দেশ

ওয়ান স্টেট ওয়ান রিজিওনাল ব্যাঙ্ক: এবার গ্রামীণ আঞ্চলিক ব্যাঙ্কের সংখ্যা আরও কমাতে তৎপর কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গ্রামীণ অর্থনীতি এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। গ্রামীণ অঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সর্বদা লাভজনক না হওয়ায় সাধারণ  বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের শাখা সেখানে হয় না। তার জেরে গ্রামীণ এলাকার মানুষ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এই সমস্যা কাটাতেই দেশজুড়ে চালু হয়েছিল আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক সহায়তায় এই আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীনেই পরিচালিত হয়ে থাকে। ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ক্রমেই আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পরিষেবা এবং সংখ্যা কমিয়ে এনেছে মোদি সরকার। ২০২০ সালে শেষবার এরকম সংখ্যা হ্রাস হয়েছিল। এবার পুনরায় এক ধাক্কায় আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের পরিষেবা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 
সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৪৩টি রিজিওনাল রুরাল ব্যাঙ্কের (আরআরবি) সংখ্যা কমিয়ে করা হবে ৩০। নতুন পরিকল্গনায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক চাইছে, একটি রাজ্যে মাত্র একটি করেই আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থাকবে। এখন কোনও রাজ্যে তিনটি, কোথাও দুটি। একটি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের আওতায় থাকে বহু গ্রামীণ ব্যাঙ্ক শাখা। বাংলায় রয়েছে তিনটি আঞ্চলিক ব্যাঙ্ক। পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক এবং উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্কগুলির পৃথক পৃথক স্পনসর ব্যাঙ্ক হল, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক। প্রতিটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের অধীনে থাকে কয়েকশ পরিষেবা কেন্দ্র। যেমন শুধু বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের আওতায় পাঁচশোর বেশি শাখা রয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক চাইছে এভাবে একাধিক আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক না রেখে কমিয়ে দেওয়া হবে সংখ্যা। প্রতিটি রাজ্যে থাকবে একটিই আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। 
প্রধানত গ্রামীণ শিল্প স্থাপন অথবা কৃষিক্ষেত্রের ঋণ বাবদ পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রেই আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বিশেষ ভূমিকা থাকে। এই ব্যাঙ্কগুলি থেকে সবথেকে বেশি যে সুবিধা গ্রামীণ মানুষ পেয়ে থাকে সেটা হল, ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি প্রকল্পের মজুরি ট্রান্সফার। পাশাপাশি স্বনিযুক্তির ক্ষেত্রেও এই ব্যাঙ্ক পরিষেবা দেয়। অথচ আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতি এবং গ্রামীণ ক্রয় ক্ষমতা না বাড়লে দেশের অর্থনীতির আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়বে না। ধাক্কা খাবে গ্রামের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।
8d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মস্থলে জটিলকর্মে অনায়াস সাফল্য ও প্রশংসালাভ। আর্থিক দিকটি শুভ। ক্রীড়াস্থলে বিশেষ সাফল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১০ টাকা৮৪.৮৪ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৪ টাকা১১২.১৯ টাকা
ইউরো৯১.৫৩ টাকা৯৪.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
14th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা