দেশ

শুক্রবার দিনভর মুম্বইয়ে বৃষ্টি হলেও তার তেজ ছিল তুলনামূলকর অনেক কম। যদিও দুর্যোগ এখনও কাটেনি। শনিবার পর্যন্ত মুম্বই এবং পাশ্ববর্তী পালঘরে বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। লাল সতর্কতা জারি আছে রত্নাগিরি, রায়গড়ে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিতে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হয়েছে। রায়গড়ের আলিবাগ উপকূলে আরব সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া একটি টাগবোটের ১৪ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। পিটিআই

ফিকে মোদি ম্যাজিক, নাগপুরের গেরুয়া গ্যারান্টি গাদকারিই

সমৃদ্ধ দত্ত, নাগপুর: এই তাহলে ভারতের সমাজ রাজনীতিতে হিন্দুত্ব-তত্ত্বের জন্মস্থান? অশোক চক থেকে ব্রিজ পেরিয়ে যে জনপদ, তার নাম মাহাল। উড়ালপুল তৈরি হচ্ছে। অতএব সরু রাস্তা আরও সংকীর্ণ। কিছুটা এগলে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা সরু গলি হঠাৎ একটা পাড়ায় প্রবেশ করছে। কয়েকটা বাড়ির পর ডানদিকে অনেকটা নির্জনতা, একজন কেয়ারটেকার এবং একফালি সবুজ একাকী লন নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাড়িটা। এই হল ডক্টর কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের জন্মস্থান। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা। এই বাড়িতেই ১৮৮৯ সালে তাঁর জন্ম। প্রথমে বারান্দা। সারাদিন একা একা ডিউটি দিচ্ছেন অরবিন্দ সালভে। কেয়ারটেকার, সিকিউরিটি গার্ড এবং গাইড। দোতলায় ব্যালকনিতে যাওয়ার মাঝখানের অংশ দেখলে মনে হবে, কাঠের আলমারি। অরবিন্দ সালভে ম্যাজিশিয়ানের মতো সেই কাঠের একটি শিকল খুলে হাসলেন। দেখালেন গোপন সিঁড়ি। তিনতলায় একটি গুপ্ত কক্ষ আছে। সেখানে গোপন মিটিং হতো আরএসএসের। ঠিক দু’কিমির মধ্যে হেডগেওয়ারের স্বপ্নের হিন্দুত্ববাদের গবেষণাগার দাঁড়িয়ে। যাকে নাগপুরবাসী বলেন, সঙ্ঘ বিল্ডিং। আরএসএসের হেডকোয়ার্টার। 
অথচ, হিন্দুত্ববাদের জন্মস্থানের শহরে উলটপুরাণ। হিন্দুত্ব কোনও ইস্যু‌ই নয়! রামমন্দির নিয়ে জাঁকজমক নেই। পোস্টার এবং ব্যানারে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির মুখ এবং গ্যারান্টি। রাজেশ গ্রামযোশি বললেন, ‘দিতে হয় দিয়েছে। আমাদের এখানে তো মোদিজির দরকারই নেই। গাদকারিজি নিজের কব্জির জোরে প্রচার করেন। আর হ্যাঁ, গাদকারি না। নাগপুরে তাঁকে কী নামে আমরা ডাকি জানেন তো? রোডকারি!’ কেন? ‘দেখছেন না রাস্তাঘাট! রাস্তা, উড়ালপুল, এক্সপ্রেসওয়ের জাদুকর কে?’ নাগপুর কোতোয়ালি পুলিস স্টেশনে ক্যুরিয়ার ডেলিভারি করে বেরনো প্রশান্ত হাওলকর বললেন, ‘বিজেপি সরকারে একমাত্র গাদকারিই এমন, যাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। কেন জানেন? কারণ, উনি কারও সঙ্গে অযথা ঝগড়া করেন না। একমাত্র নেতা, যাঁর সব দলের নেতানেত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক। আরে কাজ করে হাঁকডাক করুন। দেশবাসী আর বিরোধীদের ভয় দেখানো হাঁকডাকে দীর্ঘমেয়াদে লাভ হয় না! কেউ ওসব মনে রাখে না!’ আপনার ইঙ্গিত কাদের দিকে? প্রশান্ত হাসলেন। বললেন, ‘আপনি নাগপুর ঘুরে দেখুন, এখানে কোনও ইডি, সিবিআই, হিন্দুত্ব প্রচার করার দরকার হচ্ছে কি না? গাদকারি কাজ করেন। ভোট চান।’ তাহলে তো গাদকারিজির কোনও চিন্তাই নেই? বিজেপির নাগপুর শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ গাওয়াই ইতস্তত করলেন। বললেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই। তবে তাই বলে চুপ করে বসে থাকলে হবে নাকি? সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে হবে।’ 
সন্দীপ গাওয়াইয়ের এই সংশয় কেন? কারণ শহরের নাম নাগপুর। আজ পর্যন্ত এক খাতে বয়ে যায়নি। হিন্দুত্ববাদের ল্যাবরেটরি। সুতরাং বিজেপির দুর্গ? ভুল। বরং উল্টো। ১৯৫২ সাল থেকে এই সেদিন পর্যন্ত নাগপুর আসন কংগ্রেসের কাছেই ঘুরেফিরে এসেছে। কে বলল, গেরুয়ায় নিবেদিত নাগপুর? ওই যে শহরের কেন্দ্রস্থলে গর্বিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে দীক্ষাভূমি। আশ্চর্য নয়? যেখানে হিন্দুত্বের এপিসেন্টার, সেই শহরকেই আম্বেদকর বেছে নিলেন বর্ণহিন্দুত্বকে শিক্ষা দিতে! বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হওয়ার জন্য! তাই ওই বিখ্যাত দীক্ষাভূমি। কংগ্রেস বাদ থাকে কেন? ১৯২০ সালে নাগপুর অধিবেশনেই তো গান্ধীজির একটি কর্মসূচি পাশ হয়েছিল—অসহযোগ আন্দোলন। 
অতএব নাগপুরের মধ্যে সর্বধর্ম, সর্বদল এবং সর্ব-আদর্শ মিশে রয়েছে। গাদকারি কি চিন্তামুক্ত? মোটেই নয়। বঞ্চিত বহুজন জোট এবং এইআইএমআইএম প্রার্থী দেয়নি। দলিত এবং মুসলিম ভোট এবার কংগ্রেসে যাবে। অতএব ক্ষীণ হলেও আশাবাদী কংগ্রেস প্রার্থী বিকাশ ঠাকরে। গাদকারি বনাম বিকাশ। দু’জনই ঘরের ছেলে। 
মঙ্গলবার ছিল সম্রাট অশোকের জয়ন্তী। অশোক চকে সন্ধ্যায় সেই অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে অটোচালক বৃদ্ধ নাসির বললেন, ‘প্রার্থীরা নাগপুরের ঘরের ছেলে, তো আমাদের কী? আমাদের ঘরের কথা কেউ ভাবে না! দো ওয়াক্তের রুটি-ডাল জোগাড় করতেই ৬০ বছর কেটে গেল!’ নাসির কে? নরেন্দ্র মোদি যাঁদের বলেন, ‘মেরে পরিবারওয়ালো!’ অর্থাৎ, আম ভারতবাসী।
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা