উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
ছবির গল্প এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে পৌলোমীর স্বপ্নপূরণ অবলম্বনে। পৌলোমী গায়িকা হতে চায়। সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে চায়। অথচ সংসারের চাপে সে চাকরি করতে বাধ্য হয়। পৌলোমী একটি অনাথালয়ের উদ্বোধনে হাজির হয়ে সেখানকার শিশুদের নিয়ে নাচে গানে মেতে ওঠে- এই দৃশ্যেরই শ্যুটিং হয়ে গেল দ্য রিফিউজে। শুধু শ্যুটিং দেখা নয় ছবির গল্পের কল্যাণে রিফিউজের কচিকাচারা ছবিতে অভিনয়ের সুযোগও পেল। শত বঞ্চনার মাঝে এইটুকু প্রাপ্তিই বা কম কিসে! আর তাইতো সরল নিষ্পাপ কচিমুখগুলোর আনন্দ সেদিন ছবির গোটা ইউনিটকে এক্সট্রা এনার্জি জোগাচ্ছিল। পরিচালক ত্রিদিব রমনের নিজের লেখা গল্প থেকে বাংলায় চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত । পেশায় সাংবাদিক ত্রিদিব ইতিপূর্বে একাধিক শর্টফিল্ম ও তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। প্রথম ছবি বাংলায় করার কারণটা নিজেই ব্যাখ্যা করলেন, ‘রাজ কাপুর,অমিতাভ বচ্চনের মতো মানুষও তাঁদের কর্মজীবন বাংলায় শুরু করেছিলেন। আমি বরাবর চেয়েছি বাংলায় কাজ করতে। এখানকার কলাকুশলীদের যে দক্ষতা রয়েছে আমি তাঁদের থেকে কিছু শিখতে চাই।’
ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন শ্রাবন্তী ও সাহেব ভট্টাচার্য। পরিচালক যোগ করলেন,‘ছবির গল্পের সঙ্গে বাংলার প্রতিটি মেয়ে নিজেকে রিলেট করতে পারবে।’ ছবিটি প্রথমে নুসরতের করার কথা থাকলেও চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে তিনি ছবি থেকে সরে দাঁড়ান। নুসরতের ছাড়া ছবি শ্রাবন্তী করতে রাজি হলেন কেন? ‘ছবির গল্পটাই আমার ভালো লেগেছিল। নারীকেন্দ্রিক ছবি। প্রতিটি দৃশ্যেই আমার চরিত্রের উপস্থিতি থাকছে। তাছাড়া ছবিতে একটা মেসেজ রয়েছে’, বললেন শ্রাবন্তী। তাই একটু বেশি পরিশ্রম হলেও কাজটা করে যে বেশ আনন্দ পাচ্ছেন সেকথা জানাতেও ভুললেন না। বড়পর্দায় প্রথমবার শ্রাবন্তীর বিপরীতে অভিনয় করছেন সাহেব ভট্টাচার্য। একজন শিল্পপতির ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে । ছবি নিয়ে কথা প্রসঙ্গে অভিনেতা বললেন,‘শ্রাবন্তী বাণিজ্যিক ছবি বেশি করেন। আমি আবার অন্যধারার ছবিতে কাজ করি। দু’জন ভিন্ন ঘরানার অভিনেতা প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করছি। তাছাড়া দর্শক পর্দায় নতুন জুটি দেখতে পাবেন।’ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার গঙ্গাজল, অপহরণ, মৃত্যুদণ্ড খ্যাত অরবিন্দ কুমার। অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন সুব্রত দত্ত, সুমন্ত মুখোপাধ্যায়,অনুরাধা রায় প্রমুখ।
ছবি-ভাস্কর মুখোপাধ্যায়