বিশ্বায়নের চাপে সমাজ যত এগচ্ছে একাকিত্বের শিকড় ততই যেন নিউক্লিয়ার পরিবারের ওপর চেপে বসছে। স্মৃতির ঝাঁপি হাতড়ে শুরু হচ্ছে এক অন্তহীন অপেক্ষা—প্রিয়জনদের আরও একবার চাক্ষুষ করার বাসনা নিয়েই দিন গোনে জীবন সায়াহ্নের যাত্রীরা।মনের গভীরে চেপে রাখা অভিমান ও সম্পর্কের দূরত্বের প্রেক্ষাপটে দুই প্রজন্মের গল্প বলতে চাইছেন পরিচালক অভিজিৎ শ্রী দাস। তাঁর প্রথম ছবি ‘বিজয়ার পরে’র প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরকদমে। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মীর, দীপঙ্কর দে ও মমতা শঙ্কর। এর আগে রেডিও জকি ও বিজ্ঞাপনের জগতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন অভিজিৎ। পরিচালকের কথায়, ‘আসলে এমন কিছু গল্প আছে, যেটা ছবির মাধ্যমে সবচেয়ে ভালো বলা যায়। এটাও সেরকমই একটা গল্প। আজকে তো সত্যিই প্রবীণদের সঙ্গে কথা বলার মানুষের সংখ্যা কমে গিয়েছে। এইরকম একটা বিষয় নিয়ে ছবি তৈরি হতে পারে বলে মনে হয়েছিল।’ পুজোর আবহে অলকানন্দা (মমতা) ও আনন্দের (দীপঙ্কর) বাড়িতে ছেলেমেয়েরা আসতে থাকে। তাদের মেয়ে মৃন্ময়ী (স্বস্তিকা) ও তার স্বামী মিজানুরও (মীর) আসে। মান অভিমানের পালার শেষে মানুষগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমবে কি না তা নিয়েই গল্প এগিয়েছে।
মীর ও স্বস্তিকার সম্পর্ক নিয়ে এখন ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন। তাই এই ছবিতে তাঁদের রসায়নের দিকে অনেকেরই চোখ থাকবে। মীরের কথায়, ‘অনেকদিন পর আবার স্বস্তিকার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেলাম। এর আগে মাইকেল ছবিতে আমরা একসঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। অভিজিৎ নতুন পরিচালক হলেও খুব ভালো একটা গল্প ভেবেছে। আমিও খুব উচ্ছ্বসিত।’ ছবির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, মিশকা হালিম, খেয়া চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ছবির সঙ্গীতের দায়িত্বে রণজয় ভট্টাচার্য। ক্যামেরায় সুপ্রিয় দত্ত। দর্শক ওয়েব সিরিজ ‘উৎসবের পরে’ বা ‘একান্নবর্তী’র মতো ছবি দেখে ফেলেছেন। তার পরে এই ছবি থেকে তাঁরা নতুন কী প্রত্যাশা করতে পারেন? ‘ওই গল্পগুলোর সঙ্গে আমার ছবির কোনও মিল নেই। আর সেটা দর্শক ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবেন,’ বললেন শিলিগুড়ির ছেলে অভিজিৎ। আগামী মাসে কলকাতায় শুরু হবে শ্যুটিং।