি নেই। তাই ২৪০কে যেভাবে হোক নিয়ে যেতে হবে ২৭২’এ। অর্থাৎ, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। এই ম্যাজিক সংখ্যা কীভাবে সম্ভব? টার্গেট বেঁধে ফেলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। নবরাত্রি, পুজো, দীপাবলি, ইত্যাদি উৎসবের মরশুমের মধ্যেই গরিষ্ঠতা লাভের টার্গেট। তাহলেই একমাত্র বন্ধ হবে বিরোধীদের দাপট, কটাক্ষ এবং অবশ্যই জোট শরিকদের চাপ। এখানে প্রশ্ন হল, কোন মন্ত্রবলে আসবে ৩২টি আসন? মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ওই সংখ্যা হাতানোর মতো নির্বাচন বা উপ নির্বাচন নেই। তাহলে কি সেই অপারেশন লোটাস? তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, কিছু জোট শরিককে দলে মিশিয়ে নেওয়া তো বটেই, বিরোধীদের ঘরেও নাকি হানা দেওয়ার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হচ্ছে। সেই তালিকায় সবথেকে বেশি আলোচিত হচ্ছে কর্ণাটকের নাম। এছাড়া বিহার, মহারাষ্ট্র এবং এমনকী তামিলনাড়ুও রয়েছে পাইপলাইনে। কারণ, জোটের নামে এই জ্বালা সহ্য করতে অভ্যস্ত নয় মোদি বাহিনী। বাজেটে অন্ধ্র-বিহারকে ঢালাও উপঢৌকনের পর আক্রমণের ধার আরও বেড়েছে। মল্লিকার্জুন খাড়্গে, অখিলেশ যাদব, কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কমবেশি সবারই এক কথা—দুই শরিককে এভাবে খুশি করে সরকারের আয়ু কয়েকদিন বাড়ল। কেন্দ্রে এনডিএ’র পতন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারকে খুশি করার এই মরিয়া চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে খাপ খায় না। আর এটা খুব একটা মোদিসুলভও নয়। মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিবাদেই অসন্তোষ শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও এই বাজেটে ক্ষুব্ধ। জনান্তিকে তারাও একমত বিরোধীদের সঙ্গে যে, করোনা পরবর্তী সময়ে যেখানে দেশের সব রাজ্যই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে, সেখানে বেছে বেছে দুই রাজ্যকে বাড়তি কেন? 
তবে বিজেপির কর্ণাটক অপারেশন নতুন নয়। কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া বনাম উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের মধ্যে গদির লড়াই অজানা নয়। বরং তা নাকি আরও বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠছে বিজেপি। নেপথ্য লক্ষ্য, কংগ্রেসের ঘরে হানা দেওয়া। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ফাটল ধরানোর একটি চেষ্টা বেশ কিছু জেলায় শুরু হয়েছে। তবে সমাজবাদী পার্টিকে শক্তিশালীই রাখার প্ল্যান। কারণ, যোগী হটাও কর্মসূচি। মহারাষ্ট্রে একনাথ সিন্ধের দলের কয়েকজন এমপি নাকি নিজেরাই বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছে। যে রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস ২০১৯ সালে শূন্য ছিল, এবার বেছে বেছে সেই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসকে আবার শূন্য করাই লক্ষ্য। বিজেপির শীর্ষ স্তরের প্ল্যান হল, কংগ্রেসে ভাঙনের বার্তা রাজনীতির দরবারে ছড়িয়ে দেওয়া। তাহলেই ‘ইন্ডিয়া’র শক্তিক্ষয় হবে। প্রশ্ন হল, তারপরও কি ৩২ আসন আসবে? বিজেপির অন্দরেও সংশয় তুঙ্গে। লুকোনো তাস অবশ্য একটা রয়েছে—আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের ফলাফল দেখার পর স্বয়ং নীতীশ কুমারের দলেই ‘অপারেশন লোটাস’! 
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৩২ টাকা১১১.৮৭ টাকা
ইউরো৯১.২৫ টাকা৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা