বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ
 

২০২০ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া
ইডি ও সিবিআই তদন্তে
স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রাথমিকে ২০২০ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইডি-সিবিআই তদন্তের মামলায় বুধবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টের ভিত্তিতে ২০২০ সালে বহু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার জন্য যে কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া, কীসের ভিত্তিতে তা দেওয়া হল? কেনই বা দেওয়া হল ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে চলতি মাসের গোড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই-ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারই শুনানিতে এদিন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আপাতত তদন্ত হবে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ মে মামলার পরবর্তী শুনানি। 
অন্যদিকে, নবম-দশম শ্রেণির অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার এবং এসএসসির গ্রুপ সি ক্লার্ক পদের নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই কী তদন্ত করেছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পৃথক এক মামলায় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ বুধবার জানিয়ে দিল, সিবিআইকে এই মামলায় এখানে অংশ নিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে তারা যে তদন্ত করেছে, তা এখানে জানাতে হবে। সিবিআ‌঩ইকে এ ব্যাপারে নোটিস ইস্যু করা হয়েছে। আগামী ১২ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 
এসএসসি’র গ্রুপ ডি’র নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিরও যে মামলা সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে, সেটিও এই মামলার সঙ্গে শোনা হতে পারে। এসএসসি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা একসঙ্গে শুনব বলেই এদিন জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ফলে যতদিন পর্যন্ত না সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে কোনও নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত নবম-দশম শ্রেণির অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার পদে নিয়োগ এবং গ্রুপ সি’র ক্লার্ক পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। 
কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের জেরে সিবিআই তদন্তের ফলে নবম ও দশম শ্রেণির ৬১৮ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার এবং গ্রুপ সি’র ক্লার্কের ক্ষেত্রে ৮৪২ জন চাকরি হারান। শুনানিতে বিচারপতির বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে চাকরি যাবে নাই বা কেন? তখনই চাকরি হারানো আবেদনকারীদের হয়ে সওয়াল করে আইনজীবী মুকুল রোহতগি এবং পার্থসারথি দেব বর্মন আদালতে বলেন, অন্যায়ভাবে চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের কথাই ঠিকমতো শুনতে চাননি। উল্টে সংবাদ মাধ্যমে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। এ কী করে হয়? যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রসঙ্গ উঠলেও সুপ্রিম কোর্ট কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

30th     March,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ