দেশ

শুক্রবার দিনভর মুম্বইয়ে বৃষ্টি হলেও তার তেজ ছিল তুলনামূলকর অনেক কম। যদিও দুর্যোগ এখনও কাটেনি। শনিবার পর্যন্ত মুম্বই এবং পাশ্ববর্তী পালঘরে বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। লাল সতর্কতা জারি আছে রত্নাগিরি, রায়গড়ে। ইতিমধ্যে বৃষ্টিতে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হয়েছে। রায়গড়ের আলিবাগ উপকূলে আরব সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া একটি টাগবোটের ১৪ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। পিটিআই

‘আমি সবার বড়... শেষে বেরব’, সুড়ঙ্গে দৃষ্টান্ত গব্বর

নয়াদিল্লি ও দেরাদুন: গব্বর আজ সত্যিই খুশি। তবে তিনি রিল লাইফের কোনও ভিলেন চরিত্র নন। বরং বাস্তবের হিরো। ক্যাপ্টেনও। মাথাটাও যেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনির মতোই বরফ-ঠান্ডা। তিনি গব্বর সিং নেগি। ১৭ দিনের সুড়ঙ্গ-যুদ্ধে অধিনায়কের মতোই আগলে রেখেছিলেন টিমের ৪০ সদস্যকে। প্রতি মুহূর্তে লড়াইটা ছিল সাক্ষাৎ মৃত্যুর সঙ্গে। খিদে, তেষ্টা, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, আর ছিল ঘোর অনিশ্চয়তায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার ভয়। কিন্তু বিপদের মুহূর্তে সর্বক্ষণ সহকর্মীদের সাহস জুগিয়েছেন একজনই—গব্বর। বুঝিয়েছেন, আসল পরীক্ষাটা মানসিক শক্তির। জো ডর গয়া, ও মর গয়া। তাই জিততে হবে। বাঁচতে হবে। আর মঙ্গলবার রাতে উদ্ধারের মুহূর্তেও অধিনায়কের কর্তব্যে অবিচল তিনি। সুড়ঙ্গের ভিতরেই সহকর্মীদের বলে রেখেছিলেন, ‘আমি সবার বড়। তাই বেরব সকলের শেষে।’ করলেনও তাই। ৪০ শ্রমিক একে একে বেরিয়ে আসার পর বেরলেন তিনি। গতকাল রাতে শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তাই ‘ক্যাপ্টেন গব্বর’-এর এই সাহসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও।
দুঃস্বপ্নের সুড়ঙ্গ-যুদ্ধ এখন অতীত। গব্বর সিং নেগির প্রশংসা তাঁর সহকর্মী থেকে উদ্ধারকারী—সকলের মুখে ঘুরছে। বাকি শ্রমিকদের মতো গব্বরও এখন হাসপাতালে। তাঁর বাড়ি সিল্কিয়ারার অভিশপ্ত সুড়ঙ্গ থেকে প্রায় ২৬০ কিলোমিটার দূরে, উত্তরাখণ্ডেরই পৌরী গাড়ওয়াল জেলায়। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের আবহাওয়া সহ সব ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি তাঁর চেনা। কিন্তু আটকে পড়া শ্রমিকদের সিংহভাগই ভিন রাজ্যের। তাই সুড়ঙ্গের নিকষ অন্ধকারে কীভাবে প্রাণরক্ষা হবে, প্রতি মুহূর্তে অভিভাবকের মতোই তাঁদের দিশা দেখিয়েছেন গব্বর। সহকর্মীদের যোগাসন শিখিয়েছেন। ধ্যান করতে বলেছেন। টিমের সব সদস্যের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। কারণ গব্বর জানতেন, সঙ্কটের এই মুহূর্ত থেকে বেঁচে ফিরতে গেলে সর্বাগ্রে দরকার সকলের শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকা।
সব শ্রমিক নিরাপদে ফিরে আসায় খুশির হাওয়া গব্বর সিংয়ের পরিবারেও। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন গব্বরের ভাই জয়মল সিং নেগিও। তবে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা গব্বরের প্রথম নয়। এর আগেও দু’বার সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন তিনি। বেরিয়েও এসেছেন। তাই এবার এতটুকু ঘাবড়ে যাননি গব্বর। শুধু ভেবেছিলেন, বাকিদের ভেঙে পড়তে দেওয়া যাবে না। দাদার এই ইস্পাত কঠিন মানসিকতার ব্যাপারে জানতেন জয়মলও। গত দু’সপ্তাহ ধরে তিনি সুড়ঙ্গের বাইরে অধীর অপেক্ষায় কাটিয়েছেন। বুধবার সকালে চওড়া হাসি জয়মলের মুখে। ফোনে যোগাযোগ শুরুর পর থেকে নিয়ম করে তাঁর কথা হতো দাদার সঙ্গে। সুড়ঙ্গে বন্দি গব্বর ভাইকে কী বলতেন? জয়মল বললেন, ‘জানেন তো, দাদার প্রচণ্ড সাহস। ওর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, উদ্ধারের সময় ভিতরে তো হুড়োহুড়ি শুরু হবে! কী করবি? তখনই দাদা বলেছিল, আমি সবার বড়। তাই সবচেয়ে শেষে বেরব। আজ শুধু আমরা নয়, খুশির হাওয়া গোটা দেশে। কারণ, সবাই ওদের নিরাপদে ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করেছে। ওদের সুস্থ দেখে আমরা মিষ্টি বিলি করেছি। দাদা সুড়ঙ্গে আটকে থাকার সময় রোজ আমি কথা বলতাম। প্রথমে ওই পাইপটা দিয়ে। তারপর ওদের কাছে ফোন পৌঁছে দেওয়া হয়। দাদাকে বলেছিলাম, যোগাসন কর। ও তখন বলল, হ্যাঁ আমরা সবাই মিলেই করছি।’ গব্বরের নেতৃত্বের প্রশংসায় উদ্ধারকারীরাও। তাঁরা বলছেন, সহকর্মীদের শান্ত রাখতে তাঁদের সঙ্গে লুডো ও দাবা খেলেছেন গব্বর। চোর-পুলিস খেলাও চলেছে নিত্যদিন। ঘটনাস্থলে এক মনোবিদ বলেছিলেন, ‘গোটাটাই যে ক্যাপ্টেন গব্বরের মস্তিষ্কপ্রসূত, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।’ 
8Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা