বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী মোড়ের কাছে একটি বাড়িতে সম্প্রতি ছবির প্রথম ভাগের শ্যুটিং হয়ে গেল। ফ্লোরে পৌঁছে দেখা গেল ঋতুপর্ণা ও টোটাকে নিয়ে শট গ্রহণে ব্যস্ত পরিচালক। টোটার লুকে চোখে পড়ল পরিচালকের নিজস্ব আদল। অন্যদিকে বর্ণালীরূপী ঋতুপর্ণা অন্তঃসত্ত্বা। টেলিভিশনে কোনও একটি খবরের সম্প্রচার দেখে সন্তানসম্ভবা বর্ণালী উত্তেজনা ও আশঙ্কায় অস্থির হয়ে ওঠে। বর্ণালীকে শান্ত রাখার যথাসম্ভব চেষ্টা করে রাহুল। এই দৃশ্যেরই শ্যুটিং চলছিল। দৃশ্যটি শেষ হতেই কথা বলার সুযোগ পেলেন পরিচালক। বললেন,‘ছোটবেলা থেকেই চিত্রকলা,শিল্প, নাটকের সঙ্গে যুক্ত। মূলত ছবি করার ইচ্ছা থেকেই শিল্পের নানা ক্ষেত্রে বিচরণ। আসলে সিনেমা তো সব শিল্পের সম্মিলিত রূপ।’ পরিচালক ইতিপূর্বে একটি বাংলা ও একটি হিন্দি ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। কিন্তু বাজেটজনিত কারণে ছবি দুটি বাস্তবায়িত হয়নি। সেইদিক থেকে ‘বিউটিফুল লাইফ’কে পরিচালক নিজের তৃতীয় ছবি হিসাবে দাবি করলেন। ‘আমরা প্রতিটি মানুষই চাই জীবনটা সুন্দর হয়ে উঠুক। কিন্তু তার বদলে জীবনটা ক্রমেই জটিলতায় ভরে যাচ্ছে। বিউটিফুল লাইফে এমন একটি থেরাপির কথা বলে হচ্ছে, যার সাহায্যে প্রতিটি মানুষ তার জীবনকে সুন্দর করতে পারবে। আসলে সেই শক্তিটা আমাদের প্রত্যক্যের মধ্যে নিহিত আছে। সেটাই এই ছবির মাধ্যমে তুলে ধরতে চাইছি’, বললেন পরিচালক। ছবির গল্প রাহুলের স্ত্রী ঝুমকিকে কেন্দ্র করে। সে সেরিব্রাল অ্যাড্রফিতে আক্রান্ত। শরীরের নব্বই শতাংশ বিকলাঙ্গ। ঝুমকিকে সারিয়ে তুলতে চায় রাহুল। অন্যদিকে বর্ণালী বন্ধু রাহুলের জীবনের সব অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দিতে চায়। বর্ণালী আর রাহুলকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে বর্ণালীর বাবা বিজ্ঞানী শিবশঙ্কর। ছবিতে অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (শিবশঙ্কর) , সায়ন্তনী সেনগুপ্ত (ঝুমকি), শ্রীলা মজুমদার।
‘লাঠি’ ছবি থেকে ঋতুপর্ণ-টোটা জুটির যাত্রা আজও অব্যাহত। হালে ‘ভিলেন’, ‘বিয়ে নট আউট’-এর মতো ছবিতে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। এই জুটিকে আরও একবার দর্শক দেখবেন ‘বিউটিফুল লাইফ’-এ। ‘ছবিতে আমার সহশিল্পী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সেটাই ছবিটা করার অন্যতম কারণ। তাছাড়া ছবির বিষয় ভাবনা বেশ অন্যরকম। পরিচালক নিজে এক চিত্রশিল্পী হওয়ায় ছবির ফ্রেমের বিষয়ে তিনি একটু বেশি খুঁতখুঁতে। ক্যানভাসের বদলে পর্দায় তিনি ছবি আঁকছেন’, বললেন টোটা। পরিচালক নিজে না বললেও টোটার কথায় জানা গেল ছবিতে পরিচালকের নিজের জীবনের কিছুটা ছোঁয়া মিলবে। তাঁর কথার রেশ ধরেই ঋতুপর্ণা বললেন,‘পরিচালকের চিত্রনাট্য ও ভাবনা আমায় মুগ্ধ করে। তিনি যেভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। ছবিটা খুবই আর্টিস্টিক। শিল্পের একটা বড় গুরুত্ব রয়েছে ছবিতে। আমার সাম্প্রতিক ছবিগুলোতে আমি যেভাবে আমার অভিনেত্রীসত্তাকে প্রাধান্য দিয়েছি এটাও তেমনি একটা ছবি।’ শান্তনু বসুর সুরে চারটি গান থাকবে ছবিতে। প্রযোজনায় ম্যাকনেল।
ছবি সৌজন্য: বিশ্বজিৎ সাহা