শরীর ও স্বাস্থ্য

পায়ে কড়া? সমাধান কী?

শুভজিৎ অধিকারী: সাধারণভাবে পায়ের চামড়া শক্ত হয়ে যাওয়াকে কড়া বলা হলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কয়েকটি ভাগ রয়েছে। কী ধরনের কড়া হয়েছে, তার উপর‌ই নির্ভর করে চিকিৎসা কেমন হবে।
১. ভাইরাস—ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য কড়া হতে পারে। একে বলা হয় ভাইরাল ওয়ার্টস। এর জন্য মূলত দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি। এই ধরনের কড়া পাশাপাশি ধরে চাপলে ব্যথা হয়। 
২. কর্ন—আর এক ধরনের কড়াকে কর্ন বলা হয়। এই ধরনের কড়া উপর থেকে চাপলে কোণ বা শঙ্কুর আকার নেয়। একেও চাপ দিলে ব্যথা হয়। বহু পরিবারে জিনগত সমস্যা হিসেবেও কর্ন হয়। এক প্রজন্মের পর প্রজন্মে এই সমস্যা হতে থাকে। 
৩. ক্যালোসিটি—অনেকের পায়ের কিছু জায়গা গোল হয়ে শক্ত হয়ে যায়। একে বলা হয় ক্যালোসিটি। পায়ের গঠনের জন্মগত ত্রুটি, পায়ের উপর ওজন সমানভাবে না পড়া বা পা ভেঙে যাওয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে। আমাদের পায়ের স্বাভাবিক গঠন অনুযায়ী পাতার নীচের মাঝের অংশ মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকে না। একে বলা হয় আর্চ। এই আর্চে যাঁদের সমস্যা থাকে বা পায়ের পাতার নীচের পুরোটা মাটির সঙ্গে ঠেকে থাকে (ফ্ল্যাট ফুট), তাঁদের ক্যালোসিটি দেখা যায়। 
কীভাবে সমাধান পাবেন? 
এক, ভাইরাল ওয়ার্টের ক্ষেত্রে লেজার বা ইলেকট্রোফালগুরেশন পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। এগুলির মাধ্যমে কড়াগুলিকে নষ্ট করে দেওয়া হয়। দুই, কর্নের ক্ষেত্রে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা ল্যাকটিক অ্যাসিড বা ট্রাই ক্লোরো অ্যাসেটিক অ্যাসিড ব্যবহার করে চামড়ার শক্ত অংশগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বাজারে যেসব কর্ন ক্যাপ কিনতে পাওয়া যায়, তাতেও এই সব অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। তবে অনেক সময় এই অ্যাসিড আশপাশের চামড়ার ক্ষতি করে। তিন, ক্যালোসিটি সম্পূর্ণ নির্মূল করার চিকিৎসা সেভাবে নেই। অনেক ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করা হলেও তাতে পুরোপুরি নিরাময় নাও হতে পারে। এক্ষেত্রেও ওই অ্যাসিডের মিশ্রণ বা ইউরিয়া ব্যবহার করে চামড়া নরম রাখা হয়। 
কীভাবে প্রতিরোধ
১. সবসময় চটি পরে হাঁটা উচিত। ঘরেও চটি পরা উচিত। অনেক সময় পায়ে কাঁটা ফুটে গিয়ে ভাইরাল সংক্রমণ হয়। 
২. ডায়াবেটিসে পায়ের যত্ন মাস্ট। 
৩. পায়ের আর্চের সমস্যা থাকলে ফিজিওথেরাপির সাহায্য নেওয়া উচিত। বড় সমস্যা হলে অর্থোপেডিক চিকিৎসককে দেখাতে পারেন। 
কড়া পড়েছে? সারান আয়ুর্বেদে 
আয়ুর্বেদে পায়ের কড়া থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েকটি ঘরোয়া প্রক্রিয়া রয়েছে। হাতের কাছে পাওয়া যায়, এমন কিছু উপকরণ ব্যবহার করে কীভাবে উপশম পাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে লিখছেন বিশিষ্ট আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ প্রদ্যোবিকাশ কর মহাপাত্র। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে পায়ের কড়াকে বলা হয় পদকণ্টক। নাম থেকেই স্পষ্ট, কতটা যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে পায়ের কড়া। 
কীভাবে উপকার পাবেন
১। সর্ষের তেলের সঙ্গে হলুদ ও চুন মিশিয়ে কড়ার উপর বারবার লাগালে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
২। তিল তেল ও গেরিমাটি ব্যবহার করেও কড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে একবার তিল তেল, একবার গেরিমাটি—এইভাবে কড়ায় লাগাতে হবে। তবে এই পদ্ধতি নিয়মিত করা প্রয়োজন।
৩। শুভ্র মলম ব্যবহার করে কড়ার যন্ত্রণা থেকে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এই মলম বাড়িতেও তৈরি করা সম্ভব। ধুনোকে খুব ভালো করে গুঁড়ো করার পর তা সর্ষের তেল ও সামান্য জলের সঙ্গে অনেকক্ষণ মেশাতে হবে। ক্রমশ সেটি ফোমের মতো হয়ে যাবে। কড়ার উপর সেটির নিয়মিত প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
৪। এছাড়া কড়ার মোকাবিলায় ‘বহরের ননী’ ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। এটি একধরনের ওষুধ। এটি ব্যবহারের ফলে শক্ত চামড়া ক্রমশ নরম হয়ে যায়। তবে এটি দোকান থেকে কিনেই ব্যবহার করতে হবে।
 
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বহু প্রচেষ্টার পর আটকে থাকা কাজের জটিলতা মুক্তি। কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.৭৯ টাকা১১১.৩৩ টাকা
ইউরো৯০.৯৫ টাকা৯৪.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা