দেশ

শুক্রবার দিনভর মুম্বইয়ে বৃষ্টি হলেও তার তেজ ছিল তুলনামূলকর অনেক কম। যদিও দুর্যোগ এখনও কাটেনি। শনিবার পর্যন্ত মুম্বই এবং পাশ্ববর্তী পালঘরে বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। লাল সতর্কতা জারি আছে রত্নাগিরি, রায়গড়ে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিতে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হয়েছে। রায়গড়ের আলিবাগ উপকূলে আরব সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া একটি টাগবোটের ১৪ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। পিটিআই

কেন্দ্র সারণ: রুডিকে হারাতে ছুটছেন রোহিণী, আসল লড়াই ‘মেঘনাদ’ লালুরই

সারণ (বিহার): ‘আমার নাম রেকর্ড বুকে ওঠা উচিত। একই পরিবারের সবচেয়ে বেশি সদস্যকে হারানোর জন্য’। কিছুটা রসিকতার ছলেই বলে চললেন রাজীব প্রতাপ রুডি। সারণের সাংসদ। এবারও বিজেপির প্রার্থী তিনিই। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে রুডি হারিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে। ২০১৯ সালে হারিয়েছিলেন লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবের শ্বশুর চন্দ্রিকা রায়কে। এবার তাঁর প্রতিপক্ষ লালুপ্রসাদের মেয়ে রোহিণী আচার্য। এই সারণ আসন থেকেই একসময় জিততেন স্বয়ং লালু। তবে ২০০৮ সালের সীমানা পুনর্বিন্যাসের আগে নাম ছিল ছাপরা। ২০১৩ সালে আরজেডি সুপ্রিমো পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সাংসদ পদ হারিয়েছিলেন। কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের ভার লালু এবার দিয়েছেন মেয়ে রোহিণীর হাতে। লালু পরিবারের সদস্যদের হারানো নিয়ে রসিকতা করলেও রুডি ভালোই টের পাচ্ছেন, এবার লড়াই সহজ নয়। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাখঢাক না করেই বলছেন, নবাগত রোহিণী নন, আসল লড়াইটা লালুপ্রসাদের সঙ্গে। কারণ মেয়েকে সামনে রেখে ‘মেঘের আড়াল’ থেকে লড়ছেন ‘মেঘনাদ’ লালু নিজেই।
রোহিণী আচার্য চিকিৎসক। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বিদেশে থিতু। কেরিয়ার ছেড়ে মূলত ঘরকন্যা সামলেছেন। লালুপ্রসাদকে কিডনি দান করে রোহিণীর শিরোনামে উঠে আসা। অনেকেই বলছেন, মেয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা থেকেই নিজের পুরনো আসনে তাঁকে লড়তে পাঠালেন লালু। পরিবার রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়লেই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লালু-কন্যার সরব উপস্থিতি নজর কাড়ছিল। ফলে তাঁর প্রার্থী হওয়াটা নিছক কাকতালীয় নয়। লালু পরিবারের ষষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচনী রাজনীতিতে পা রাখলেন রোহিণী।
সেই ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির হয়ে এখান থেকেই রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তরুণ লালুপ্রসাদ। এবার রোহিণীর কাঁধেই বাবার সেই আসন পুনরুদ্ধারের দায়িত্ব। জনসভার মঞ্চ থেকে ভোজপুরীতে বলছেন, ‘রউয়া সবকে গোর লাগতানি’ (সবার চরণে আমার প্রমাণ)। গর্জে উঠছে জনতা। মঞ্চে আরজেডির দুই সবচেয়ে বড় নেতা লালুপ্রসাদ ও তেজস্বীর উপস্থিতি সত্ত্বেও রোহিণীর ভাষণে ভিড় সম্মোহিত হচ্ছে। উল্টোদিকে রুডির মতো হেভিওয়েট থাকা সত্ত্বেও তোয়াক্কা নেই লালু-কন্যার। জনসভার মঞ্চ থেকে বলছেন, ‘হমার বাবুজি রেলমন্ত্রী রহতে সারণ মে রেল পহিয়া প্লান্ট লগওয়া দেলে রহলে। বর্তমান সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রহলে। উনকা বতায়ে কে চাহি কি ও আপনা কার্যকাল মে ইয়াঁ কে যুবা খাতির কা কইলে। (আমার বাবা রেলের চাকা তৈরির কারখানা গড়েছিলেন। বর্তমান সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন যুবকদের জন্য কী করেছেন?)’ শুনে ফের গর্জন উঠছে জনতার। আর স্থানীয় বিজেপি নেতারা আবডালে মানছেন, নতুন হলেও রোহিণীকে কোনওভাবেই নবীন বলা যাবে না। স্ফূলিঙ্গ আছে। বাপ কি বেটি। লড়াই কঠিন বুঝেই বিজেপি হাই প্রোফাইল নেতাদের এনে প্রচার শুরু করেছে। রুডি মনোনয়ন পেশ করার পরই সারনে এসে সভা করেছেন রাজনাথ সিং। রাজপুত ভোট কাছে টানার লক্ষ্যে। রাজনাথ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘রুডি প্রশিক্ষিত পাইলট। বিরোধীদের উড়িয়ে দেবেন।’ কিন্তু বাস্তব অবস্থা যে সহজ নয়, গেরুয়া বাহিনী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। ২০১৯ সালে রুডির জয়ের ব্যবধান ছিল ৯৫ হাজার। কিন্তু পরের বছর বিধানসভা ভোটে সারনের ছ’টির মধ্যে চারটি বিধানসভা আসনই আরজেডি দখল করে। ফলে লালুর এই পুরনো আসনে লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি। 
ভোটপ্রচারে রোহিণী ও তেজস্বী যাদব। 
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা