শরীর ও স্বাস্থ্য

আয়ুর্বেদে টাকের চিকিৎসা

পরামর্শে ভারত সরকারের আয়ুর্বেদ গবেষণা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও অধ্যাপক ডাঃ সুবল কুমার মাইতি।

টাক শব্দের অর্থ হল মাথার চুল উঠে যাওয়ার জন্য কেশহীন হওয়া, যাকে বলে, টাক মাথা। সংস্কৃতে ‘খলিত’ শব্দ থেকে এসেছে খালিত্য, যার অর্থ মস্তকের কেশহীনতা। আবার ‘ইন্দ্রলুপ্ত’ শব্দটির অর্থও টাক। কেশহীনতা অর্থে শুধু মাথার নয়, শরীরের যে কোনও অংশের চুল উঠে যাওয়াকেই তা বোঝায়। 
আমাদের শরীরে ভাঙা-গড়ার খেলা প্রতিনিয়ত চলছে। তেমনি চুলের বেশি বয়স হয়ে গেলে তা পড়ে গিয়ে নতুন চুল গজায়। সাধারণত মাথায় ১ লক্ষ ২৫ হাজারের মতো চুল থাকে। এদের গড় পরমায়ু ২-৬ বছর। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চুল পড়ে যায়, আবার সেই গোড়া থেকে নতুন চুল তৈরি হয়। যখন নতুন চুল গজানোর হার কমে যায়, অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত বেশি চুল পড়তে থাকে, তখন কেশ-কোষগুলির (হেয়ার ফলিকলস) নতুন করে চুল তৈরির ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তখনই মাথায় টাকের সৃষ্টি হয়। 
নানা কারণে যখন কেশ-কোষগুলি দেহ থেকে পুষ্টি গ্রহণে অক্ষম হয়ে পড়ে, তখনই চুল কমতে থাকে। তাকেই কেশহীনতা বলে। মাথায় রক্ত চলাচল ঠিকমতো না হলে চুল পড়ার সম্ভাবনা অধিক। কেশাল্পতা, কেশহীনতা, অকালপক্বতা প্রভৃতি চুলের অনেক রোগ। তাছাড়া কয়েক প্রকার রোগ যেমন খুশকি, দাদ, চুলকানি প্রভৃতি কারণেও চুল পাতলা হতে থাকে, তবে রোগ সেরে গেলে পুনরায় চুল গজায়। কিন্তু পুষ্টির অভাবে যেসব কেশ-কোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়, সেখানে কিছুতেই চুল গজায় না। কেশহীনতা কেবল মাথার চামড়ার রোগ নয়। দেহের সাধারণ স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। 
সাধারণ স্বাস্থ্যের পুষ্টি ও যত্ন সঠিকভাবে হলেই কেশের যত্ন নেওয়া হয়ে যায়। দেহকে দোষমুক্ত ভিতর থেকে করতে না পারলে অর্থাৎ কেশের সবরকমের রোগের সঙ্গে লড়াই করতে হলে মাথার চামড়ার রক্তস্রোতকে পরিষ্কার করতে হবে। অর্থাৎ সমস্ত শরীরকেই দোষমুক্ত করতে হবে এবং রক্তপ্রবাহ যাতে সর্বত্র ঠিক থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। 
কেশচর্মের মর্দন বা মাসাজই কেশহীনতার চিকিৎসার প্রধান ব্যবস্থা। অনেকক্ষণ ধরে টুপি পরে থাকলে, চুল নিয়ে টানাটানি করলে চুল উঠে যেতে পারে। রক্তহীনতা, কোষ্ঠবদ্ধতা, জ্বর প্রভৃতি দ্বারা দেহে যে বিষ উৎপন্ন হয়, তা যদি শরীর থেকে সহজে বের করানো যায়, তাহলে সেই বিষ কেশ-কোষকে আক্রমণ করলে তখনই চুল উঠতে আরম্ভ করে। 
সোজা কথা বলা যেতে পারে— দেহের ও মনের যত্ন যদি সঠিকভাবে না করা যায়, তাহলে হাজার রকমের তেল, মলম, শ্যাম্পু, সাবান, বডিলোশন মেখে চুলের সৌন্দর্যের বিকাশ ঘটতে পারে না। এই সারসত্য কথাটা কেশপ্রেমিকদের মনে রাখাটা খুবই প্রয়োজন। বিজ্ঞাপনের বহরে অর্থনাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এই বিজ্ঞাপনের কথা যখন উঠল, তখন মনে পড়ে গেল আজ থেকে ৫০ বছর আগেকার একটি ঘটনা। আমাকে একজন বললেন, তুই যদি ভালোভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারিস, তাহলে মাথার তেলের ব্যবসা করতে পারিস। তখনকার দিনে ১০০ গ্রাম একটা তেলের বোতলে ৫০ গ্রাম মিনারেল তেল আর ৫০ গ্রাম নারকেল তেল মিশিয়ে, তাতে সামান্য সবুজ রং এবং সেন্ট মিশিয়ে, সুন্দর একটি নাম ও লেবেল ছাপিয়ে শিশির গায়ে লাগাতে এক টাকা খরচ হতো। বিজ্ঞাপনের বয়ানও তিনি বলে দিলেন— কেশের সবরকমের সমস্যার এটি মহৌষধ। পরপর বছরখানেক ব্যবহারে অব্যর্থ কাজ করে। সুদীর্ঘ গবেষণায় পরীক্ষিত তেল। মূল্য মাত্র ৭ টাকা। 
তারপর বললেন, যদি এক লাখ টাকা খরচ করে এক লাখ ঔষধ তৈরি করা যায় এবং বিজ্ঞাপনে ২ লাখ খরচ করা যায়, বিক্রির কমিশন প্রতি ফাইলে এক টাকা দেওয়া যায়, তাহলে মোট ৪ লাখ টাকায় ৭ লাখ আসবে। বছর পাঁচেক ঠিকমতো চালাতে পারলে কোটিপতি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। ঝামেলা বলতে কিছুই নেই। চুল উঠছে না পড়ছে, কিংবা বেরচ্ছে না গজাচ্ছে, তা বুঝতে কমপক্ষে ৫টা বছর তো কেটে যাবে! তারপর আরও বছর পাঁচেক বা দশেক আরামসে এই কারবার চালিয়ে যেতে পারবে। যে হারে ভেজাল কারবার চলছে, তাতে বিজ্ঞাপনের দৌলতে তা বাজারে নামও করে ফেলবে। আজও এই অঙ্কে বহু টাক-নিবারক ও কেশবর্ধক এবং অকালপক্কতা নাশক তেল, মলম ও ক্যাপসুল এবং সিরাপের ছড়াছড়ি রয়েছে বাজারে। 
আসলে যদি সব শারীরিক অবস্থার উন্নতিসাধন না হয়, শরীর দোষমুক্ত না হয়, তাহলে চুল পড়ার সমস্যার কোনও স্থায়ী উপকার পাওয়া যায় না। পুষ্টিকর আহার ও নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করা, খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং রাতে ১০টার মধ্যে শুয়ে পড়া— এসব মেনে চলাটা অবশ্য কর্তব্য। 
কেশমর্দনের বিশেষ পদ্ধতি ভালোভাবে জেনে মর্দন করা খুবই দরকার। হাতের তিনটে আঙুল মাথার চামড়ার উপর রেখে আঙুলগুলো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথা মাসাজ বা মর্দন করলে ভালো। এভাবে মাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালিত হয়ে থাকে। কেশচর্মের নিষ্ক্রিয়তার কারণেও চুল উঠে যায়। নিয়মিত মাসাজে চুল ও চুলের চামড়া ভালো থাকবে। সঠিকভাবে তখন কেশচর্মে রক্ত চলাচল করতে পারে, কেশকোষের শুষ্কতা (atrophy) বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চট করে অকালপক্কতা আসতে পারে না। মাসাজের সময় মাথার চুল ধীরে ধীরে টানতে হয়। চুলের গোড়া আলগা হয়। তখন রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। কেশকে পুষ্ট করার জন্য যে সকল জিনিসের প্রয়োজন হয়, তা সবই রক্ত থেকেই পাওয়া যায়। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেলে কেশগুলি সবল হয়ে ওঠে। হাতের আঙুলগুলি চিরুনির মতো ফাঁক করে চুলের ভিতর ঢুকিয়ে চুলগুলি শক্ত করে দু’-এক মিনিট উঁচু করে ধরে রাখতে হবে। এভাবে মাথার সমস্ত চুল টানা আবশ্যক। এভাবে করতে গেলে প্রথম প্রথম কিছুটা চুল উঠে যেতে পারে। অবশ্য এতে ভয়ের কিছু নেই। কারণ ওই চুলগুলির আয়ু প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। পড়ে যাওয়া চুলের গোড়া থেকে নতুন চুল গজাবে। ওইসব মরা চুল মাথায় কয়েকদিন থাকলে কেশ-কোষও মরে যায়। যার ফলে চুল আর গজাতে পারে না। এভাবে মাথায় মর্দন না করলে পুরাতন চুলগুলো দীর্ঘদিন থাকলে ধীরে ধীরে স্থায়ীভাবে মাথায় টাক উৎপন্ন হবে। 
দিনে ২-৩ বার নিয়মিত চুল আঁচড়ানো চুল রক্ষার প্রধান উপায়। এছাড়া অন্তত একবার ব্রাশ করা উচিত। ব্রাশ যেন খুব শক্ত কিংবা নরম না হয়। এর দ্বারা চুলের গোড়া পরিষ্কার থাকে, যার ফলে ছোটখাট চর্মরোগ উৎপন্ন হয় না এবং কেশকোষগুলি সবল থাকে, চুল হঠাৎ পড়তে পারে না। 
চুল ওঠা বন্ধ করার জন্য মাথার চামড়ায় তেল লাগানো দরকার। খুবই গন্ধযুক্ত বিভিন্ন রঙের তেল মাখলে চুল উঠে যেতে পারে। স্বচ্ছ তেল, কোনও গন্ধ বা রং মেশানো নয়— এমন যে কোনও তেল ব্যবহার করা উচিত যে যার পছন্দ ও সহ্যমতো। 
শরীরকে দোষমুক্ত রাখা এক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখাটা প্রথম কাজ। কোষ্ঠবদ্ধতা থাকলে মাথার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। অতিরিক্ত তেল-ঘি-মশলা এবং মাছ-মাংস-ডিম মোটেই খাওয়া ভালো নয়। সবুজ শাক-সব্জি ভালোভাবে ধুয়ে রান্নার জন্য কাটবেন এবং খুব কম তেল-মশলা দিয়ে রান্না করবেন। ঢেঁড়শ আমাদের খুবই প্রিয় খাদ্য। এটির ভাজা অত্যধিক প্রিয় হলেও তা খুব বেশি খাওয়া উচিত নয়। ঢেঁড়শের তরকারিতে মুলো এবং উচ্ছে রান্না করে খাবেন না। কখনওসখনও খাওয়া হলে খুব একটা ক্ষতি করতে পারে না, দীর্ঘ ব্যবহারে পেটের সমস্যা থেকে নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন, পেঁপের তরকারিতে টম্যাটো বা উচ্ছে খেতে নেই। মাছ-মাংস-ডিমের মধ্যে যে কোনও একটা একবেলার খাদ্যতে থাকা উচিত। এই তিনটির রান্নায় দুধ কিংবা দই ব্যবহার করবেন না। এগুলি খাওয়ার শেষে দই-আইসক্রিম-কোল্ড ড্রিঙ্কস প্রভৃতি খাওয়া অনুচিত। এমনিতে প্যাকেটজাত ভাজাভুজি, ঠান্ডা পানীয়, আচার, স্যস, ফলের রস প্রভৃতি সুস্থ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এসব খেলে স্বাভাবিকভাবে কোষ্ঠবদ্ধতা আসে। শুক্তোয় পেঁপে ও দই ব্যবহার করবেন না।
শুধু কেশ রোগের ক্ষেত্রে নয়, সর্বক্ষেত্রেই পেট পরিষ্কার রাখাটা প্রাথমিক এবং প্রধান কাজ। সে জন্য সময়ের ফলমূল শাকসব্জি স্যালাড খেতে হয়। সবুজ শাক সেদ্ধ করে সকালে বা বিকেলে মুড়ি কিংবা চিঁড়ে ভাজার সঙ্গে খেতে পারেন। ভাতের সঙ্গেও খাওয়া যায়। রঙিন শাক-সব্জি সহজেই আমরা বুঝতে পারি। কেনার সময় সতর্ক থাকা উচিত। আরও অনেক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলি মেনে খাওয়াদাওয়া করা উচিত। যেমন: দুধ-কলা একসঙ্গে খাবেন না। দইয়ের সঙ্গেও কলা না খাওয়াই ভালো। ঘণ্টাখানেক সময়ের ব্যবধানে খেতে পারেন। একটা খাবার হজম হতে না হতে আর একবার খাবার খাওয়া শরীর অসুস্থ হওয়ার অন্যতম কারণগুলির মধ্যে অন্যতম। কম ছাঁটা চাল আজকাল সর্বত্র পাওয়া যায় না, পেলেও আমরা খেতে চাই না। তবে ভূষিসমেত আটা খাওয়া যেতেই পারে। চুলের প্রধান উপাদান সিসটিন নামক এক প্রকার প্রোটিন। এটি পালংশাক ও বাঁধাকপির মধ্যে যথেষ্ট পাওয়া যায়। টাটকা শাকসব্জির স্যুপ বা সিদ্ধ নিত্য খেলেও এটি পাওয়া যেতে পারে। 
মাথার চামড়ার স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে খুশকি হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে মাথায় তেল দিয়ে রাখতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শ্যাম্পু বা সাবান ব্যবহার করাটা ঠিক নয়। এখানেই আমরা বড় ভুলটা করে থাকি। মাথার চুল ঠিক রাখতে হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মতামত মাঝে মাঝে নেবেন। রক্তে টক্সিক পদার্থের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাথার চামড়ার রোগ শুধু নয়, যে কোনও সমস্যায় পড়তে পারেন। নানাবিধ রোগের কারণেও খুশকি হয়ে থাকে। যে কোনও একটি শ্যাম্পু যদি আপনার জন্য ভালো হয়, সেটিই ব্যবহার করবেন। সাবান-ক্রিম-লোশনের ক্ষেত্রে একই কথা। যখন খুশি বদল করা ঠিক নয়। তবে প্রথমটাতে সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ব্যবস্থা করলে ভবিষ্যতে বহু রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। খুশকিতে ভেসলিন বা কোনও মলম লাগাবেন না, তাতে সাময়িক উপকার পেলেও পেতে পারেন। পরবর্তীতে চুলগুলি উঠে যাবে। সাধারণভাবে স্বাস্থ্যের জন্য সর্বদা লেবুর রস ও পরিমাণ মতো জলপান করতে হবে। 
আয়ুর্বেদ মতে টাকের কারণ: 
রোমকূপের মধ্যস্থ বায়ু ও পিত্ত কুপিত হলেই চুল উঠে যায়। রোমকূপগুলি রক্ত ও শ্লেষ্মা দ্বারা আবদ্ধ হয়ে চুল গজাতে পারে না। প্রথম প্রথম চুল গজাতে থাকলেও কঠিন আক্রমণের পর আর গজাতে পারে না। মাথায় অতিরিক্ত হাত ঘষা, চুল ধরে যখন তখন মোচড়ানো প্রভৃতি অনিয়ন্ত্রিতভাবে দীর্ঘদিন করতে থাকলে চুল ধীরে ধীরে পড়ে যায় এবং কেশকোষগুলিতে রক্ত চলাচল হতে পারে না। আর সে জন্য টাক পড়তে পারে। এটিকে ট্রমাটিক অ্যালোপেশিয়া বলা হয়। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে টাক নিয়ে জন্মায় কেউ কেউ, এটিকে অ্যালোপেশিয়া অ্যাডনাটা বলা হয়। মেয়েদের বেলায় ঋতুবন্ধের পর এবং সন্তান প্রসবের পর কারও কারও মাথার চুল পাতলা হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুষ্টিকর আহার খেতে খেতে চুল গজিয়ে যায়। খুব কম সংখ্যায় মেয়েদের টাক পড়ে। সে তুলনায় ছেলেদের বেশি পরিমাণে টাক হতে দেখা যায়। 
টাকের অনেক রকমের ভেদ থাকলেও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য টাক নিয়ে এখানে আলোচনা করা হচ্ছে। 
১) পুরো মাথায় টাক: তেলা চামড়া, একবার উঠে গেলেই সারাজীবন এভাবেই চলবে, নতুন করে চুল গজানোর সম্ভাবনা থাকবে না। একে ‘অ্যালোপেশিয়া ক্যাপিটিস টোটালিস’ বলে। 
২) সর্বাঙ্গীন টাক: এতে সমস্ত শরীরের সব চুল উঠে যায়। এটিকে ‘অ্যালোপেশিয়া ইউনিভার্সাল’ বলা হয়। 
৩) পাতলা চুল: এক্ষেত্রে মাথার একাংশের বা সর্বাংশের চুল উঠতে উঠতে চুল পাতলা হয়ে গেলে সেটিকে ‘অ্যালোপেশিয়া ডিফিউজা’ বলা হয়ে থাকে। 
৪) আংশিক টাক: এটিতে হঠাৎ করে দাড়ি, গোঁফ, মাথা, ভ্রূ, বগল ও ভগদেশ প্রভৃতির যে কোনও একটি বা দু’টি স্থানে গোলাকৃতি টাক তৈরি হয়। রাতে শোয়ার সময় সব ঠিকঠাক, ভোরে উঠে দেখবেন গোঁফের কিছুটা চুল কোনও পোকায় কামড়ে তুলে নিয়ে গেছে। এটিকে অনেকে বলে থাকেন— টাক পোকায় কেটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামান্য চিকিৎসায় সেরে যায়। তবে পরপর টাকের সংখ্যা বাড়তে থাকলে চট করে সারতে চায় না। সম্পূর্ণরূপে চুলের গ্রন্থি নষ্ট হয়ে গেলে কোনও কিছুতেই কিছু করা যায় না। এটিকে ‘অ্যালোপেশিয়া এরিয়েটা’ বলা হয়। 
৫) সেকেন্ডারি অ্যালোপেশিয়া: কতগুলি রোগের কারণে এই রোগ হতে পারে। যেমন: ত্বকের অসুখ মরফিয়া, অটোইমিউন ডিজিজ যেমন ‘লুপাস এরিদিমেটোসাস’, ‘টিনিয়া ক্যাপিটিস’, ‘লাইকেন প্লেনাস’ প্রভৃতি রোগের ক্ষেত্রে ‘অ্যালোপেশিয়া এরিয়েটা’ যেখানে সেখানে হতে পারে। তবে রোগ নিরাময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ক্ষেত্রে চলে যায়। 
৬) দীর্ঘ রোগভোগের ফল: আগেকার দিনে যখন সিফিলিস, বসন্ত রোগ, টাইফয়েড, কালাজ্বর প্রভৃতির ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি, তখন এসব রোগের শিকার হলে তাঁদের মাথার চুল প্রায় থাকত না, উঠে গিয়ে পাতলা হতো, অথবা চিরকালের জন্য বিদায় নিত। ইদানীং এসব রোগের ওষুধ ও টিকা আবিষ্কার হওয়ায় এই রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত চুলের সমস্যা অনেক কমেছে। দু’এক জনের মধ্যে চুলের সমস্যা দেখা দিলেও তা বেশি ক্ষতি করতে পারে না। 
তবে এখন আর এক উপদ্রব বেড়েছে— ঘরে ঘরে ক্যান্সার বেড়েছে। ক্যান্সারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপি এবং রেডিওথেরাপির কারণেও মাথার চুল ধীরে ধীরে পড়ে যায়। রোগটি আয়ত্তের মধ্যে এলে ধীরে ধীরে ফের ঠিক হয়ে যায়। যাঁদের সারা জীবনের জন্য ওষুধ খেতে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। 
চিকিৎসা 
আক্রান্ত স্থানে রক্ত সঞ্চালক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন এ ও সি-এর অভাবজনিত কারণে টাক হলে এবং পুষ্টির অভাবজনিত কারণে মাথা ফাঁকা হলে পুষ্টিকর আহার ও বিহারের খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্থানীয় জায়গায় প্রদাহকারক মলম বা তেল বা চূর্ণ লাগাতে হবে। নিয়মিত মাথায় মাসাজ করা উচিত। 
যে কোনও টাকে ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে ডুমুর বা শেওড়া অথবা শিউলি প্রভৃতি কর্কশ পাতার দ্বারা টাক ঘষতে হবে। ধুতুরা ফল বা সূক্ষ্ম চিরুনি দিয়েও ঘষতে পারেন। এগুলি সবই প্রদাহ সৃষ্টি করে। আর ঠিক তখনই ওষুধ প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন টাকের যত্ন ও চিকিৎসা সম্বন্ধে কয়েকটি পুষ্টিযোগের বিবরণ দেওয়া হচ্ছে। 
১) মাথায় পুরো টাক বা আংশিক টাক দেখা দিলে: যে কোনও একটি কর্কশ পাতা দিয়ে টাকে ঘষতে হবে। ধুতুরার ফল বা চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। তারপর মরিচ চূর্ণ ছোট পেঁয়াজের রসে মিশিয়ে মলমের মতো করে মাথায় ঘষতে হবে। তারপর প্রদাহ সৃষ্টি হলে করঞ্জার তেল মালিশ করতে হবে। নিয়মিতভাবে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা উচিত। বিক্ষিপ্ত টাকেও এটি উপকারী। 
২) তেলতেলে টাকে: ডুমুর, শেওড়া বা শিউলি পাতা দিয়ে ভালোভাবে ঘষে তিল তেলের মধ্যে হস্তিদন্ত ভস্ম মিশিয়ে প্রলেপ দিতে হবে। ২-৩ মাস ব্যবহারে উপকার পরিলক্ষিত হতে পারে। হস্তিদন্তের চূর্ণ বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। তা সংগ্রহ করে একটা মাঝারি ধরনের গাড়ুতে ভরে সরা চাপা দিয়ে মাটি দিয়ে মুখটা বন্ধ করে দিতে হবে। তারপর কাপড় দিয়ে গাড়ুটাকে মুড়ে মাটির প্রলেপ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর রাতে মাটির উনুনে শুকনো ঘুঁটে দিয়ে তার উপর গাড়ুটাকে বসিয়ে দিন। তার উপরে বেশ কিছু ঘুঁটে দিয়ে রাখলে রাতে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। পরদিন সকালে গাড়ুটা বের করে সাবধানে মুখটা খুলে সাদাটে ছাই রংয়ের ভস্ম দেখা যাবে। এই ভস্ম সতর্কভাবে শিশিতে পুরে রাখতে হবে। পরিমাণ মতো এই ভস্ম নিয়ে তাতে তিল তেল মিশিয়ে মলমের মতো করে লাগাতে হবে। ডোজ ঠিক করবেন চিকিৎসক।
৩) বিক্ষিপ্ত টাকে: হস্তিদন্ত ভস্ম ও রসাঞ্জন জলে বেটে প্রত্যহ স্নানের পর লাগান। তৎপূর্বে ছোট চিরুনি দিয়ে মাথাটা আঁচড়ে দেওয়াটা জরুরি। রসাঞ্জন বেনে দোকানে পাবেন। হস্তিদন্ত ভস্মও কোনও আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকানে পেলেও পেতে পারেন। 
৪) আংশিক টাকে: একে চলতি কথায় আমরা টাকপোকায় খাওয়া টাক বলে থাকি। এক্ষেত্রে নানাবিধ চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে এবং তার মধ্যে বহু মুষ্টিযোগ খুবই ফলপ্রদ। কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া যাক। 
ক) বাঁশ কেটে নেওয়ার পর তার যে গোড়াটা বসে থাকে, সেটিকে তুলে কুচি কুচি করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। আমরা যেসব সাধারণ বাঁশ দেখে থাকি, সেটিকে বাঁশনি বাঁশ বলে, তার গোড়া হলেই চলবে। অথবা ভেলকি বাঁশের গোড়া হলেও হবে। শুকনো গোড়া দিয়ে একটি মাঝারি ধরনের গাড়ু ভর্তি করে সরা চাপা দিয়ে, মাটি দিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দিন। এবার কাপড় দিয়ে গাড়ুটি ভালোভাবে মুড়ে পাতলা কাদামাটির প্রলেপ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই গাড়ুটির উপর ও নীচে ঘুঁটে দিয়ে আগুন লাগাতে হবে। যেভাবে হস্তিদন্ত ভস্ম করা হয়েছে। 
পরদিন সকালে গাড়ুটা খুললে ভিতরে কালো রঙের পাউডার দেখা যাবে। এটিই বংশমূল ভস্ম। কর্কশ পাতায় টাক ঘষার পর এই ছাই নারকেল তেলে মিশিয়ে দিনে ২ বার করে লাগাতে হবে। এটি একটি অব্যর্থ ওষুধ বলা যেতে পারে। তবে কোথাও কোথাও ছোট পেঁয়াজ ঘষে ঘষে লাগানোর পর এই মলমটি লাগাতে দেওয়া হয়।
খ) টাকে পঞ্চমুখী জবাফুলের বাটা মাথায় লাগালে কোন কোন ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। তার আগে ছোট পেঁয়াজ ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। তারপর জবাফুলের বাটা লাগালে ভালো কাজ হয়। 
গ) ধুতুরা পাতার রস আংশিক টাকে: একদিন ছাড়া ছাড়া লাগাতে হবে। প্রয়োজনে প্রত্যহ লাগানো যেতে পারে। অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নিলে ভালো হবে। 
ঘ) টাক পোকায় বা আংশিক টাকে: গোলমরিচ ও সৈন্ধব লবণ পেঁয়াজের রসে মিশিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিনে দু’বার করে লাগালে মাসখানেকের পর থেকেই চুল গজাতে থাকে। 
ঙ) কুঁচ ফলের বাটা হালকা হাতে প্রত্যহ একবার করে লাগালে ভালো কাজ হবে। 
৫) সর্বাঙ্গীন টাকে: বহেড়া বীজের শাঁস বেটে প্রত্যহ দু’বার করে লাগাতে হবে। স্নানের পর একবার এবং সন্ধ্যায় একবার। বেশি বয়সের টাকেও এটি কাজ করে। 
৬) আংশিক এবং তেলতেলে টাকে: তিল বা নারকেল তেল ২৫ গ্রাম নিয়ে তাতে মনসা বা স্নুহীর আঠা ২৫ গ্রাম মিশিয়ে খুব হালকা আঁচে বসিয়ে পাক করতে হবে। একটা চটচটে ভাব হলে নামিয়ে একটা কৌটোয় রেখে দিতে হবে। টাকে যে কোনও কর্কশ পাতা দিয়ে ঘষলে একটা প্রদাহ সৃষ্টি হবে। আর তখনই স্নুহী তেলটি হালকা করে লাগাতে হবে। 
৭) অল্প বয়সের টাকে: এক্ষেত্রে নিসিন্দে পাতায় পাক করা নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতেই পারে। ৫০০ গ্রাম পাতা ২ কিলো জলে সিদ্ধ করে ২৫০ মিলি জল থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সেই জলটি দিয়ে ১০০ গ্রাম নারকেল তেলে মিশিয়ে ধীরে ধীরে পাক করতে হবে। জলটি ফুটতে ফুটতে শেষ হয়ে গেলে নামিয়ে ছেঁকে টাকে লাগাতে হবে। তেলটি একটা শিশিতে রাখতে হবে। তার পূর্বে যে কোনও একটি কর্কশ পাতা দিয়ে স্থানটি ঘষে নেওয়া জরুরি। 
৮) মাথায় চামড়া ঘা বা চুলকানিজনিত রোগে চুল পাতলা হয়ে গেলে সেই রোগ আগে সারাতে হবে। এক্ষেত্রে একটি ওষুধই দু’টি কাজ করতে পারে। তা হল ৫০ গ্রাম করঞ্জার তেলে স্নুহীর আঠা ২৫ গ্রাম পাক করে লাগালে ঘা চলে গিয়ে নতুন চুল গজাবে। 
৯) কুঁচ ফল বেটে মধুতে মিশিয়ে লাগালে সর্বপ্রকার টাকে কাজ দেয়। 
১০) সর্বপ্রকার টাকে: 
ক) মনছাল, হীরাকষ ও তুঁতে সমভাগে নিয়ে তিল তেলে মিশিয়ে টাকে লাগাতে হবে। 
খ) হস্তিদন্ত ভস্ম ও রসাঞ্জন ছাগলের দুধে মেড়ে পরপর ৭ দিন লাগাতে হবে। তারপর কয়েকদিন বাদ দিয়ে পুনরায় ৭ দিন লাগাবেন। 
গ) কুঁচের ফল বা মূল বেটে লাগাতে হবে। 
ঘ) তিলের ফুল ও গোক্ষুর বীজ বেটে তাতে ঘি ও মধু মিশিয়ে প্রলেপ দিতে হবে প্রত্যহ একবার। 
১১) পাতলা চুলে: কেশ কোষগুলির কিছু কিছু নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য এটি হয়ে থাকে। যেটি চলে গিয়েছে, সেটি আর ফিরবে না। যেসব চুল থেকে গিয়েছে, সেগুলি যাতে নষ্ট না হয়, মাথায় যেন খুশকি না থাকে। সেক্ষেত্রে ঢেঁড়শ পাতা চটকানো জলে (৫০০ জলে ৩/৪টে পাতা) মাথা ধুয়ে নিতে হবে। তারপর মাথা শুকিয়ে গেলে হালকা করে জাতী তেল, যষ্টিমধ্বাদি তেল, আদিত্যপাক গুড়ুচি তেল, স্নুহাদ্যং তেল বা মহাভৃঙ্গরাজ তেলগুলির মধ্যে যে কোনও একটি ব্যবহার করতে হবে। একদিন ছাড়া ছাড়া ব্যবহার করা দরকার। পাতলা চুল হওয়ার জন্য হালকাভাবে মাসাজ বা মর্দন করা উচিত। প্রথম প্রথম দু’-চারটে চুল উঠে যেতে পারে, কিন্তু কিছুদিন পর থেকে আর উঠবে না। 
পুষ্টিকর আহার এবং সুস্থ মন নিয়ে কাটাতে পারলে এবং কোষ্ঠবদ্ধতা না থাকলে বাকি চুলগুলো থেকে যাবে। সেগুলো আর পড়বে না। 
১২) চুল ভেঙে গেলে: ত্বকের মধ্যে যে রসগ্রন্থি (সিবেসিয়াস গ্রন্থি) সমূহ থাকে সেটির স্বল্পতা হলেই চুল ভেঙে কেশভঙ্গ রোগ হয়। চুলে অধিক পরিমাণে সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের রুক্ষতা জন্মে এবং চুল ভেঙে যায়। 
এক্ষেত্রে মহাভৃঙ্গরাজ তেল, বৃহৎ বিষ্ণু তেল, কেশরাজ তৈল প্রভৃতির যে কোনও একটি স্নানের পূর্বে ব্যবহার করতে হবে। তার আধ ঘণ্টা পরে হালকা গরম জলে মাথাটা ধুয়ে নিতে হবে। এটি একদিন বা দু’দিন ছাড়া ছাড়া ব্যবহার করতে হবে। 
১৩) খুশকি: মাথায় যাতে খুশকি না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন, মাথা পরিষ্কার করার জন্য দিনে দু’বার চিরুনি ও একবার ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত। আঙুলে ন্যাকড়া জড়িয়ে সপ্তাহে একদিন মাথার চুল ফাঁক করে করে জোরে জোরে ঘষতে হবে। একে ড্রাই শ্যাম্পু বলে। 
পেটটি যাতে পরিষ্কার থাকে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। অতিরিক্ত সাবান দিলে চুলের তৈলাক্তভাব নষ্ট হয়। তখন চুলগুলি অধিক শুকনো বা রুক্ষ হয়ে যায়। সে জন্য মাথায় ভালোভাবে তেল মেখে সাবান বা শ্যাম্পু দেওয়া খুবই প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও খুশকি দেখা দিলে সপ্তাহে দু’দিন কচি ডাবের মালা থেঁতো করে সেই রস স্নানের পর লাগাতে হবে। অথবা হেলেঞ্চা বা তেলাকুচা পাতার রস সপ্তাহে স্নানের    পূর্বে দু’দিন লাগাবে। এর পরিবর্তে মেহেন্দি পাতার রসও লাগানো যেতে পারে। 
সমস্যা বেশি হলে, সাধারণ টোটকাতে কাজ না দিলে নারকেল তেলে ভৃঙ্গরাজের রস ও কুঁচফল বাটা দিয়ে পাক করা তেল মাথায় মালিশ করলে উপকার হবে। ১০০ গ্রাম তেলে রস এক কাপ ও কুঁচফল ২০/২৫টি দিলেই হবে। 
চুল সংক্রান্ত সমস্যায় প্রথম কথা হল পেট পরিষ্কার রাখা। সাধারণ শাকসব্জি, ফলমূল খেয়ে পেট পরিষ্কার না হলে সপ্তাহে একদিন এক লিটার হালকা গরম জলে একটা পাতিলেবুর রস ও ২/৩ গ্রাম নুন মিশিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে ওই জলটি দিয়ে ডুস নিতে হবে। পেট পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে। 
এছাড়া ত্রিফলা রসায়ন, ত্রিফলার ক্বাথ, ত্রিফলাদ্য ঘৃত, ব্রাহ্মী রসায়ন, চ্যবনপ্রাশ, শতাবরী প্রাশ প্রভৃতি মাঝে মাঝে খেয়ে থাকতে হবে। 
নানাবিধ শাকসব্জি সিদ্ধ করে খাওয়া দরকার। কলমি শাক ও সজনে পাতার ভাজা খুবই ভালো। ফুলকপি ও ব্রকোলি হলুদ জলে হালকা ভাপিয়ে সেটি খাওয়া যেতে হবে। পরিমাণমতো নুন দিতে হবে অবশ্যই। 
শেষে বলি, চুল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা খুবই কঠিন কাজ। একটু এদিক-ওদিক হলে সব চুল সাফ হয়ে যেতে পারে। চুল অকালে ঝরে গেলে বা পাকা শুরু হলে কারই বা ভালো লাগে! তবে একথাটিও ঠিক— সময়ের পাকা চুলকে কাঁচা করার চেষ্টা না করাই ভালো। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
খুব ছোটবেলা থেকে ঢেঁড়শপাতা চটকানো জলে সপ্তাহে একদিন করে মাথা ধুলে চুলের গোড়া ভালো থাকবে। চুল ঘন হবে। হঠাৎ উঠে যাবে না। অন্তত স্কুলজীবন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো ফল দেয়। 
4d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মের প্রসার ও উপার্জন বৃদ্ধির যোগ। গৃহ পরিবেশে চাপা উত্তেজনা। পেশার প্রসার।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৭ টাকা৮৪.৮১ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৫ টাকা১১২.২০ টাকা
ইউরো৯১.৫৭ টাকা৯৪.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা